Thread Rating:
  • 86 Vote(s) - 2.95 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Erotic Thriller নন্দনা - NOT OUT (সমাপ্ত)
আচ্ছা ধীরেন বাবু ও বন্দনার ম্যাসাজ এর কেও ছবি দিতে পারবে। অর্ধখোলা পাছা প্যন্টি নীচে নামানো উফফফ।
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
(10-07-2023, 03:14 PM)Rohan raj Wrote: আচ্ছা ধীরেন বাবু ও বন্দনার ম্যাসাজ এর কেও ছবি দিতে পারবে। অর্ধখোলা পাছা প্যন্টি নীচে নামানো উফফফ।

[Image: 41816421.gif]

This is for you 

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 2 users Like Sanjay Sen's post
Like Reply
(10-07-2023, 03:55 PM)Sanjay Sen Wrote:
[Image: 41816421.gif]

This is for you 

 Thank you so much.তবে আমার মনে হয় বন্দনার পাছাখানা আরও বেশি সুন্দর। আর অর্ধনগ্না
 রূপের বেশি আগুন।
Like Reply
[Image: Polish-20230709-093814553.jpg]

(৩)

রবিবার .. ছুটির দিন, তাই সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিলো সৈকতের। ঘুম ভেঙেই আগের দিন রাতে আলফা গ্রেট ওরফে ইউসুফের সঙ্গে হওয়া কথাগুলো মনে পড়ে যাওয়াতে ধড়মড় করে বিছানা থেকে উঠে বাথরুম থেকে ফ্রেস হয়ে এসে বাইরে যাওয়ার জামাকাপড় পড়ে যখন খাওয়ার টেবিলে বসে তার মা'কে খেতে দিতে বললো, ঘড়িতে তখন অলরেডি সোয়া ন'টা বেজে গিয়েছে।

রবিবার সকালে সৈকতদের বাড়িতে বরাবরই লুচি হয়। ছেলেকে লুচি আর সাদা আলুর তরকারি পরিবেশন করতে করতে বন্দনা দেবী জিজ্ঞাসা করলেন, "আজ সকালে যে তোকে ডাকতেই হলো না! নিজে নিজেই ঘুম থেকে উঠে বাইরে যাওয়ার জামাকাপড় পড়ে আমাকে খেতে দেওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছিস! আজ তো রবিবার, কোনো টিউশনিও নেই, কোথায় যাবি?"

নিজের মায়ের দিকে তাকিয়ে সৈকত দেখলো, মাথার ঠিক উপরে খোঁপা বেঁধে গতকালের মতোই ঊর্ধাঙ্গের অন্তর্বাস ছাড়াই সাদার উপর গোলাপী জংলা প্রিন্টের সুতির কাপড়ের একটা পাতলা ফিনফিনে স্লিভলেস নাইটি পড়ে রয়েছে তার মা। রাতে শুতে যাওয়ার আগে শাড়ি ছেড়ে এটাই তো তার মা পড়েছিলো। তার মায়ের এই পোশাক দেখে মনে মনে প্রমাদ গুনলো সৈকত। আজ এই বাড়িতে ইউসুফ ভাইয়ের আসার কথা। ও আসার আগে যেন মা স্নান করে শাড়ি পড়ে নেয়। কালকে মায়ের নাইটি পড়া ফটোটা দেখে ও যা করছিলো, তাতে করে তার মা'কে এই পোশাকে দেখে নিলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। একটা কথা ভেবে অবাক হলো সৈকত। গতকাল দুপুরে তাদের বাড়িতে আসা ধীরেন জেঠুর কথা তার কাছে বেমালুম চেপে গিয়েছে তার মা, এখনো পর্যন্ত সেই সম্পর্কে একটা কথাও বলেনি। এটাকেই বোধহয় বলে মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের গৃহবধূর লোকলজ্জার ভয়। অতঃপর তার মায়ের প্রশ্নের উত্তরে ইউসুফ ভাইয়ের শেখানো কথাগুলো বলে নাকে-চোখে-মুখে লুচি আর সাদা আলুর তরকারি খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো সৈকত।

