Connect with us

অর্থনীতি

চামড়াখাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব সিপিডি’র

Avatar of author

Published

on

বাজারমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় চামড়া শিল্পের জন্য শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সিপিডি’র ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সভায় এ প্রস্তাব জানায় সংস্থাটি।

সিপিডি বলছে, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড মূল্য ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। অ্যাংকর সিস্টেমে পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও তাদের আয়কেও বিবেচনায় নেওয়া হয়। অর্থাৎ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আয় ও বর্তমান বাজার বিবেচনায় নেওয়া হয়। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা।

সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, পোশাক শিল্পের পরে যে শিল্পটি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে চামড়া বা চামড়াজাত পণ্য। ট্যানার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে ২০০ এর মতো ট্যানারি শিল্প রয়েছে। সাভারের ট্যানারি শিল্পে ১২৭টি প্লটে বিভিন্ন রকমের ট্যানারি প্রতিষ্ঠান সক্রিয় রয়েছে। ২০২৩ সালের চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। যার ভিতরে ট্যানারি শিল্প থেকে এসেছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খুঁজছে সে হিসাবে চামড়াজাত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হতে যাচ্ছে।

সিপিডি অ্যাংকর মেথডে ৩৫টি ট্যানারির ওপর গবেষণা পরিচালনা করেছে জানিয়ে গবেষক তামিম আহমেদ জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ট্যানারি শিল্পের জন্য আলাদা ন্যূনতম মজুরি নেই। ওই সব দেশে সকল শিল্পের একই হারে ন্যূনতম মজুরি রয়েছে। তবে ভারতে রাজ্যভিত্তিতে ন্যূনতম মজুরি রয়েছে। ভারতের কেরালায় ১৪৬, তামিলনাডুতে ১৩৮, উত্তর প্রদেশে ১২৩ ও পশ্চিম বঙ্গে ১১৭ মার্কিন ডলার ন্যূনতম মজুরি রয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামে ১৭১, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে ১৮৬ ও ২৫৫ মার্কিন ডলার। সেখানে বাংলাদেশে ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ১২৩ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যের মূল্য হিসেবে অনেক বলে মনে করছেন।

Advertisement

আই/এ

Advertisement

আমদানি-রপ্তানি

হিলিতে শুরু হলো আলু আমদানি

Published

on

দেশের আলুর বাজার স্বাভাবিক রাখতে ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় ভারতীয় আলু বোঝাই একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে এ আমদানি শুরু হয়।

ব্যাবসায়ীরা গণমাধ্যমে জানান, এর আগে দেশের বাজারে দাম কমায় এবং ভারত নিন্মমানের আলু রপ্তানি করায় আলু আমদানির পর লোকশান গুনতে হতো। তাই গত মে মাসের ১২ তারিখ থেকে আলু আমদানি বন্ধ রাখা হয়। তবে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের বাজারে আলুর দাম সহনীয় রাখতে আমদানি শুরু করেছেন তারা।

পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব গণমাধ্যমে জানান, শনিবার বিকেলে ভারতীয় একটি ট্রাকে ২৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আলু একটি পচনশীল পণ্য। কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে আলুগুলো দেশের বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন আমদানিকারকরা।

এদিন মেসার্স রকি এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী রকি মুন্সি গণমাধ্যমে জানান, ২৩০ মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতি টন আলু আমদানি করা হচ্ছে। শুল্কায়ন, পরিবহন খরচ, পোর্ট খরচসহ এসব আলু আমদানিতে খরচ পড়ছে কেজিতে ৩৫ টাকা। তাই খুচরা পর্যায়ে ৪০ টাকার মধ্যে ক্রেতাসাধারণ এগুলো কিনতে পারবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

এখনও সাড়ে ৪ মাসের রিজার্ভ আছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

Published

on

আইএমএফ-এর নিয়ম অনুযায়ী আমাদের তিন মাসের রিজার্ভ থাকাই যথেষ্ট। তবে আমাদের এখনও সাড়ে চার মাসের রিজার্ভ আছে। বললেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

শনিবার (১ জুন)  বিকেলে টাঙ্গাইলে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন,  যারা প্রবাসী ভাইয়েরা আছেন, তারা যদি বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠান, রপ্তানি আয় যদি আরেকটু বাড়ে, তাহলে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সবচেয়ে বড় কথা বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন।  আমদানি রপ্তানির গ্যাপ রয়েছে। এই গ্যাপ ফুলফিল করার জন্য দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ দরকার। এ বিষয়ে অনেক দেশ থেকে প্রতিশ্রুতি এসেছে। তারা বিনিয়োগ করলে সরকার অনেকটা চাপমুক্তভাবে কাজ করতে পারবে।

আলুর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে আলুর দাম কম। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে পরিচালিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আমদানি-রপ্তানি

যে কারণে ক্রেতারা ঢাকা বিমানবন্দর ছেড়ে দিল্লি বিমানবন্দরের দিকে ঝুঁকছে

Published

on

হযরত-শাহজালাল-আন্তর্জাতিক-বিমানবন্দর
ফাইল ছবি

পণ্য পরিবহণে উচ্চ শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও সার্ভিস চার্জ অনেক বেশি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আর এসব খরচ কমাতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্রান্ডগুলো ক্রমেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক  বিমানবন্দর ছেড়ে দিল্লি বিমানবন্দরের দিকে ঝুঁকছে।

উদাহরণস্বরুপ তারা বলছে, ১ কেজি পোশাক পণ্য শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে  ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্যে পরিবহন করতে খরচ হয় ৩ ডলার। অন্যদিকে একই পরিমাণ পণ্য দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পাঠালে খরচ হয় ১ দশমিক ২ ডলার।

পাশাপাশি এখানে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য আরোপ করা হয় ৭২ শতাংশ সারচার্জ । আর সময়মতো ফি পরিশোধ না করলে জরিমানা আদায় করা হয় ৬০ শতাংশ।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার টন পণ্য পরিবহণ করা হয়েছে । এর মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার টন পোশাক পণ্য এবং ৩০ হাজার টন শাকসবজি, ফল ও অন্যান্য সামগ্রী।

এ বিষয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, উচ্চ শুল্কের কারণে গেলো বছর আট হাজার টনেরও বেশি কার্গো বিশেষ করে পোশাক পণ্য শাহজালাল বিমানবন্দরকে বাদ দিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর এর পরিমাণ বেশি, কারণ ক্রেতারা দিল্লি বিমানবন্দরকে তাদের ব্যবসায়ের জন্য সাশ্রয়ী মনে করছে।’

Advertisement

অন্যদিকে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির আহমেদও এ বিষয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সাথে। তিনি বলেন, ঢাকা বিমানবন্দরে ফ্রেইট চার্জ অত্যন্ত বেশি। দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহার করতে ঢাকা থেকে ভারতের রাজধানীতে পণ্য পরিবহনের পরও রপ্তানিকারকরা প্রতি কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ মার্কিন সেন্ট সাশ্রয় করতে পারেন।

এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে পণ্য পরিবহনের প্রধান সমুদ্রপথ লোহিত সাগর। তবে এই রুট ব্যবহারকারী কার্গোবাহী জাহাজগুলো প্রতিনিয়ত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার শিকার হচ্ছে । আর এসব কারণে উড়োজাহাজে পণ্য পরিবহন বেড়েছে।

এনএস/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত