Thread Rating:
  • 86 Vote(s) - 2.95 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Erotic Thriller নন্দনা - NOT OUT (সমাপ্ত)
(22-05-2023, 10:46 AM)Chandan1 Wrote: superb  clps  great going  horseride  add some slang language and more domination  yourock

I'm trying my best , stay tuned  thanks
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
Darun update. Khub valo laglo
[+] 1 user Likes chndnds's post
Like Reply
(23-05-2023, 07:08 AM)chndnds Wrote: Darun update. Khub valo laglo

thank you  thanks
Like Reply
দাদা এমন মারাত্মক গল্প যে ধৈয্ রাখা যায় না। 7 দিনের বিরতি দেবেন না প্লিজ। এমন অসাধারণ গল্পের জন্য এত অপেক্ষা করে থাকা যাচ্ছে না । ♥️♥️♥️♥️
[+] 1 user Likes Mess7's post
Like Reply
(25-05-2023, 01:53 PM)Mess7 Wrote: দাদা এমন মারাত্মক গল্প যে ধৈয্ রাখা যায় না। 7 দিনের বিরতি দেবেন না প্লিজ। এমন অসাধারণ গল্পের জন্য এত অপেক্ষা করে থাকা যাচ্ছে না । ♥️♥️♥️♥️

বিরতি সাত দিনেরই হবে, তবে মাঝেমধ্যে সপ্তাহে দু'টো করেও আপডেট আসবে .. সারপ্রাইজ পর্ব হিসেবে। 
[+] 2 users Like Bumba_1's post
Like Reply

তার চোখের সামনে মধ্য তিরিশের স্বাস্থ্যবতী, সুন্দরী, এক সন্তানের মা, একজন ভদ্রঘরের গৃহবধূ প্রায় অর্ধেকের বেশি স্তন বিভাজিকা উন্মুক্ত করে, মাঝারি আকারের গামছাটা হাঁটুর অনেকটা উপরে উঠে গিয়ে ফর্সা, মাংসল ঊরুদুটোর অনেকটা প্রকাশিত করে এবং ভিজে যাওয়া পাতলা গামছার আড়ালে বৃহৎ আকার স্তনজোড়া এবং খাড়া হয়ে থাকা স্তনবৃন্তের অবস্থান প্রকট করে দাঁড়িয়েছিলো। এতটাও বোধহয় আশা করেনি সে। বিস্ফোরিত নেত্রে মুখ হাঁ করে  লোভাতুর দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে রইলো বাপ্পার মায়ের দিকে।


[Image: Polish-20230412-183559497.jpg]

বাকিটা জানতে হলে পড়তে হবে অশনি সংকেত
সিরিজঃ- নন্দনা NOT OUT

শনিবার রাতে একসঙ্গে দুটি আপডেট নিয়ে আসছি

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 4 users Like Bumba_1's post
Like Reply
Darun teaser
[+] 1 user Likes Dushtuchele567's post
Like Reply
[Image: Polish-20230525-224838380.jpg]

জামাই ষষ্ঠীর আমন্ত্রণ

ইং ২৫ শে মে জামাই ষষ্ঠীর দিন বেলা দ্বিপ্রহরে প্রচন্ড তাপদাহ মাথায় করে, কাঠফাটা রোদে ঘামিতে ঘামিতে আমাদের গড়িয়ার বাড়ীতে দ্বিপ্রহারিক আহার করিয়া বাধিত করিও।  

খাদ্য তালিকা
শুভ্র দেরাদুন চালের ভাত
কোলাঘাটের ইলিস মাছ ভাজা
লাউ চিংড়ি
ভেটকি পাতুরি
চিতল মাছের মুইঠা
কচি পাঁঠার কষা মাংস
কাঁচা আমের টক
গঙ্গারামপুরের দই
নকুড়ের সন্দেশ
সুরেশের রাবড়ী
বাঞ্ছারামের ল্যাংচা
আইসক্রিম
বেনারসী পান  

এই উপরোক্ত খাবারের ব্যবস্থা করার খুব ইচ্ছে ছিল, কিন্তু বাইরে যা দাবদাহ তাতে বাজারে যাইবার দুঃসাহস না করাটাই ভালো। আর তুমি নিশ্চয়ই চাইবে না যে বাজারে গিয়ে তোমার শ্বশুর মশাই আর গরমে রান্না করে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি?  
তাই সবদিক বিবেচনা করে আপাতত বৃষ্টির আগমন না হওয়া অবধি এই আহারের ব্যবস্থা স্থগিত রাখা হল।
তার পরিবর্তে -- শুভ্র গরম ভাত, আলু সেদ্ধ, কাঁচা লঙ্কা ও সরিষার তেল সহযোগে পরিবেশন করা হবে।
আমার মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম এই আহারে তোমার খুব রুচি। অবশ্য তোমাকে বারবার বারণ করা সত্ত্বেও তুমি নিশ্চয়ই মিষ্টি, দই, মাছ ও ফল- ফলাদি নিয়ে আসবে!
কিন্তু বাবা, যদি আবহাওয়া দফতরের ভবিষ্যৎ বানী অনুযায়ী এক মাস বাদে বৃষ্টি হয়, তাহলে আমি কিন্তু কোন ওজর আপত্তি শুনবো না। তখন তোমাদের আবার আসতেই হবে। তখন না হয় চারটি ডালভাত খেয়ে যাবে।    

শুভেচ্ছান্তে    
শাশুড়ি মা

[Image: Images-2-2-1.jpg]

[+] 6 users Like Somnaath's post
Like Reply
[Image: Polish-20230414-95234747.jpg]

|| ৬ ||

অঙ্ক পরীক্ষার আগে একদিন ছুটি পেয়েছে বাপ্পা। অঙ্কে কোনোদিনই ভালো নয় সে। বরং অঙ্ক কষতে গেলেই গায়ে জ্বর আসে তার। সকালে তার মা নন্দনা দেবী তাকে কয়টা পাটিগণিতের অঙ্ক করতে দিয়ে ঘরের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলো। কিন্তু সংসারের কাজের ফাঁকে বারবার বিঘ্ন ঘটছিলো। তার মনে পড়ে যাচ্ছিলো গতকাল দুপুরের ঘটনা, তার সঙ্গে আগেরদিন রাতের সেই উদ্ভট, ভয়ঙ্কর এবং অশ্লীল স্বপ্নটার কথা। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, বারংবার ফিরে আসা এই নিষিদ্ধ ভাবনাগুলোয় তার রাগ বা ক্ষোভ হওয়ার থেকে, শরীরের মধ্যে একটা অদ্ভুত উত্তেজনা হচ্ছিলো। এই উত্তেজনার উৎস, কারণ এবং তাৎপর্য কোনোটাই জানা ছিলো না তার। বারবার নিজের পবিত্র মন দিয়ে শরীরের এই অচেনা শিহরণকে প্রশমিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলো চিরন্তন বাবুর স্ত্রী।

তবে এই সবকিছুর সঙ্গে মনে একটা আশঙ্কাও জাগছিলো তার। আবার যদি কোনো অজুহাতে তাদের প্রতিবেশী পাঞ্জাবী লোকটা ঢুকে আসে তাদের বাড়িতে বা তার ওই দুই গোয়ানিজ বন্ধু! মালতি কাজ করতে আসার পর, তার মুখ থেকে সে শুনলো .. 'ফ্যাক্টরিতে নাকি ভীষণ বিক্ষোভ হচ্ছে শ্রমিকদের। বিক্ষোভের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে মালিকপক্ষকে ছুটে আসতে হয়েছে এখানে। তার সঙ্গে এখানকার স্টাফেরাও প্রচন্ড ব্যস্ত। সম্ভবত দু-একদিন এরকম টালমাটাল অবস্থা থাকবে।' কথাগুলো শোনার পর ফ্যাক্টরির অবস্থা সম্পর্কে চিন্তিত হয়ে পড়লেও, 'অন্তত আজ আর কেউ আসবেনা তাদের বাড়িতে' .. এটা ভেবে কিছুটা নিশ্চিন্ত বোধ করছিলো নন্দনা দেবী।