বাড়ি থেকে বেরিয়ে বড় রাস্তার মোড়ে গিয়ে সেখান থেকে একটা টোটো ধরে কলেজের সামনে পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় দশটা বেজে গেলো। এইভাবে হঠকারিতা করে বেরিয়ে আসাটা কি তার আদৌ উচিৎ হলো? নাকি ভগবান যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন? কোন পথে এগোবে এবার তার এবং তাকে ঘিরে থাকা মানুষদের জীবন? এইসব আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে অজানা আশঙ্কার সঙ্গে একটা চাপা উত্তেজনার চোরা স্রোত বইছিলো সৈকতের মনের ভেতর।

★★★★

রবিবার কলেজের গেটের সামনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছিলো সৈকতের। তার মনে বারবার আশঙ্কা জাগছিলো, যদি কোনো চেনা লোক এসে তাকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করে তাহলে সে কি উত্তর দেবে? সবাই তো আর তার মায়ের মতো সরল সাদাসিধে নয় যে, যা কিছু একটা বুঝিয়ে দিলে বুঝে যাবে! এভাবে আরো পাঁচ মিনিট অতিবাহিত হয়ে গেলো, কিন্তু তার নতুন ভার্চুয়াল ফ্রেন্ড আলফা গ্রেটের তখনও আসার পাত্তা নেই। গতরাতেই পরস্পরের ফোন নম্বর এক্সচেঞ্জ হলেও নিজে থেকে ওকে ফোন করতে কিছুটা দ্বিধাবোধ করছিলো সৈকত।

দশটা বেজে দশ নাগাদ তার সামনে একটা 'রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক' মোটরবাইক এসে থামলো। "সরি, একটা কাজ পড়ে গিয়েছিল, তাই আসতে একটু দেরি হয়ে গেলো। তুই সৈকত তো?" মোটরবাইক আরোহীর এই উক্তিতে তার দিকে তাকিয়ে সৈকত দেখলো গতকাল ছবিতে তার দেখা ভীষণ ফর্সা, এক মাথা ঘন কালো চুল বিশিষ্ট, টিকোলো নাকের, খুব স্টাইলিশ ভাবে ছোট ছোট করে ছাঁটা এক মুখ দাড়ি, কটা চোখের ব্যক্তিটি বাস্তবে ছবির থেকেও অনেক বেশি সুপুরুষ। টকটকে লাল রঙের ব্র্যান্ডেড টি-শার্ট, নেভি ব্লু জিন্স আর কাঁধে আড়াআড়িভাবে নেওয়া একটি চামড়ার ল্যাপটপ ব্যাগ নিয়ে মোটরবাইকের উপর বসে থাকা ইউসুফকে দেখতে পুরো নায়কের মতো লাগছিলো। তবে ছবিতে সেইভাবে বোঝা না গেলেও ইউসুফের কটা চোখদুটো ভীষণ ক্রূর, বেশিক্ষণ ওই চোখের দিকে তাকিয়ে থাকা যায় না।

মুচকি হেসে সম্মতি জানানোর পর সৈকতের দিকে তাকিয়ে তাকে ইশারায় নিজের বাইকের পিছনে উঠতে বলে ইউসুফ বলে ছেলেটা বললো, "তুই তো কোনো ছবি পাঠাসনি তোর, দ্যাখ তবুও তোকে চিনে ফেললাম। তবে তোর মায়ের যা ফিগার আর যা মুখশ্রী দেখলাম, তার সঙ্গে তোর কোনো মিল নেই। আমার মনে হয় তোর বাবার ধাত পেয়েছিস তুই। কিন্তু এত রোগা হলে তো চলবে না বাবু! কসরত করতে হবে, তবেই আমার মতো ভাল চেহারা হবে তোর। যাইহোক এখন চল, অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে গিয়ে নিজের থেকে একটাও বাড়তি কথা বলবি না। যা বলার আমি বলবো। তুই শুধু আমার হ্যাঁ তে, হ্যাঁ মেলাবি .. কেমন? শুধু এইটুকু মাথায় রাখ .. তোদের কলেজ নিয়ে যে ডকুমেন্টারিটা হচ্ছে, সেই প্রজেক্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর আমি। বোঝা গেলো?"