মালতি কাজ করে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই, দুটো অঙ্ক তখনো করতে না পারার জন্য বাপ্পাকে বকাবকি করে সদর দরজাটা আটকে দিয়ে স্নানে ঢুকে গেলো নন্দনা দেবী। মায়ের কাছে বকুনি খেয়ে মন খারাপ করে বসেছিলো বাপ্পা। তবে এছাড়াও তার মন ভারাক্রান্ত হওয়ার আরেকটা কারণ ছিলো। গতকাল রাতে যখন তার বাবা ফোন করেছিলো, প্রতিদিনের মতো মধুর কথোপকথন হয়নি তার মা-বাবার মধ্যে। বরং তার মা দু-একটা কথা বলেই ফোনটা ধরিয়ে দিয়েছিলো তার হাতে। "নাও .. তোমার ছেলের সঙ্গে কথা বলো। এখন আমার কথা বলতে ভালো লাগছে না .." শেষের কথাগুলো শুনে এইটুকু বয়সেই বাপ্পা বুঝেছিলো, যেকোনো কারণেই হোক তার মা ভীষণরকম অভিমান করেছে বা রেগে গেছে তার বাবার উপর। ঠিক সেই মুহূর্ত কলিংবেলটা বেজে উঠলো। সাহেবী আমলের কোয়ার্টার, তাই দরজার উচ্চতা অনেকটাই। মাটিতে দাঁড়িয়ে দরজার ছিটকিনিতে হাত পায় না বাপ্পা। একটা ছোট টুল নিয়ে এসে তার উপর উঠে দরজা খুললো সে। দরজা খুলেই সে দেখলো, তার সামনে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসছে বিপুল জেঠু।

উনি কোন সম্পর্কে বাপ্পার জেঠু হতেন তা তার জানা ছিলো না। বিপুল বাবুর বাড়ি হুগলি জেলায় ছিলো না। বর্ধমানের নিয়ামতপুরে উনার জন্মভিটে হলেও, ওনার বাড়িঘর সেখানে কিছু ছিলো না। লোকমুখে কানাঘুষো শোনা যায় কৈশোর বয়স থেকেই উশৃঙ্খল জীবন যাপনের জন্য এবং বারংবার সতর্ক করার পরেও সেই কথায় কর্ণপাত না করার জন্য বিপুল বাবুর বাবা ওনাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছিলেন। পরবর্তীতে উনি তন্ত্রসাধনায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। এইসব মিলিয়ে বাপ্পার বাবা চিরন্তন বরাবরই বিপুল বাবুকে অপছন্দ করতেন, উনি বাড়িতে এলে একদমই খুশি হতেন না।

বিপুল বাবু সংসারে ভেসে বেড়াতেন। এই অঞ্চলে সেইসময় 'উইয়ের ঢিপির' মতো দেদার সম্ভ্রান্ত পরিবার ছিলো। 'ব্যাঙের ছাতা' শব্দটা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা হলো না, তার কারণ তারা কেউই ভুঁইফোড় নয়, সবাই বনেদি পরিবার .. অবস্থার ফেরে হয়তো জৌলুস কিছুটা কমেছে। যাইহোক, সেই সমস্ত বনেদি পরিবারগুলোর সঙ্গে বিপুল বাবুর একটা না একটা সম্পর্ক ঠিক বেরিয়েই যেত। সে সম্পর্ক যে প্রকৃত অর্থে কি .. তা কেউ জানতো না। অথচ এর-ওর বাড়িতে অতিথি হয়েই তিনি জীবনযাত্রা নির্বাহ করতেন, আর সব জায়গাতেই তিনি আদর-যত্ন পেতেন। একে ব্রাহ্মণ, তার ওপর মনে যাই থাক না কেনো, কথাবার্তায় ও ব্যবহারে ছিলেন অত্যন্ত ভদ্রলোক। তাই তিনি দাদা হোন বা মামা, শালা হোন বা ভগ্নিপতি, কাকা হোন বা জেঠু .. সকলেই তাকে অতিথি করতে প্রস্তুত ছিলেন। অর্থ সাহায্য তিনি কারো কাছে চাইতেন না, উল্টে যে বাড়িতে যেতেন সঙ্গে করে প্রচুর রকমের মিষ্টান্ন এবং সেই বাড়ির সদস্যদের জন্য দামি দামি উপহার কিনে নিয়ে যেতেন।

তারাপীঠের কাছে উনার নাকি বিশেষ পরিচিতা এক মহিলা ছিলেন। রমলা নামের বিধবা ওই মহিলাটির প্রচুর ধনসম্পত্তি ছিলো। শোনা যায় নিজের তন্ত্র সাধনার বিদ্যার জোরে একবার নাকি উনি রমলা নামের ওই মহিলাটিকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। সেখান থেকেই বিপুল বাবুর উপর ওনার অগাধ বিশ্বাস জন্মায় এবং পরবর্তীতে পরস্পরের প্রতি ঘনিষ্ঠতা হয়। কিন্তু সংসার জীবনে উদাসীন বিপুল বাবুকে তিনি ঘরে বেঁধে রাখতে পারেননি ঠিকই, তবে পকেটে টান পড়লেই উনি তারাপীঠে যেতেন। তাই চাকরি বা ব্যবসা না করলেও বিপুল বাবুর অর্থের কোনো অভাব ছিলো না কোনোকালেই। একটা কথা অবশ্য প্রায়শই তান্ত্রিক বিপুল বলতো, "যার সুডৌল স্তনের কোমলতায় মাথা রেখে এতটা পথ পাড়ি দিলাম, তার জন্য এটুকু তো করতেই হতো। লোকে যতোই আমায় খারাপ ভাবুক।" এই কথাগুলো আসলে কার উদ্দেশ্যে বলা .. রমলা নামের সেই বিধবা মহিলাটি, নাকি অন্য কেউ .. সেটা অবশ্য জানা যায়নি।

নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বছর পঁয়তাল্লিশের বিপুল বাবুর চেহারাটাও ছিলো বিপুলাকার। প্রায় পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি লম্বা বিপুল বাবুকে মানুষ না বলে বনমানুষ বলাটাই বোধহয় যুক্তিযুক্ত। কাঁধের নিচ পর্যন্ত লম্বা এক মাথা ঝাঁকড়া চুল এবং একমুখ কাঁচা-পাকা দাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সারা দেহে চুলের আধিক্য এতটাই বেশি যে দেখে মনে হতে পারে এই ব্যক্তির শরীরে যেনো চুলের চাষ হয়। গায়ের রঙ মিশকালো, গাট্টাগোট্টা চেহারার অধিকারী, অত্যধিক গাঁজা, চরস বা ওই জাতীয় নিষিদ্ধ বস্তু সেবনের ফলে রক্তবর্ণ চোখদুটো এতটাই ঢুলুঢুলু যে দেখে মনে হয় এইমাত্র ঘুম থেকে উঠে এসেছে। এইরূপ কদাকার, কুৎসিত-দর্শন ব্যক্তি যে কোনো মানুষের আতঙ্কের কারণ হতে পারে, একথা বলাই বাহুল্য। তাই বাপ্পাও বিপুল জেঠুকে দেখে অত্যন্ত ভয় পেয়ে গিয়ে এক লাফে টুল থেকে নেমে কয়েক-পা পিছিয়ে এলো।

★★★★

"ভয় কি? কাছে আয় .. তুই তো চিনিস আমাকে। আমি যে তোর বিপুল জেঠু!" এই বলে ভেতরে ঢুকে সদর দরজাটা আটকে দিলো আলখাল্লার মতো পোশাক পরা বিপুল বাবু। তারপর কাঁধে ঝোলানো বিশালাকার কাপড়ের ব্যাগ থেকে রাংতায় মোড়ানো একটা প্যাকেট বের করে বাপ্পার দিকে বাড়িয়ে দিলো। উপহার পেতে সব বাচ্চাদেরই ভালো লাগে, বাপ্পাও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই দুরুদুরু বুকে এক পা এক পা করে এগিয়ে এসে প্যাকেটটা হাতে নিলো বাপ্পা। রাংতার মোড়কটা খুলতেই চোখদুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠলো তার। চাইনিজ চেকার বোর্ড গেম .. অনেকদিন ধরেই সে এটা তার বাবাকে কিনে দিতে বলছিলো। কিন্তু তার বাবার সময়ই হয়নি তাকে কিনে দেওয়ার। অবাক কান্ড, বিপুল জেঠু তার মনের কথা জানলো কি করে! "থ্যাঙ্ক ইউ জেঠু .." মিষ্টি করে হেসে বললো বাপ্পা।

"যাক, প্রথম বাধা টপকানো গেলো। এবার যে খবরটা কানাঘুষো শুনছিলাম, তার সত্যতা যাচাই করতে গেলে ঘোড়ার মুখ থেকেই জানতে হবে আসল কথাটা।" বিড়বিড় করে বলার জন্য বিপুল বাবুর কথাগুলো ভালোভাবে শুনতে না পেয়ে বাপ্পা জিজ্ঞাসা করলো, "তুমি কি বলছো গো জেঠু? বুঝতে পারছি না।"

"কিছু না কিছু না .. আচ্ছা, আমি খবর পেলুম .. তোর বাপ নাকি এবার বেশ অনেকদিনের জন্য বাইরে অফিস ট্যুরে গেছে .. কথাটা কি সত্যি?" নিচের দিকে ঝুঁকে, বাপ্পার মুখের কাছে মুখ নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলো বিপুল।

"হ্যাঁ .. গেছে তো .. এক মাসের জন্য। সাত দিন হয়ে গেলো বাবা গেছে। তুমি কোত্থেকে শুনলে গো জেঠু?" সরল মনে প্রশ্ন করলো বাপ্পা।

- "সোর্স থেকে আর কিছুটা মন্ত্রবলে .. হেহেহেহে .."

- "ও মা, তাই? তুমি মন্ত্র জানো জেঠু?"

"হ্যাঁ জানি তো, তবে এবারে কোন মন্ত্রটা কাজে লাগবে সেটাই ভাবছি। যাগ্গে, ওসব কথা ছাড়। এখন বল তো, তোর মা কোথায়?" ফিসফিস করে বাপ্পার কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলো বিপুল।

"মা? মা মনে হয় স্নানে গেছে। না হলে এতক্ষন বেলের আওয়াজ পেয়ে আর আমাদের গলার আওয়াজ শুনে ঠিক এখানে চলে আসতো। আমি ডেকে দেবো মা'কে?" বিপুল জেঠুর এনে দেওয়া খেলনার বাক্সটা হাতে নিয়ে এদিক-ওদিক নাড়াচাড়া করতে করতে আনমনা হয়ে কথাগুলো বললো বাপ্পা।

"উঁহু .. একদম ডাকার দরকার নেই। তোর মা'কে মনের সুখে স্নান করতে দে এখন। তোর তো কাল অঙ্ক পরীক্ষা? এদিকে পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো হয়নি, তাই তো? চিন্তা করিস না। আমি যখন এসে গেছি, তখন এবার থেকে সব ভালো হবে তোদের। কাল পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে তোকে চুপি চুপি একটা মন্ত্রপূত ফুল দিয়ে দেবো, দেখবি বেশিরভাগ অঙ্ক কমন পড়েছে। তুই শুধু আমার কথা শুনে চল, আর অতিরিক্ত কোনো প্রশ্ন নয়। এখন কোনো আওয়াজ না করে যা, চুপচাপ পড়াশোনা কর। আমি এখন তোদের শোয়ার ঘরে যাবো .. ওই ঘরে একদম আসবি না বলে দিলাম। তাহলে কিন্তু ফুল পাবি না আর পরীক্ষায় ফেল করবি। ও হ্যাঁ, এই মিষ্টির প্যাকেটটা ডাইনিং টেবিলের উপর রেখে দিস।" বাপ্পার উদ্দেশ্যে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে অথচ দৃঢ়কন্ঠে কথাগুলো বলে তার ঝোলা থেকে বেশ বড়সড়ো একটা মিষ্টির প্যাকেট বের করে তার হাতে দিয়ে, নন্দনা আর চিরন্তনের মাস্টার বেডরুমে ঢুকে গেলো বিপুল বাবু।

'বিপুল জেঠু কি করে জানলো কাল তার অঙ্ক পরীক্ষা? জেঠু এটাই বা কি করে জানলো সে অঙ্কে ভীষণ কাঁচা এবং তার প্রিপারেশন একদমই ভালো হয়নি? কিছুক্ষণ আগে মন্ত্রবল নাকি যেন বলছিল জেঠু! তাহলে কি ওই মন্ত্রবলেই সে সবকিছু জানতে পরছে!' এইসব ভাবতে ভাবতে অবাক হয়ে তার জেঠুর দিকে তাকিয়ে রইলো বাপ্পা।

★★★★

'তারমানে চিরন্তনের বউটা বেডরুমের দরজা না আটকেই বাথরুমে ঢুকে স্নান করছে। আমিও শালা একটা গান্ডু .. শোবার ঘরের দরজা আটকাবেই বা কেন? বাড়িতে ওর পুঁচকে ছেলেটা ছাড়া আর কেইবা রয়েছে? ও জানবে কি করে আমার মতো একটা হারামি এখনই এসে টপকাবে! হেহেহেহে ..' কথাগুলো ভাবতে ভাবতে বেডরুমে ঢুকেই শরীরে একটা অদ্ভুত শিহরণ অনুভব করলো তান্ত্রিক বিপুল। কিন্তু এই সুবর্ণ সুযোগ তো হাতছাড়া করা যাবে না! এই সুযোগের পুরো ফায়দা তো তাকে তুলতেই হবে! পা টিপে টিপে বাথরুমে দরজার দিকে এগিয়ে গেলো বিপুল বাবু। তারপর নিচু হয়ে কোনো ছিদ্র বা 'কি-হোল' খোঁজার চেষ্টা করলো, যদি ভেতরের কোনো দৃশ্য দেখা যায়। কার্ডবোর্ডের দরজা, পুরোটাই নিরেট .. কোনো ছিদ্র খুঁজে পেলো না সে। শুধু অবিরত জলের শব্দ আর তার সঙ্গে নন্দনা দেবীর গুনগুন করে গানের আওয়াজ কানে আসছিলো।

বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে গিয়ে হঠাৎ বিশালাকার পালঙ্কটার দিকে দৃষ্টি যেতেই থমকে দাঁড়ালো বিপুল বাবু। প্রথমেই তার চোখ পড়লো পালঙ্কের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা একটি সবুজ রঙের ছাপা শাড়ি, কালো রঙের পেটিকোট, কালো রঙের স্লিভলেস ব্লাউজ আর অন্তর্বাসের দিকে। দ্রুতপায়ে বিছানার কাছে এগিয়ে গিয়ে সাদা রঙের ব্রা'টা তুলে নিলো সে। তারপর জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে প্রাণভরে শুঁকতে লাগলো ব্রায়ের কাপদুটো। "উপরেরটা তো আছে, কিন্তু নিচেরটা কই? ও আচ্ছা এইতো, সায়ার তলায় চাপা পড়ে গেছিলো। উফফফ মাইরি, প্যান্টির গন্ধে তো মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার। কাচা জিনিসগুলো দিয়ে যদি এরকম গন্ধ বের হয়, তাহলে মাগীটার ব্যবহার করা সদ্য ছাড়া ব্রা-প্যান্টির গন্ধ তো পাগল করে দেবে আমাকে!" এইরূপ স্বগতোক্তি করে প্যান্টিটা হাতে নিয়ে পালঙ্কের একপাশে বসলো বিপুল বাবু।

নন্দনা দেবী কোনোদিনই বাথরুমে জামাকাপড় নিয়ে ঢোকেন না। কাচা জামাকাপড়গুলো শোওয়ার ঘরের বিছানার উপর রেখে স্নান করতে ঢোকেন। স্নান হয়ে গেলে মাঝারি সাইজের একটা গামছা দিয়ে শুকনো করে গা মুছে সেই গামছাটি শরীরের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে বাথরুম থেকে বের হন। তারপর বেডরুমের ভেতরেই ঈশান কোণে অবস্থিত ঠাকুরের  সিংহাসনটার সামনে ওই গামছা পরা অবস্থাতেই বসে পুজো করেন। পুজো হয়ে গেলে বিছানায় রাখা কাচা জামাকাপড়গুলো পড়ে নেন। বহুদিন ধরে এটাই তার ডেইলি রুটিন। তবে বাড়িতে তার স্বামী, এমনকি ছেলে থাকলেও পুজো করার সময় বেডরুমের দরজা তিনি বন্ধ করে দেন।

এরপর প্রায় কয়েক মিনিট অতিক্রান্ত হয়ে গেলো। বিপুল বাবু পালা করে বাপ্পার মায়ের উর্ধাঙ্গের এবং নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাসের ঘ্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলো। 'তার জেঠু কি করছে ..' এটা দেখার জন্য মাঝে একবার বেডরুমে ঢুকে এসেছিলো বাপ্পা। তাকে নিজের ভয়ঙ্কর দুই রক্তচক্ষু বিস্ফোরিত করে ভয় দেখিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে তান্ত্রিক বিপুল। একসময় জল পড়ার শব্দ বন্ধ হলো, তবে নন্দনা দেবীর কন্ঠের সুরেলা গান তখনো চলছে। রিনিঝিনি চুড়ির শব্দে বিপুল বাবু বুঝতে পারলো বাথরুমের ভেতর এখন গা মোছা হচ্ছে। দাঁতে দাঁত চেপে বাথরুমের দরজার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো তান্ত্রিকটা।

'খুট' করে বাথরুমের দরজার খোলার আওয়াজ হলো। তার প্রতিদিনের অভ্যাস অনুযায়ী একটা ভেজা গামছা শরীরের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে বাথরুম থেকে বের হলো নন্দনা দেবী। বিপুল বাবুর চোখের সামনে মধ্য তিরিশের স্বাস্থ্যবতী, সুন্দরী, এক সন্তানের মা, একজন ভদ্রঘরের গৃহবধূ প্রায় অর্ধেকের বেশি স্তন বিভাজিকা উন্মুক্ত করে, মাঝারি আকারের গামছাটা হাঁটুর অনেকটা উপরে উঠে গিয়ে ফর্সা, মাংসল ঊরুদুটোর অনেকটা প্রকাশিত করে এবং ভিজে যাওয়া পাতলা গামছার আড়ালে বৃহৎ আকার স্তনজোড়া এবং খাড়া হয়ে থাকা স্তনবৃন্তের অবস্থান প্রকট করে দাঁড়িয়েছিলো। এতটাও বোধহয় আশা করেনি তান্ত্রিক বিপুল। বিস্ফোরিত নেত্রে মুখ হাঁ করে  লোভাতুর দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে রইলো বাপ্পার মায়ের দিকে।