"ঠিক আছে ইউসুফ ভাই। কিন্তু তুমি আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার মায়ের সঙ্গে, মানে আমি বলতে চাইছি .. তুমি কালকে মুখে যে কথাগুলো বলছিলে সেরকম কিছু করবে না তো বাড়িতে গিয়ে? আমার না ভীষণ ভয় করছে .." বাইকের পিছনে উঠতে উঠতে কুণ্ঠিতভাবে কথাগুলো বললো সৈকত।

"এ তো দেখছি ভীষণ ভীতুচোদা ছেলের পাল্লায় পড়া গেলো! আরে আমি কি বাঘ না ভাল্লুক, যে তোদের বাড়িতে গিয়েই তোর মা'কে আমি গপাং করে গিলে খেয়ে ফেলবো? তবে খেলা হবে, ভয়ঙ্কর খেলা হবে। তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ভালো কথা, স্মার্টফোনটা তোর মায়ের সামনে তোকে আমি দেবো।  চল এখন আমাকে ঠিকঠাক ডিরেকশন দিয়ে নিয়ে চল তোদের বাড়িতে।" কথাগুলো বলে সৈকতকে নিজের বাইকের পিছনে বসিয়ে ওদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো ইউসুফ।

★★★★

বাড়িতে পৌঁছাতে প্রায় এগারোটা বেজে গেলো ওদের। 'এতক্ষণে তো কাজের মাসি কাজ করে বাড়ি চলে যায়। ও কি চলে গেছে বাড়ি, নাকি এখনো রয়েছে? তার মায়ের কি স্নান হয়ে গিয়েছে? তার সঙ্গে আসা আগন্তুক ব্যক্তিটিকে দেখলে তার মা কি বলবে?' এই সমস্ত সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে কলিংবেল টিপলো সৈকত। দু'বার বেল টেপার পরেও কেউ দরজা না খোলায় সৈকতের আশঙ্কা সত্যিতে পরিণত হলো। সে বুঝতে পারলো কাজের মাসি কাজ করে চলে গিয়েছে আর তার মা নিশ্চয়ই এখন স্নান করতে ঢুকেছে। 'এমত অবস্থায় যতক্ষণ না তার মায়ের স্নান হয়, তাদের কি এইভাবে বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে? না কি তার মা এসে দরজা খুলবে? যদিও বা দরজা খোলে, তাহলে কি অবস্থায় খুলবে? নিশ্চয়ই দরজা খোলার আগে জিজ্ঞাসা করবে কে এসেছে! যদি জিজ্ঞাসা করে তাহলে তার সঙ্গে একজন রয়েছে এই কথা বলে তার মা'কে আগে থেকেই সাবধান করে দেবে সে।' আবার ভাবনার গভীরে ডুবে গেলো সৈকত।

"বাবু .. তুই এলি নাকি?" ভেতর থেকে বন্দনা দেবীর করা এই প্রশ্নে সৈকত কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলো, তার আগেই নিজের কটা এবং ক্রুর চোখদুটো দিয়ে সৈকতের দিকে তাকিয়ে ইশারায় তাকে শুধু 'হ্যাঁ' বলতে বললো ইউসুফ। অনেক চেষ্টা করেও তার গলা দিয়ে "হুঁ" এর বেশি আর একটা শব্দও বের করতে পারলো না সে। ছেলের গলার আওয়াজ পাওয়ার পর অবলীলায় দরজা খুলে দিলেন বন্দনা দেবী।

মায়ের দিকে তাকাতেই চমকে উঠলো সৈকত। সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তার দেখে যাওয়া ভেতরে ঊর্ধাঙ্গের অন্তর্বাস ছাড়া সাদার উপর গোলাপী জংলা প্রিন্টের সুতির কাপড়ের পাতলা ফিনফিনে স্লিভলেস নাইটিটা পড়ে রয়েছে তার মা। নাইটির ডান দিকের অনেকটা উঠিয়ে কোমরে প্যান্টির ইলাস্টিকের সঙ্গে বাইরে থেকে গোঁজা রয়েছে। এর ফলে বন্দনা দেবীর ডান পায়ের গোছ থেকে শুরু করে হাঁটুর উপরের বেশ কিছুটা অংশ উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। নাইটির সম্মুখভাগের প্রায় পুরোটাই ভিজে গিয়েছে। মাথার উপরে উঁচু করে বাধা খোঁপা থেকে টপটপ করে জল পড়ছে। সৈকত বুঝতে পারলো স্নান করতে যাওয়ার আগে কাপড় কাচছিলো তার মা। তারপর ঘাড় ঘুরিয়ে তার সঙ্গে আসা ইউসুফের দিকে তাকিয়ে দেখলো নিজের হিংস্র চোখদুটো দিয়ে সে গিলে খাচ্ছে তার মা'কে।

"এত বড় হয়ে গেলো, অথচ কোনো আক্কেল হলো না এখনো পর্যন্ত। বলবি তো তোর সঙ্গে একজন এসেছে!'' ভর্ৎসনার সুরে ছেলেকে কথাগুলো বলে প্যান্টির ইলাস্টিকের সঙ্গে গোঁজা নাইটির অংশটা খুলে দিলেন বন্দনা দেবী। তারপর ইশারায় দু'জনকে ভেতরে আসতে বলে দরজা থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।

ভিতরে ঢুকে বৈঠকখানার ঘরে গিয়ে পাখাটা চালিয়ে দিয়ে ইশারায় তার ছেলের সঙ্গে আসা আগন্তুক ব্যক্তিটিকে সোফার উপর বসতে বলে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন বন্দনা দেবী। তার আগেই তাকে থামিয়ে দিয়ে, "আপনি তো সৈকতের মা? আমি ওর থেকে বয়সে বেশ কিছুটা বড় হলেও, ওর পরিচিত এবং বন্ধুস্থানীয় বলা যায়। তবে আপনাকে আমি মোটেও আন্টি বলবো না, Because you don't look like aunty .. আপনি ভীষণ সুন্দরী এবং দারুণভাবে মেইন্টেইন করেছেন নিজেকে। হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন, আপনার ছেলের বয়স বাড়লেও বুদ্ধিশুদ্ধি কিছুই হয়নি। আমি ওকে বলতেই যাচ্ছিলাম যে ওর সঙ্গে একজন এসেছে সেটা আপনাকে বলতে। কিন্তু তার আগেই ও "হুঁ" বলে দিলো। ওর জন্যই তো আপনাকে এরকম embarrassing situation এ পড়তে হলো .." সব দোষ সৈকতের উপর চাপিয়ে তাকে আরো কোণঠাসা করে দিয়ে অথচ 'তার মা'কে দেখলে মোটেও আন্টি মনে হয় না', এই জাতীয় প্রশংসাসূচক ভঙ্গিতে কথাগুলো বললো ইউসুফ।

কয়েক মুহূর্ত বিরতি নিয়ে তারপর আবার সৈকতের নতুন ভার্চুয়াল বন্ধু আলফা গ্রেট ওরফে ইউসুফ বলতে শুরু করলো। "ওর বন্ধুস্থানীয় হলেও আমি কোনো ऐरा गैरा नत्थू खैरा নই .. well, let me introduce , আপনার ছেলের কলেজ নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি ফিল্ম হচ্ছে, সেই প্রজেক্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর আমি। এই প্রজেক্টের জন্যই আপনার ছেলেকে ডেকে পাঠানো হয়েছিলো কলেজ থেকে। আসলে কলেজের কিছু স্টুডেন্টের ইন্টারভিউ থাকবে ওই ডকুমেন্টারিটাতে। তার মধ্যে আপনার ছেলেরটাও রাখা হবে। ও বললো ওকে বাড়ি পৌঁছে দিতে, তাই নিয়ে এলাম। আগের থেকে তো ঠিক ছিলো না আপনার বাড়িতে আসবো, আগে জানলে আমাদের ওখানকার ফেমাস মিষ্টির দোকানের রসমাধুরী নিয়ে আসতাম .. দারুন খেতে। আসলে ছোট হোক বা বড় কেউ কারোর বাড়িতে গেলে হাতে করে কিছু একটা নিয়ে যেতে হয় অবশ্যই। ফিলহাল তো আমার কাছে  এটা রয়েছে .. this is for you .. এটা শুধু আপনার জন্য, ওকে একদম দেবেন না, হাহাহা .." হাসতে হাসতে কথাগুলো বলে নিজের ল্যাপটপ ব্যাগের ভেতর থেকে একটা ডেয়ারি-মিল্ক সিল্কের বড় প্যাকেট বের করে বন্দনা দেবীর দিকে বাড়িয়ে দিলো ইউসুফ।