চমকেরও একটা সীমা থাকে। এক্ষেত্রে সেটা অতিক্রম করে গিয়েছিলো। চিরন্তন বাবুর স্ত্রী স্বপ্নেও ভাবেনি এই অবস্থায় তার বেডরুমে এরকম একজনের উপস্থিতি। কয়েক মুহূর্তের অবকাশ .. তারপরেই প্রায় আর্তনাদের ভঙ্গিতে নন্দনা দেবী বলে উঠলো "এ কি .. আ..আপনি .. এখন .. এখানে? কি করছেন?" তারপর নিজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অতিমাত্রায় সচেতন হয়ে এক দৌড়ে ঢুকে গেলেন বেডরুমের ভেতর। বাপ্পার মা পিছন ঘুরে দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে যাওয়ার সময় তান্ত্রিক বিপুল লক্ষ্য করলো তার তরঙ্গ তোলা মাংসলো পাছার খাঁজে গামছাটা আটকে গিয়ে আরো উত্তেজক মুহূর্তের সৃষ্টি করেছে।

এরই মধ্যে কয়েক সেকেন্ড অতিবাহিত হয়ে গেলো। উভয়পক্ষই নিঃশ্চুপ। বিপুল বাবু লক্ষ্য করলো অবাঞ্ছিত অতিথির মুখের উপর বাথরুমের দরজাটা বন্ধ করে দিলেও ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকায়নি তার ভাইয়ের বউ। সামান্য ফাঁক হয়ে রয়েছে বাথরুমের দরজাটা। এরকম একটা আকস্মিক চমকে দিশেহারা হয়ে গিয়ে ছিটকিনি আটকানোর কথা মাথা থেকে বেরিয়ে যেতেও পারে। আবার দূরসম্পর্কের হলেও সম্পর্কে তার ভাসুর, ভাইয়ের বউকে এই অবস্থায় দেখে ফেলে ভদ্রতার খাতিরে লজ্জায় বেডরুম থেকে বেরিয়ে গেলে সে তাড়াতাড়ি বাথরুমের দরজা খুলে বেরিয়ে এসে বেডরুমের দরজা বন্ধ করে দেবে .. এটা ভেবেও সে বাথরুমের ছিটকিনি না আটকাতে পারে। সে যে কারণেই হোক না কেনো, লজ্জা এবং ভদ্রতা, এই দুটোই ছিলো না অকুতোভয়, লম্পট তান্ত্রিক বিপুলের। তাই খুব সামান্য ফাঁক হয়ে থাকা বাথরুমের দরজাটা সামনে গিয়ে দাঁড়ালো সে।

"বৌমা .. ও বৌমা .. তুমি খুব অবাক হয়ে গেছো তাই না, আমাকে এখানে দেখে? আসলে অশোকদের বাড়িতে এসেছিলাম। আরে অশোক গো .. চিনতে পারলে না? দক্ষিণপাড়ার অশোক, আমাদের চিরন্তনের সেজো পিসির ছেলে। ওদের বাড়িতে একটা বিশেষ কাজে এসেছিলাম। ওর বউ রুনার একটা প্রবলেম হয়েছিলো .. ওদের আবার আমার তন্ত্রসাধনার উপর খুব বিশ্বাস তো! তাই আমাকে ডেকেছিলো। ভেবেছিলাম কাজটা মিটতে দিন চারেক বা তার বেশি সময় লেগে যাবে, কিন্তু দু'দিনেই মিটে গেলো। তাই ভাবলাম যাওয়ার পথে তোমাদের সঙ্গে একটু দেখা করে যাই। কতদিন দেখিনি আমার ভাই আর ভাইপোটাকে। কিন্তু আমার ভাগ্যটাই খারাপ .. তোমাদের বাড়িতে এসে তোমার ছেলের কাছ থেকে শুনলাম চিরন্তন নাকি এখানে নেই! অফিসের কাজে বাইরে কোথাও গেছে। তারপর ভাবলাম ভাই নেই তো কি হয়েছে? ভাইপো আর ভাই-বউ তো রয়েছে .. তাদের সঙ্গেই দু'দণ্ড গল্প করে যাবো না হয়! আমার অবশ্য ফোন করে আসা উচিৎ ছিলো! কিন্তু কি করবো বলো, পুরনো দিনের মানুষ তো! তাই ফোন করার কথা সবসময় মাথায় থাকে না। হঠাৎ করে এসে পড়ে তোমাকে খুব অসুবিধার মধ্যে ফেলে দিলাম, তাই না?" বাথরুমের দরজার অনেকটা কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বললো তান্ত্রিক বিপুল।

এই কথার কোনো উত্তর এলো না বাথরুমের ভেতর থেকে। কিন্তু এত সহজে তো নগ্নদেহের উপর শুধুমাত্র একটি মাঝারি সাইজের ভেজা গামছা জড়ানো তার সদ্যস্নাতা দূর সম্পর্কের ভাইয়ের বউকে অব্যাহতি দেওয়ার পাত্র নয় নির্লজ্জ বেহায়াটা! তাই কয়েক মুহূর্ত অপেক্ষা করার পর বিপুল বাবু বাথরুমের দরজার আরও কাছে সরে গিয়ে গলার স্বর আরও একটু নামিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, "কি হলো বৌমা .. কিছু বললে না যে? ভেজা গামছা জড়িয়ে বাথরুমের ভেতরে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকো না। গায়ে জল বসে গেলে জ্বর আসতে পারে।"

"আ..আপনি একটু বাইরে যান না প্লিজ। আমি পুজো করবো!" বাথরুমের ভেতর থেকে মৃদুস্বরে বলে উঠলো তার ভাইয়ের স্ত্রী।

"ও আচ্ছা পুজো করবে? এ তো ভালো কথা। এয়ো-স্ত্রী তুমি, তার উপর এক সন্তানের জননী .. গৃহস্থের কল্যাণের জন্য তো পুজো করাই উচিৎ .. ও আচ্ছা এবার বুঝেছি, আসলে তুমি কাপড়জামা পড়বে, সেজন্য আমাকে বেরিয়ে যেতে বলছো, তাই তো?" বাথরুমের দরজার সামনে থেকে এক চুলও না সরে জিজ্ঞাসা করলো বিপুল বাবু।

"না মানে ঠিক তা নয়, পুজো করার পর আমি কাচা জামাকাপড় পরি।" এবারও গলার স্বর নামিয়েই কথাগুলো বললো তার ভাইয়ের স্ত্রী।

"পুজো করার পর জামাকাপড় পড়ো? আর পুজো করার সময়?" তার ভাসুরের এই অবান্তর এবং অপ্রীতিকর প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর বাথরুমের ভেতর থেকে নন্দনা দেবী একটা শব্দ একাধিকবার উচ্চারণ করে কুণ্ঠিতভাবে বললো, "যে..যেটা এখন পড়ে আছি ম..মানে এই গামছাটা প..পড়েই পু..পুজো করি। আপনি প্লিজ বেডরুমের বাইরে যান একটু।"

~ কিছুক্ষণের মধ্যেই পরবর্তী আপডেট আসছে ~
[+] 13 users Like Bumba_1's post
Like Reply
চিরন্তন বরাবরই তার উপস্থিতি অপছন্দ করে। তাই তার ভাই বাড়িতে থাকলে এখানে এর আগে সে যতবার এসেছে, প্রত্যেকবারই একবেলার বেশি থাকার সুযোগ ঘটেনি তার। এমতাবস্থায় সদ্যস্নাতা শুধুমাত্র গামছা পরিহিতা তার ভাইয়ের স্ত্রীর উত্তেজক রূপের এক ঝলক দেখে শরীরের কামক্ষুধা হাজারগুন বেড়ে গেলেও অতিরিক্ত হ্যাংলামি করে তার ভাই চিরন্তনের অনুপস্থিতির সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইলো না সে। তাই কিছুটা অনিচ্ছা সত্ত্বেই "ঠিক আছে, আমি বাইরে গিয়ে বসছি। তুমি নিশ্চিন্তে বাথরুম থেকে বেরিয়ে পূজা করে নাও.." এইটুকু বলে বেডরুম থেকে বেরিয়ে গেলো বিপুল বাবু।