কথায় বলে, 'আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী' .. ইউসুফের নায়কোচিত চেহারা দেখে এবং ইংরেজি আর হিন্দির সংমিশ্রণে তার কথা বলার স্টাইল শুনে প্রথমেই তার প্রতি ভালো ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিলো বন্দনা দেবীর। তারপর তার গুণের বহর, অর্থাৎ তার ছেলের কলেজের উপর যে ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি হচ্ছে সেই প্রজেক্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিটেক্টর এই ছেলেটি .. এটা শুনে তার প্রতি আরো কিছুটা উৎসাহ তৈরি হলো সৈকতের মায়ের। সবশেষে একজন অল্পবয়সী ছেলের মুখে নিজের রূপ এবং চেহারার প্রশংসা শুনে শতকরা নব্বই শতাংশ মহিলাদের মতোই বাইরে লজ্জা প্রকাশ করলেও ভেতর ভেতর যথেষ্ট খুশি হয়ে, "এসবের আবার কি দরকার ছিলো? ঠিক আছে আপনারা কথা বলুন, আমি একটু আসছি ভেতর থেকে .." এইটুকু বলে হাত বাড়িয়ে ডেয়ারি-মিল্ক সিল্কের প্যাকেটটা নিয়ে নিজের শোওয়ার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলেন বন্দনা দেবী।

তবে বেডরুমে ঢোকার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত গতকাল রাতে পড়া পাতলা সুতির কাপড়ের সাদার উপর গোলাপী জংলা প্রিন্টের স্লিভলেস নাইটির আবরণ ভেদ করে তার মায়ের ঢেউ খেলানো শরীরের সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠা গভীর স্তন বিভাজিকা, জলে ভিজে পেটের সাথে আঁটোসাঁটো নাইটিটা লেপ্টে গিয়ে অতিমাত্রায় প্রকট হয়ে ওঠা বিশাল বড় নাভিমূল, খাড়া খাড়া মাইয়ের বোঁটা সমেত শ্বাস-প্রশ্বাসের তালে তালে প্রবলভাবে ওঠানামা করতে থাকা ঊর্ধ্বাঙ্গের অন্তর্বাসবিহীন বড় বড় ফুটবলের মতো থলথলে মাংসল মাইজোড়া এবং পিছন ফিরে বেডরুমে ঢুকে যাওয়ার সময় তার মায়ের কুমড়োর মতো বিশাল পাছার নাচন .. এই সবকিছুই ইউসুফ নিজের নোংরা চোখদুটো দিয়ে গিলে খাচ্ছিলো, এটা লক্ষ্য করে উত্তেজনার সঙ্গে নিজের প্রতি কিছুটা লজ্জাও হলো সৈকতের।

"তুমি কেন মায়ের সামনে আমার সম্পর্কে ওরকম বললে? আমি তো বলতেই যাচ্ছিলাম তুমি আমার সঙ্গে এসেছো, তুমিই তো আমাকে ইশারা করে বারণ করলে!" তার মা বেডরুমে ঢুকে যেতেই মৃদুস্বরে কিছুটা হলেও অভিযোগের সুরে ইউসুফকে জিজ্ঞাসা করলো সৈকত।

"কথাগুলো না বললে যে এই বাড়িতে এন্ট্রি পেতাম না আমি! बारे बारे देशों में आयेशी छोटे छोटे बाटें होते रहते हैं my dear .. এইসব নিয়ে এত চাপ নিস না। কাল তো আমাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলিস তোর মায়ের প্রতি তোর পুরো কনফিডেন্স রয়েছে। এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো সেই কনফিডেন্স? খেলা তো সবে শুরু বন্ধু, শুধু চুপচাপ দেখতে থাক।" কথাগুলো বলে ব্যাগ থেকে ল্যাপটপটা বের করে অন করলো ইউসুফ।

ততক্ষণে বন্দনা দেবী বেরিয়ে এলো বেডরুম থেকে। সৈকত দেখলো তার মা নাইটিটার উপরেই একটা হাউসকোট চাপিয়ে নিয়েছে। "আসুন ম্যাডাম .. সোফার এখানটায় বসে আমার ল্যাপটপে চোখ রাখুন। এখানে আপনার ছেলের কলেজ নিয়ে যে ডকুমেন্টারিটা হচ্ছে, সেটার ফার্স্ট পার্ট রয়েছে। এটা অবশ্য unedited, ফাইনাল প্রেজেন্টেশনের জন্য এখনো এডিট করা হয়নি। ইন্টারভিউয়ের ব্যাপারটা সেকেন্ড পার্টে রয়েছে .. ওটা রেডি হলে পরে দেখাবো।" সেন্টার টেবিলের উপর ল্যাপটপটা রেখে সোফায় তার ঠিক পাশে বসার ইঙ্গিত করে বন্দনা দেবীর উদ্দেশ্যে কথাগুলো বললো ইউসুফ।

সৈকত দেখলো তার মা "ও আচ্ছা তাই? কই দেখি .." এইটুকু বলে নির্দ্বিধায় ইউসুফের পাশে বসে ল্যাপটপ স্ক্রিনে চোখ রাখলো। 'কিন্তু, কিসের ডকুমেন্টারি? কিসের প্রেজেন্টেশন? এগুলো তো সব মিথ্যে কথা! কাল রাতে ইউসুফ তাকে এই কথাগুলো বলতে বলেছিলো, যাতে সকালে বাড়ি থেকে বেরোতে তার কোনো অসুবিধা না হয়। তাহলে এখন তার মা'কে কি দেখাচ্ছে ল্যাপটপে ও?' কথাগুলো ভাবতে ভাবতে সোফার পেছনে এসে দাঁড়ালো সৈকত।

তারপর ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেলো তার। তাদের কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে শুরু করে, বর্তমানে কলেজের পরিস্থিতি, ছাত্রসংখ্যা, সাবজেক্ট, কলেজের বিল্ডিং .. এই সবকিছু তুলে ধরা হয়েছে ল্যাপটপে চলতে থাকা ভিডিওটিতে এবং ভিডিওটি চলার সময় পাশে কেউ একজন ইংরেজিতে ভয়েস-ওভার দিয়ে যাচ্ছে সেটাও শুনতে পেলো সৈকত। "এই যে ভয়েসটা শুনছেন ম্যাডাম, এটা আমার .." ভিডিও দেখতে দেখতে তার মা'কে কথাটা বললো ইউসুফ। ভিডিওটা দেখতে দেখতে ক্রমশো ধাঁধার মধ্যে পড়ে যাচ্ছিলো সে। এখানে তো সত্যিই তাদের কলেজ নিয়ে ডকুমেন্টারি হচ্ছে। কিন্তু এটা কবে হলো, কখন হলো, সে তো কিছুই জানে না! তাহলে কি ইউসুফ ভাই সত্যি কথাই বলছিলো? মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিলো সৈকতের।

"ও মা, ভিডিওর মধ্যে এটা হঠাৎ কি?" তার মায়ের কথায় ভাবনার ঘোর কাটলো সৈকতের। সে তাকিয়ে দেখলো তাদের কলেজের ভিডিওর বদলে ল্যাপটপের স্ক্রিনে ফুটে উঠেছে একজন পেশীবহুল যুবকের অর্ধনগ্ন ছবি। নিয়মিত জিমে গিয়ে সারা শরীরে পেশীর ভাস্কর্য বানিয়ে ফেলা যুবকটির পরনে ধবধবে সাদা রঙের একটি ছোট্ট জাঙিয়া ছাড়া আর কিছুই নেই। আরও ভালো করে লক্ষ্য করে সৈকত দেখলো, কম্পিউটার স্ক্রিনের ওই যুবকটি আর কেউ নয় .. ইউসুফ নিজেই।

"I'm extremely sorry madam .. বললাম না ভিডিওটা unedited .. আসলে পেশায় আমি একজন মডেল। দু-একটা ছোটখাটো ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করি। এটা mens underwear এর advertisement .. আমার করা বিজ্ঞাপনের ভিডিওগুলোও তো এই ল্যাপটপেই রয়েছে! তাই দুটো কোনো কারনে merge করে গেছে। পরে edit করে দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে।" কথাগুলো বলতে বলতে ভিডিওর pause সুইচটা টিপে দিলো ইউসুফ। এর ফলে ছবিটা ল্যাপটপ স্ক্রিনেই আটকে রইলো।

সৈকত লক্ষ্য করলো তার মা এক দৃষ্টিতে ছবিটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সে কি তবে আলফা গ্রেট ওরফে ইউসুফকে দেওয়া তার চ্যালেঞ্জটা হেরে যাবে? নাহ্ এ কিছুতেই হতে পারে না। পিছন থেকে গলা খাঁকারি দিয়ে উঠলো সৈকত। "আপনারা যে এই ডকুমেন্ট নাকি বলে যেটা বানাচ্ছেন, খুব ভালো লাগলো দেখে। অনেক কিছু জানতে পারলাম আমার ছেলের কলেজ সম্পর্কে। এবার বন্ধ করে দিন ভিডিওটা। প্রথম এলেন আমাদের বাড়িতে, একটু মিষ্টিমুখ না করিয়ে কিন্তু ছাড়বো না। ওহো, আপনার নামটাই তো এতক্ষণ জিজ্ঞাসা করা হয়নি .." কথাটা বলে সোফা থেকে উঠে পড়লেন বন্দনা দেবী।

- "নাম? আমার নামটা জানলে বোধহয় আপনি আমাকে আর মিষ্টি খাওয়ার অফার করবেন না .. in fact বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেও বলতে পারেন।"

- "মানে? আপনার কথাটা ঠিক বুঝলাম না .."