বেডরুম থেকে বেরিয়েই ডাইনিং স্পেস। বিপুল বাবু ভেবেছিলো ডাইনিং টেবিলের একটা চেয়ার নিয়ে এসে বেডরুমের দরজার আড়াআড়ি পজিশনে রেখে সেখানে বসবে। এর ফলে তার ভাইয়ের স্ত্রী বাথরুম থেকে বেরিয়ে শোওয়ার ঘরের দরজা বন্ধ করতে এলে পুনরায় তার সেই অর্ধনগ্ন রূপ দেখতে পাবে সে। কিন্তু ডাইনিং টেবিলের কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করার আওয়াজ কানে এলো তার। তৎক্ষণাৎ ঘাড় ঘুরিয়ে পিছন ফিরে বিপুল বাবু দেখলো বেডরুমের দরজা বন্ধ হয়ে গেলো। তারমানে সে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার পিছন পিছন বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে তার ভাইয়ের স্ত্রী শোওয়ার ঘরের দরজাটা আটকে দিয়েছে। এটা বুঝতে পেরে, "দেখে যতটা বোকা মনে হয়, ততটা বোকা নয় মাগীটা। ঠিক হ্যায়, কুছ পরোয়া নেহি। খেলা তো এখন সবে শুরু হয়েছে। প্রথমে এই বাড়িতে থেকে যাওয়ার রাস্তাটা পরিষ্কার করতে হবে আমাকে।" এইরূপ স্বগতোক্তি করে ড্রয়িংরুমে বসে সকালে দেওয়া তার মায়ের অঙ্কগুলো নিয়ে তখনো কসরত করতে থাকা বাপ্পার কাছে গিয়ে বসলো বিপুল বাবু।

"কাল সকালে তো পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে তোকে মন্ত্রপূত ফুল দেবোই, কিন্তু তার আগে এখন তোকে এমন কয়েকটা অদ্ভুত কৌশল শিখিয়ে দেবো যাতে, কঠিন কঠিন অঙ্কগুলোও সহজে করে ফেলতে পারবি তুই। তার জন্য কিন্তু তোকে একটা কাজ করতে হবে। বল, করবি তো?" বাপ্পার পাশে বসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে জিজ্ঞাসা করলো তার বিপুল জেঠু।

ভয়ঙ্কর এবং কদাকার শারীরিক রূপের জন্য তাকে যমের মতো ভয় পেলেও, কিছুক্ষণ আগে উপহার পাওয়া 'চাইনিজ চেকার বোর্ড গেম' , তৎসহ ভালো ভালো মিষ্টান্ন (এরই মধ্যে মিষ্টির বাক্স খুলে একটা মিষ্টি খেয়ে ফেলেছিলো বাপ্পা) এবং তার অঙ্কের প্রতি  ভীতি দূর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি .. এই সবকিছুর সম্মিলিত ফলস্বরূপ বিপুল জেঠুর প্রতি অগাধ আস্থা এবং একটা সফট কর্নার তৈরি হয়েছিলো বাপ্পার। তাই মাথা নাড়িয়ে তার জেঠুর কথায় সম্মতি জানালো সে। কিন্তু তার শিশুমন জানতেও পারলো না, এই সম্মতি প্রদানের সাথে সাথেই শুরু হয়ে গেলো তার উপর সম্মোহন পদ্ধতি।

"মাথা থেকে সব চিন্তা, সব ভাবনা দূর করে দে এই মুহূর্তে। আমার চোখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাক .. আমি যা যা প্রশ্ন করবো, সবকটার উত্তর তোকে দিতে হবে .. কেমন?" বাপ্পার চোখের ঠিক সামনে নিজের রক্তবর্ণ চোখদুটো নিয়ে গিয়ে ফিসফিস করে কথাগুলো বললো তান্ত্রিক বিপুল।

তার জেঠুর চোখের দিকে তাকিয়ে সম্মতিসূচক মাথা নাড়ালো বাপ্পা।

- "বাপ্পাআআআ .. এই বাপ্পাআআআ .. শুনতে পাচ্ছিস আমার কথা?"

- "হুঁ .."

- "এখন মাথার ভেতরটা অনেকটা হাল্কা লাগছে, তাই না?"

- "হুঁ .. শরীরটাও .."

- "এবার আমি যে কথাগুলো বলবো .. সেগুলো আমার সঙ্গে সঙ্গে তুইও বলবি, কেমন?"

- "আচ্ছা .."

"হাফ-ইয়ার্লি পরীক্ষার সিলেবাসের অন্তর্গত নব গণিত মুকুলের প্রশ্নমালার সবকটা অঙ্ক আমি আজ বিকেলের মধ্যে সঠিকভাবে কষে ফেলবো।"

তান্ত্রিক বিপুলের বলা প্রত্যেকটি কথাই প্রতিধ্বনিত হলো বাপ্পার কন্ঠে। তারপর আবার বলতে শুরু করলো তান্ত্রিকটা।

- "বাপ্পাআআআ .. শুনতে পাচ্ছিস আমার কথা?"

- "হুঁ .."

- "তোর বাবা এখান থেকে যাওয়ার পর, তুই জানিস এইরকম যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে‌ .. তার সবকটা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে খুলে বল আমাকে। তাড়াতাড়ি .. বেশি সময় কিন্তু হাতে নেই।"

সম্মোহিত বাপ্পা তাদের বাড়িতে সাপ ঢোকার গল্প থেকে শুরু করে, আগের দিন পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফিরে তার হার্জিন্দার আঙ্কেলের সঙ্গে আরও দুই অপরিচিত ব্যক্তিকে তাদের বাড়িতে দেখা ও তার মায়ের শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাদের চিকিৎসা করতে আসার কথা, এবং সবশেষে আগের দিন ফোনে তার বাবা এবং মায়ের মনোমালিন্যের কথা .. সমস্ত কিছু ব্যক্ত করলো তার বিপুল জেঠুর সামনে।

সবকিছু শোনার পর তান্ত্রিক বিপুলের মুখে একটা শয়তানের হাসি ফুটে উঠলো। তার কার্যসিদ্ধি হয়েছে এটা বুঝতে পেরে মধ্যমা আর বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের সশব্দ চুটকিতে বাপ্পার সম্মোহন ভাঙলো তার বিপুল জেঠু। ঠিক সেই মুহূর্তে, "বাপ্পা .. কোথায় তুমি? আর উনি, মানে তোমার জেঠু কি চলে গেছেন?" এইরূপ উক্তি করে বেডরুমের দরজা খুলে বেরোলো নন্দনা দেবী।

★★★★

স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পর মাথাটা কিরকম যেন ঝিমঝিম করছিলো তার। অথচ কিছুক্ষণ আগে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনাও মনে পড়লো না বাপ্পার। "যাই মা .." বলে দৌড়ে ডাইনিংরুমের দিকে ছুটে গেলো সে। বাপ্পা বেরিয়ে যেতেই ড্রয়িংরুমে যে সোফায় এতক্ষণ সে বসেছিলো, সেটার উপরে দুই পা ভাঁজ করে পদ্মাসনে ধ্যান করার ভঙ্গিমায় চোখ বন্ধ করে বসে রইলো তান্ত্রিক বিপুল।

"ও .. আপনি এখানে! আমি ভেবেছিলাম আপনি .." বৈঠকখানা ঘরে প্রবেশ করে এইটুকু বলেই থেমে গেলো নন্দনা দেবী।

তার ভাইয়ের স্ত্রীর গলার আওয়াজে যেন ধ্যানভঙ্গ হলো তার .. এরকম একটা ভান করে চোখ মেলে তাকালো বিপুল বাবু। খাটের উপর ছেড়ে রাখা তার ভাইয়ের স্ত্রীর জামা কাপড়গুলো আগেই দেখেছিলো সে .. সেখানে শাড়ি, সায়া আর অন্তর্বাসের সঙ্গে কালো রঙের স্লিভলেস ব্লাউজের উপস্থিতি চোখ এড়ায়নি তার। আসলে এর আগে যে কয়েকবার তার ভাই চিরন্তনের উপস্থিতিতে এই বাড়িতে বিপুল বাবু এসেছে, কোনোবারই রাত্রিবাস করার সুযোগ হয়নি তার পক্ষে, একবেলা থেকেছে বড়জোর। প্রত্যেকবারেই তার ভাইয়ের স্ত্রীকে শাড়ির সঙ্গে হাফস্লিভ ব্লাউজ কিংবা থ্রি-কোয়ার্টার ব্লাউজ পড়তে দেখেছে সে। তাই বিপুল বাবু ভেবেছিলো, তার সতীসাধ্বী ভাইয়ের বউ হয়তো তার সামনে হাতকাটা ব্লাউজ পরে আসবে না। হয়তো অন্যান্য বারের মতোই হাফস্লিভ ব্লাউজ বা হয়তো থ্রি-কোয়ার্টার ব্লাউজ পড়বে। কিন্তু তার সামনে যখন নন্দনা দেবী এসে দাঁড়ালো, তখন ভাইয়ের স্ত্রীর দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছিলো না তার ভাসুর।