- "আমি ইউসুফ .. ইউসুফ খান।

- "তো?"

- "না মানে, এমনি বললাম আর কি .."

- "এমনি বলে কিছু হয় না। আপনাকে বলতে হবে আপনি কেন এই ধরনের জাতিবিদ্বেষ মূলক কথা বললেন? কোন যুগে বাস করছেন আপনি?"

- "cool down madam cool down , প্লিজ এতো রেগে যাবেন না। আমি এই যুগেই বাস করছি এবং আমি ভীষণ উদার মনের মানুষ। এইসব জাতি-ফাতি মানি না। কিন্তু অনেক বাড়িতে গিয়ে আমার এই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে তো, তাই কথাটা বলে ফেলেছিলাম। আবারও ক্ষমা চাইছি এই ভুলের জন্য। খাবো, আপনার বাড়িতে অবশ্যই খাবো। তবে শুধু এক গ্লাস জল দিন। অবেলায় আমি কিছু খাইনা, ফিগারটা মেনটেইন করতে হয় তো! তাছাড়া মিষ্টি খেলে যদি সুগার বেড়ে যায়! হেহেহে .."

- "কেন আপনি সুগারের পেশেন্ট নাকি?"

- "আজ্ঞে না ম্যাডাম, আমার সুগার নেই। তবে আপনার মতো এরকম একজন মিষ্টি মেয়ের হাত থেকে মিষ্টি খেলে সেই মিষ্টির মিষ্টতা যে হাজারগুন বেড়ে যাবে, সেই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।"

একটু আগেই তাকে সুন্দরী এবং সুন্দর চেহারার অধিকারিনী বলেছিলো ইউসুফ। এখন তার মতো চল্লিশ ছুঁইছুঁই একজন মধ্যবয়সী গৃহবধূকে 'মিষ্টি মেয়ে' বলে সম্মোধন করলো সে। এহেন তার ছেলের বন্ধুরস্থানীয় যুবকটির এইরূপ প্রশংসাসূচক উক্তিতে খিলখিল করে হেসে উঠলেন বন্দনা দেবী।

~ পরবর্তী আপডেট কিছুক্ষণের মধ্যেই আসছে ~
[+] 11 users Like Bumba_1's post
Like Reply
ইউসুফ আর তার মায়ের কথোপকথন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনতে শুনতে সৈকতের নিজেকে तू कौन, मैं खामखा মনে হচ্ছিলো। তার মা রান্নাঘর থেকে জল আনতে গেলে সৈকত ইউসুফের কাছে গিয়ে খুব মৃদুস্বরে জিজ্ঞাসা করলো, "সত্যিই কি আমাদের কলেজ নিয়ে কোনো ডকুমেন্টারি হচ্ছে? আর তুমি কি এইটার সঙ্গে যুক্ত রয়েছো? তা না হলে এই ভিডিও কি করে এলো?"

সৈকতের প্রশ্নের উত্তরে মুচকি হেসে ইউসুফ বললো, "তোর মা না হয় একজন গৃহবধূ , বেশিদূর পড়াশোনা করেনি, ঘরেই থাকে, বাইরের জগত সম্পর্কে ধারণা নেই। তাই ভিডিওটা দেখে কিছু বুঝতে পারেনি। কিন্তু তুই একজন শিক্ষিত ছেলে হয়ে এই ভুল কি করে করলি? ডকুমেন্টারি ঠিক নয়, তবে হুগলি ডিস্ট্রিক্টের বেশ কিছু কলেজের ইতিহাস এবং বর্তমান নিয়ে বছর পাঁচেক আগে একটা সংস্থার পক্ষ থেকে এই ভিডিওটা করা হয়েছিলো। কাল রাতে তোর সঙ্গে কথা বলার পর নেট থেকে সেই ভিডিওটা ডাউনলোড করে শুধু তোদের কলেজের অংশটা সফটওয়্যার দিয়ে কেটে নিয়েছি। তারপর ভিডিওটার একেবারে শেষে এসে আমার ওই ফটোটা অ্যাটাচ করে দিয়ে নতুন একটা প্যাকেজ বানিয়ে ফেললাম .. যাতে আমার ছবিটা তোর মায়ের চোখে পড়ে। তবে একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, ভিডিওটার বাঁদিকে নিচে ছোট্ট করে ডেট দেওয়া রয়েছে .. যেটা পাঁচ বছর আগেকার। এই ব্যাপারটা তোর মায়ের চোখে পড়বে না, আমি খুব ভালো করেই জানতাম।"