"তুমি কি ভেবেছিলে বৌমা .. আমি চলে গেছি? সম্পর্কে আমি তোমার ভাসুর হই বৌমা! আচ্ছা ঠিক আছে, সম্পর্কের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম .. এই দুপুরবেলা একজন অভুক্ত ব্রাহ্মণ অতিথিকে চলে যেতে বলছো তুমি? ঠিক আছে তোমার যখন সেটাই ইচ্ছে আমি না হয় চলেই যাচ্ছি .." অভিমানের নাটক করে অনুযোগের সুরে তার ভাইয়ের স্ত্রীর উদ্দেশ্যে এইরূপ উক্তি করে তার শাড়ি আবৃত শরীরটাকে গিলে খেতে লাগলো বিপুল বাবু।

বিছানার উপর রাখা ঘরে পড়ার সবুজ রঙের অর্ডিনারি সুতির ছাপা শাড়িটা এবং কালো রঙের স্লিভলেস ব্লাউজ পরিহিতা বাপ্পার মাতৃদেবীকে দেখে সেইমুহূর্তে বিপুল বাবুর একজন জলজ্যান্ত যৌনতার দেবী ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছিলো না। কথোপকথনের ফাঁকে ফাঁকে তার শ্যেনদৃষ্টি দিয়ে মেপে নিতে থাকলো তার ভাইয়ের স্ত্রীর শরীরের আনাচ-কানাচ। কালো স্লিভলেস ব্লাউজের ভেতরে সাদা রঙের ব্রেসিয়ারের উপস্থিতি, মাথার উপর বন বন করে সিলিংফ্যান ঘুরতে থাকার দরুন কয়েকবার দুই হাত হাত তুলে পাখার হাওয়ায় উড়ে যাওয়া মাথার চুল ঠিক করতে যাওয়ার মুহূর্তে খুব ছোট ছোট করে ছাঁটা অত্যন্ত পাতলা কোঁকড়ানো চুলে ভরা ঘেমো বগল এবং হাওয়ার দাপটে বারকয়েক উড়ে যাওয়া শাড়ির আঁচলের তলা দিয়ে ঈষৎ চর্বিযুক্ত পেট আর তার মাঝখানে অত্যন্ত গভীর এবং বেশ বড়সড়ো  উত্তেজক নগ্ন নাভির দর্শন .. কোনো কিছুই চোখ এড়ালোনা তান্ত্রিকটার।

"এ মা .. ছিঃ ছিঃ, এসব আপনি কি বলছেন? আমি আপনাকে কখন চলে যেতে বললাম?" থতমত খেয়ে গিয়ে কৈফিয়ত দেওয়ার সুরে কথাগুলো বললো নন্দনা দেবী।

"মুখে বলোনি, কিন্তু মনে মনে সেটাই চেয়েছিলে আমি জানি। বলো, ঠিক বলছি কিনা?" যতটা সম্ভব তার ভাইয়ের বউকে আটকে রেখে তার সান্নিধ্য লাভ করা যায়, সেই উদ্দেশ্যে এই ধরনের অবান্তর কথাগুলো বলতে লাগলো বিপুল বাবু।

"না না .. বিশ্বাস করুন, এটা আপনার ভুল ধারণা। বেডরুম থেকে বেরিয়ে আপনাকে দেখতে না পেয়ে আপনি চলে গেছেন কিনা, এটাই শুধু আমি আমার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করছিলাম। কিন্তু আপনি দুপুরবেলা এসেছেন, না খাইয়ে আপনাকে আমি যেতে দেবো, এটা আপনি ভাবলেন কি করে? সামান্য কিছু রান্না হয়েছে, খেয়েদেয়ে বিশ্রাম করে তারপর যাবেন।" পুনরায় কৈফিয়ত দেওয়ার ভঙ্গিতে কথাগুলো বললো নন্দনা দেবী।

'তোর হাতের রান্না দুপুরে খাবো না আমি, কিন্তু রাতে অবশ্যই খাবো এবং তার সঙ্গে আরও অনেক কিছু খাবো। খাইয়ে-দাইয়ে আমাকে আমাকে বিদায় করতে চাইছিস মাগী? কিন্তু আজ রাতে যে আমি এখানে থাকবো! এমন জাল বুনেছি যে, সেই জাল কেটে বেরোনো তোর পক্ষে সম্ভব নয়।' কথাগুলো ভাবতে ভাবতে মুখমণ্ডলে হাসি ফুটে উঠলো তান্ত্রিক বিপুলের। সেটা দেখে নন্দনা দেবী জানতে চাইলো, "হাসছেন যে?"

"ও কিছু নয় .. তোমার পুজো হয়ে গেছে?" শাড়ি আর স্লিভলেস ব্লাউজের আড়ালে তার ভাইয়ের স্ত্রীর নগ্ন শরীরটাকে কল্পনা করতে করতে জিজ্ঞাসা করলো বিপুল বাবু।

"হ্যাঁ .. আমি রোজ স্নানের পর ভক্তিভরে পূজো করি। বিয়ের পর থেকেই সংসারের মঙ্গলের কামনায় এটা করে আসছি।" সরল মনে উত্তর দিলো নন্দনা দেবী।

"সে তো করাই উচিৎ .. কিন্তু আমার তো মনে হয় এত ভক্তিভরে পুজো-টুজো করেও বিশেষ লাভ হচ্ছে না! আমি দিব্যচক্ষে দেখতে পাচ্ছি সামনে ঘোরতর বিপদ আসতে চলেছে তোমার।" খুব স্বাভাবিক অথচ ইঙ্গিতপূর্ণভাবে কথাগুলো বললো বিপুল বাবু।

"বিপদ? আমার? কি বলছেন এসব?" কিছুটা অবিশ্বাসের সুরে অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো নন্দনা দেবী।

"আমার কথাগুলো বিশ্বাস করতে পারছো না, তাইতো? ভাবছো, আমি কি করে তোমার আগাম বিপদের কথা জানতে পারলাম! ভুলে যেওনা বৌমা, বহুবছর ধরে আমি তন্ত্রসাধনা করে আসছি। পিশাচসিদ্ধ বাবা লিঙ্গ মহারাজের প্রিয় শিষ্য আমি। তন্ত্রবলে আমি সব জানতে পারি। সময়টা একদম ভালো যাচ্ছে না তোমার এবং তোমার পরিবারের সদস্যদের জন্য। কে বলতে পারে আজ রাতেই হয়তো তোমাদের ক্যাম্পাসে দুষ্কৃতীরা হামলা করলো! সেই হামলার প্রতিক্রিয়া তোমাদের উপরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়াও আমি সর্প দংশনের ঘোরতর সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি তোমার পরিবারের সদস্যদের উপর এবং সেটা আজ রাতেই।" গলায় কিছুটা গাম্ভীর্য এনে তার ভাইয়ের স্ত্রীর চোখে চোখ রেখে কথাগুলো বললো তান্ত্রিকটা।

সকালেই সে কাজের মাসি মালতীর কাছ থেকে শুনেছে ফ্যাক্টরিতে নাকি ভীষণ বিক্ষোভ হচ্ছে শ্রমিকদের। বিক্ষোভের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে মালিকপক্ষকে ছুটে আসতে হয়েছে এখানে। সেই শ্রমিকরূপী দুর্বৃত্তরা যদি হামলা করে তাদের ক্যাম্পাসে! সর্বোপরি তাদের কোয়ার্টারে সাপের আগমন সে নিজের চোখে না দেখলেও, তার কথা কথা তো সে হার্জিন্দার আর মালতী দু'জনের কাছ থেকেই শুনেছে! তার মানে এই দুটোই সত্য ঘটনা। কিন্তু এই ঘটনাগুলো তো উনার পক্ষে জানা সম্ভব নয়! তাহলে কি এই সবকিছুই উনার তন্ত্র সাধনার ফল? নাকি তার ছেলে বাপ্পার কাছ থেকে উনি এগুলো শুনে বলছেন! বিপুল বাবুর মুখে কথাগুলো শোনার পর, "খাবার বাড়ছি, খেতে আসুন .." এইটুকু বলে ওখানে আর দাড়ালো না নন্দনা দেবী।

★★★★

দ্রুত ডাইনিংরুমে প্রবেশ করে টেবিলে প্লেটগুলো সাজাতে সাজাতে তার ভাসুরের কথাগুলোই কানে বাজছিলো নন্দনা দেবীর। 'বাপ্পা কোথায়? ওকে তো দেখছি না .. নিশ্চয়ই ভিডিও গেম খেলছে‌..' , এই কথা মনে হওয়াতেই পেছনের অর্থাৎ পশ্চিম দিকের বেডরুমটাতে ঢুকে সে দেখলো .. তার ছেলে খাটের উপর বসে এক মনে অঙ্ক কষে যাচ্ছে। যে ছেলেকে মেরে-ধরে পড়তে বসানো যায় না। সে নিজে থেকেই ঘরের এক কোণে বসে অঙ্ক কষে যাচ্ছে .. এটা ভেবেই প্রথমে ভীষণ রকম অবাক হয়ে গেলো নন্দনা দেবী। তারপর ছেলের কাছে গিয়ে তার থেকে অঙ্কের খাতাটা নিয়ে দেখলো একদিন আগেও যে অঙ্কগুলো করতে গিয়ে বাপ্পা বারবার হোঁচট খাচ্ছিলো, হাফ-ইয়ার্লি পরীক্ষার সিলেবাসের অন্তর্গত গণিত বইয়ের প্রশ্নমালার অন্তর্গত সেই অঙ্কগুলো একটার পর একটা নির্ভুলভাবে করা হয়েছে সেখানে। অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তার ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে নন্দনালীন প্রশ্ন করলো, "এগুলো তুই করেছিস, বাবু?"

"হুঁ .." একটা প্রশ্ন করলে তার উত্তরে হাজারটা কথা বলা বাপ্পা শুধুমাত্র এইটুকুই বললো।

"আচ্ছা, তুই কি তোর জেঠুকে কিছু বলেছিস? মানে, আমাদের বাড়িতে সাপ ঢোকার ব্যাপারে?" তার মায়ের মুখে এই কথা শুনে, "না তো .. আমার সঙ্গে তো জেঠুর কোনো কথাই হয়নি .." এইটুকু বলে আবার অঙ্ক কষাতে মন দিলো বাপ্পা।

"ঠিক আছে খেতে আয় .. খেয়ে দেয়ে উঠে আবার পড়তে বসবি .." তার ছেলের উদ্দেশ্যে এইটুকু বলে চিন্তিত মুখে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো নন্দনা দেবী। তারপর খাবার ঘর পেরিয়ে বৈঠকখানা ঘরে প্রবেশ করে দেখলো নিজের প্রকাণ্ড ঝোলাটা কাঁধে নিয়ে সদর দরজা খুলে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হচ্ছে বিপুল বাবু।

"এ কি, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?" অবাক হয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো নন্দনা দেবী।

"তুমি আমার কথা বিশ্বাস করোনি বৌমা, তুমি ভেবেছো আমি হয়তো ছলচাতুরি করে এইসব জেনেছি। আমার ভাই চিরন্তন তোমার মনে আমার সম্পর্কে যে বিষ ঢেলেছে এবং তার জন্য তুমি আমাকে যতটা খারাপ লোক মনে করো, আমি ততটাও খারাপ নয়। আসলে তোমার মনের কথাও আমি মন্ত্রবলে পড়তে পারি। যেখানে বিশ্বাস নেই, ভরসা নেই .. সেখানে আমি জলস্পর্শ করি না। আমি চললাম আমার এক ভক্তের বাড়ি, সেখানেই দুপুরের স্নানাহার করবো। যদি কখনো বিপদে পড়ো এবং সেই বিপদ থেকে একমাত্র আমিই তোমাকে বা তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারি, আমার প্রতি যদি এমন বিশ্বাস আর ভরসা জন্মায় .. তাহলে আমাকে ডেকো, আমি অবশ্যই আসবো। তোমার ছেলের অঙ্কের খাতার শেষ পৃষ্ঠায় আমার ফোন নম্বর লেখা আছে .." এইটুকু বলে সদর দরজা খুলে হনহন করে বেরিয়ে গেলো তান্ত্রিক বিপুল। সেই দিকে অবাক হয়ে চেয়ে রইলো নন্দনা দেবী।

মা আর ছেলে মিলে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করলো। বাপ্পার ব্যবহার, তার শরীরের ভাষা .. আজ কিছুই যেন মিলছিলো না অন্যদিনের সঙ্গে। সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে করছিলো তার ছেলে, কিন্তু কোনো কথা জিজ্ঞাসা না করলে নিজে থেকে মুখে একটা কথাও বলছিলো না সে। দুপুরের আহারাদি সমাপ্ত করে আবার নিজের ঘরে গিয়ে পড়তে বসে গেলো বাপ্পা।

এদিকে বিপুল বাবুর বলা শেষ কথাগুলো কিছুতেই ভুলতে পারছিলো না নন্দনা দেবী। 'মানুষটা তো মিথ্যে কথা বলে নি .. তার স্বামীর জন্যই তো সে অপছন্দ করে ওই লোকটাকে। কিন্তু অল্পবয়সে কে বিপথে গিয়ে কি করেছে .. তার জন্য সে চিরকাল ক্ষমার অযোগ্য হয়ে থাকবে, এটা তো একদমই ঠিক নয়। ওই মানুষটা তো কোনোদিন তাদের কোনো ক্ষতি করেনি। বরং যখনই সে তাদের বাড়িতে মাত্র একবেলার জন্য এসেছে, দামী দামী উপহার নিয়ে এসেছে। আজও তো তার ছেলের জন্য একটা দামি উপহার নিয়ে এসেছে এবং তার সঙ্গে কত বড় একটা মিষ্টির প্যাকেট। তারপর একটু আগে তাদের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে যে কথাগুলো সে বললো, সেগুলোর সম্ভাবনাও তো উড়িয়ে দেওয়া যায় না! অথচ একটা কথাও তাকে বাপ্পা বলেনি, সে নিজের মুখে এ কথা স্বীকার করেছে। তারমানে, লোকটা ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী। আর সেই মানুষটাই কিনা অভুক্ত অবস্থায় দুপুরে তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো ..' কথাগুলো ভাবতে ভাবতে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলো নন্দনা দেবীর।

একসময় দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো, তারপর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলো .. তার ছেলে বাপ্পা এখনো পশ্চিমের বেডরুমটা থেকে বেরোয়নি। 'এখনো কি সে অঙ্ক করে যাচ্ছে!' এটা ভাবতে ভাবতে ওই ঘরে ঢুকে চমকে উঠলো নন্দনা দেবী।

[Image: 1651523193-82479-gif-url.gif]




পরবর্তী সারপ্রাইজ পর্ব যেকোনো দিন আসতে পারে 
সঙ্গে থাকুন এবং পড়তে থাকুন

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 13 users Like Bumba_1's post
Like Reply
উওেজিত কোনো কিছুই পেলাম না।
banana :
Never Give Up banana 
Like Reply
ফাটাফাটি..চালিয়ে যাও ওস্তাদ।
I'm the King of Dark
                &
I rule over all Devils
               devil2 devil2
[+] 1 user Likes Monen2000's post
Like Reply
এইবার যেন অনুভব করছি গল্পে একটা নতুন মোড় আসতে চলেছে। এই প্রথম তোমার ইরো গল্পে এমন একজন চরিত্র এলো যে রক্ত মাংসের মানুষ হয়েও আর পাঁচটা মানুষের মতন সাধারণ নয়। একটু আলাদা। আর সেই আলাদা ব্যাপারটাকে সে কাজে লাগায় কুকাজে। তার মধ্যেকার যতটুকু শক্তির উদ্ভব হয়েছে সেটা সে একপ্রকার বিনাশশক্তির উদ্দেশে ব্যবহার করে। মনের অন্ধকারে লুকিয়ে চুপিসারে কাজ চালিয়ে যাওয়া শয়তান তো আমরা অনেক পড়লাম, এবার না হয় সত্যিই অন্ধকারের পূজারী এক মানুষের সম্পর্কে জানবো।

যদিও আমি কেউ নয় অন্যের গল্পে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করার তবে তুমি জানোই যে এই বিশেষ ব্যাপারে আমার আগ্রহ আছে। তা সে আমার ভয় সিরিজ হোক বা উপভোগ আর অভিশপ্ত বাড়ি গল্প। তাই বলছি এর অতীত সম্পর্কে কিছু সামান্য হলেও ব্যাখ্যা করতে পারো মানে অতীতের নোংরামির ব্যাপারে আর পাশাপাশি বর্তমানে সে রিপুর টানে কতটা প্রয়োগ করতে পারে সেটাও। বিপুল বাবুর বিপুল ক্ষমতা জানার অপেক্ষায় রইলাম।

উফফফফ আগের বারে অমল বাবু অফিসের বাথরুমে হালকা হতে বাধ্য হয়েছিলেন অমন পর্ব পড়ে। এবারের পর্ব পড়ে ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে ভেবেই তো....... Big Grin Tongue
[+] 3 users Like Baban's post
Like Reply
Wow....
[+] 1 user Likes Luca Modric's post
Like Reply
(27-05-2023, 08:39 PM)Sayim Mahmud Wrote: উওেজিত কোনো কিছুই পেলাম না।

আচ্ছা 

(27-05-2023, 08:56 PM)Monen2000 Wrote: ফাটাফাটি..চালিয়ে যাও ওস্তাদ।

অনেক ধন্যবাদ বন্ধু  thanks
Like Reply
(27-05-2023, 09:33 PM)Baban Wrote:
এইবার যেন অনুভব করছি গল্পে একটা নতুন মোড় আসতে চলেছে। এই প্রথম তোমার ইরো গল্পে এমন একজন চরিত্র এলো যে রক্ত মাংসের মানুষ হয়েও আর পাঁচটা মানুষের মতন সাধারণ নয়। একটু আলাদা। আর সেই আলাদা ব্যাপারটাকে সে কাজে লাগায় কুকাজে। তার মধ্যেকার যতটুকু শক্তির উদ্ভব হয়েছে সেটা সে একপ্রকার বিনাশশক্তির উদ্দেশে ব্যবহার করে। মনের অন্ধকারে লুকিয়ে চুপিসারে কাজ চালিয়ে যাওয়া শয়তান তো আমরা অনেক পড়লাম, এবার না হয় সত্যিই অন্ধকারের পূজারী এক মানুষের সম্পর্কে জানবো।

যদিও আমি কেউ নয় অন্যের গল্পে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করার তবে তুমি জানোই যে এই বিশেষ ব্যাপারে আমার আগ্রহ আছে। তা সে আমার ভয় সিরিজ হোক বা উপভোগ আর অভিশপ্ত বাড়ি গল্প। তাই বলছি এর অতীত সম্পর্কে কিছু সামান্য হলেও ব্যাখ্যা করতে পারো মানে অতীতের নোংরামির ব্যাপারে আর পাশাপাশি বর্তমানে সে রিপুর টানে কতটা প্রয়োগ করতে পারে সেটাও। বিপুল বাবুর বিপুল ক্ষমতা জানার অপেক্ষায় রইলাম।

উফফফফ আগের বারে অমল বাবু অফিসের বাথরুমে হালকা হতে বাধ্য হয়েছিলেন অমন পর্ব পড়ে। এবারের পর্ব পড়ে ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে ভেবেই তো....... Big Grin Tongue

প্রথমেই জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ  Namaskar তোমার অনুরোধ পালন করার অবশ্যই চেষ্টা করবো। আর অমল বাবুর সম্পর্কে এইটুকুই বলতে পারি .. এর পরের পর্বগুলি থেকে হিসু করার ছলে বাথরুমে এসে, তাকে বারবার দুষ্কর্ম করতে হতে পারে।  Tongue

(27-05-2023, 09:39 PM)Luca Modric Wrote: Wow....

thank you ..
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
(27-05-2023, 09:52 PM)Bumba_1 Wrote: প্রথমেই জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ  Namaskar  তোমার অনুরোধ পালন করার অবশ্যই চেষ্টা করবো। আর অমল বাবুর সম্পর্কে এইটুকুই বলতে পারি .. এর পরের পর্বগুলি থেকে হিসু করার ছলে বাথরুমে এসে, তাকে বারবার দুষ্কর্ম করতে হতে পারে।  Tongue


thank you ..

আরে আরে যাচ্চো কোথায় দিচ্ছি আমি খেতে
বাবলির মা খাবার বারো আসছি আমি মুতে
বাথরুমেতে ঢুকে এসে দরজা খানা লাগিয়ে
অমল বাবু ফোনটা হাতে যায় আরেকটু এগিয়ে
গসিপি পাতায় ঢুকে শেষে নন্দনা থ্রেড খুলে
পড়তে করলো শুরু সে যে সবটুকু যে ভুলে
বুম্বা বাবুর লেখনী আর বাপ্পা বাবুর মামনি
সবটুকু যে পড়তে পড়তে ফুলে উঠলো ধমনী
কি লিখেছে লোকটা রে ভাই সাংঘাতিক তো ভীষণ
এসব পড়ে আপন মনেই করলো  নিজেরে শাসন
ওরে অমল সামলা নিজেরে নইলে পড়বি যে তুই ধরা
বৌ মেয়ে যে অপেক্ষাতে আর এদিকে ধরে তুই বাঁড়া!
দোষ পুরোটাই কিকরেই বা চাপে অমল বাবুর মাথায়
অমন গপ্পো পড়লে কি ভাই সামলে আর থাকা যায়?
অন্তরের ওই পোকাগুলো কাটুস কুটুস কাটে
আজকে রাতেই বাবলি মাকে নামাতেই হবে মাঠে
ছক্কা হাকিয়ে থামবে আজকে মোদের অমল বাবু
ওই দিকেতে বাপ্পা মাম্মাম অনেকেরই হাতে হবে কাবু

- বাবান
[+] 3 users Like Baban's post
Like Reply
প্রথমেই বলি , জাস্ট ফাটাফাটি। হয়ত অসাধারণ শব্দ টা কম হয়ে যাবে। সিটি মারার মত গল্প এগোচ্ছে। তবে দাদা আপনিই বলুন এই 7 টা দিন অনেক কষ্টে অপেক্ষা করার পরে পাওয়া update এ এই মারাত্তক suspence তৈরি হল , নিজেকে কি ধরে রাখা যায় ?? পাঠক কুলের জন্য আর কিছু মনি মানিক্য দিন । ( আমি সেই শ্রেণীর পাঠক যারা গোগ্রাসে গল্পের বই শেষ করে ফ্যালে কেনার পরেই)
[+] 1 user Likes Mess7's post
Like Reply
কিছু লেখক থাকে, যারা বেশি বাতেলা না ঝেড়ে নিজের অসাধারণ লেখনীর মাধ্যমে পাঠকদের একটার পর একটা আব্দার আর দাবি মিটিয়ে তাদের মনোরঞ্জন করে চলে। তুমি সেই লেখকদের মধ্যে অন্যতম সেরা। যখন mental stress চরম সীমায় পৌঁছয়, তখন সেটা প্রশমিত করার জন্য আমরা জানি আমাদের জন্য বুম্বার দেওয়া আপডেট অপেক্ষা করে রয়েছে। এই ভাবেই এগিয়ে চলো বন্ধু আর আমাদের আনন্দ দিয়ে যাও।  yourock

[Image: Images-2-2-1.jpg]

[+] 1 user Likes Somnaath's post
Like Reply
(28-05-2023, 12:16 AM)Mess7 Wrote: প্রথমেই বলি , জাস্ট ফাটাফাটি। হয়ত অসাধারণ শব্দ টা কম হয়ে যাবে। সিটি মারার মত গল্প এগোচ্ছে। তবে দাদা আপনিই বলুন এই 7 টা দিন অনেক কষ্টে অপেক্ষা করার পরে পাওয়া update এ এই মারাত্তক suspence তৈরি হল , নিজেকে কি ধরে রাখা যায় ?? পাঠক কুলের জন্য আর কিছু মনি মানিক্য দিন ।  ( আমি সেই শ্রেণীর পাঠক যারা গোগ্রাসে গল্পের বই শেষ করে ফ্যালে কেনার পরেই)

প্রথমেই জানাই অনেক ধন্যবাদ  thanks পাঠকদের মনের মধ্যে আগামী পর্বের জন্য সাসপেন্স তৈরি করতে পারার মধ্যে দিয়েই তো একজন প্রকৃত লেখকের মুন্সিয়ানা প্রকাশ পায়। আর আপনার জ্ঞাতার্থে জানাই .. এর পরের দুটি সারপ্রাইজ পর্বের জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না, তার আগেই চলে আসবে। 

(28-05-2023, 09:19 AM)Somnaath Wrote: কিছু লেখক থাকে, যারা বেশি বাতেলা না ঝেড়ে নিজের অসাধারণ লেখনীর মাধ্যমে পাঠকদের একটার পর একটা আব্দার আর দাবি মিটিয়ে তাদের মনোরঞ্জন করে চলে। তুমি সেই লেখকদের মধ্যে অন্যতম সেরা। যখন mental stress চরম সীমায় পৌঁছয়, তখন সেটা প্রশমিত করার জন্য আমরা জানি আমাদের জন্য বুম্বার দেওয়া আপডেট অপেক্ষা করে রয়েছে। এই ভাবেই এগিয়ে চলো বন্ধু আর আমাদের আনন্দ দিয়ে যাও।  yourock

অফিসের কাজ, সাংসারিক কাজ, শারীরিক অসুস্থতা .. এই সবকিছু সামলে যখন এই ফোরামের কিছু লেখার জন্য কলম ধরি (এক্ষেত্রে অবশ্য কি-বোর্ডে টাইপ করি বলাটাই যুক্তিযুক্ত) তখন অবাঞ্ছিত কিছু (অ)মানুষের দ্বারা বারবার রাজনীতির শিকার হতে হতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়ে একসময় মনে হয় লেখা বন্ধ করে দিই। তারপর যখন তোমাদের মতো পাঠকদের মন্তব্য চোখে পড়ে, তখন আবার লেখার উৎসাহ ফিরে পাই। এই ভাবেই সঙ্গে থেকো সবসময়।  thanks



আগের পৃষ্ঠায় নতুন পর্ব এসে গিয়েছে যাদের পড়া হয়নি, চাইলে পড়ে নিতে পারেন।
[+] 2 users Like Bumba_1's post
Like Reply




Users browsing this thread: Jitjfgiz, 1 Guest(s)