কথাগুলো শোনার পর ইউসুফ সম্পর্কে সৈকতের শুধু একটাই কথা মনে হলো .. 'জিনিয়াস'।

"এটা সুগার-ফ্রি মিষ্টি .. আমার হাতে মিষ্টি খেলে সেই মিষ্টির মিষ্টতা হাজারগুণ বেড়ে গেলেও আপনার সুগার হওয়ার ভয় নেই। তাই চটপট খেয়ে ফেলুন এই দুটো।" রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে একহাতে প্লেটে করে দুটো সুগার ফ্রি সন্দেশ আর অন্য হাতে একগ্লাস জল নিয়ে এসে হাসতে হাসতে বললেন বন্দনা দেবী।

- "সুগার ফ্রি মিষ্টি কেনো? আপনার কি সুগার আছে ম্যাডাম?"

- "না না, আমার ওসব কিছু নেই। ওর বাবা একজন সুগারের পেশেন্ট। তাই বাড়িতে মিষ্টি আনলে বেশিরভাগ সময় সুগার-ফ্রি আনা হয়।"

"ঠিক আছে এবার আমাকে উঠতে হবে। ওহো একটা জিনিসের কথা তো ভুলেই গিয়েছিলাম। কলেজের যে সাতজন স্টুডেন্টস এই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদেরকে একটা করে স্মার্টফোন দেওয়া হচ্ছে আমার মানে আমাদের সংস্থার তরফ থেকে। আপনার ছেলে যদিও বুদ্ধিমত্তার দিক দিয়েই বলুন আর ভালো রেজাল্ট করার দিক দিয়েই বলুন, কলেজের সেরা ছাত্রদের মধ্যে নেই .. এটা আপনিও ভালো করে জানেন। ও সিলেক্ট হয়েছে শুধুমাত্র আমার জন্য। যাক সে কথা, এই যে স্মার্টফোনটা।" সৈকতের মায়ের আনা মিষ্টিদুটো টপাটপ মুখের ভেতরে চালান করে দিয়ে কথাগুলো বলতে বলতে ব্যাগের ভেতর থেকে বিদেশি কোম্পানির ব্র্যান্ড নিউ ফোনের সিল করা একটা প্যাকেট বের করে বন্দনা দেবীর হাতে দিলো ইউসুফ।

"ও মা .. প্যাকেটের গায়ে তো অনেক দাম লেখা রয়েছে! এত দামী ফোন ওকে দিচ্ছেন আপনারা? কিন্তু ওকে তো আমরা এখনো এই ফোন ব্যবহার করতে দিই না। ওর বাবা অবশ্য বলেছে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করলে ওকে একটা স্মার্টফোন কিনে দেবে। ফোনটা কি ওকে দেওয়া খুব দরকার? মানে ওকে কি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো নথি পাঠাবেন আপনারা?" ফোনের বাক্সটা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে বললেন বন্দনা দেবী।

- "আপনারা যে এখনো আপনাদের ছেলেকে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেন না, খুব ভালো লাগলো ম্যাডাম এই কথাটা শুনে। এখন তো দেখি ফাইভ সিক্সে পড়া বাচ্চারা নিজেদের হাতের যা দৈর্ঘ্য,‌ তার থেকে বড় স্মার্টফোন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। না না, ওকে আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ডকুমেন্টস কি পাঠাবো আমরা? সেরকম কিছুই নয়। এটা জাস্ট একটা ফর্মালিটিজ। আচ্ছা ম্যাডাম আপনি কি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন?"

- "নাহ্ .. আমার একটা এমনি ছোট ফোন আছে, ওটাই ব্যবহার করি।"

★★★★

এমনিতেই বিনা দোষে এবং ইউসুফের চালাকির জন্য মায়ের কাছে তখন বকুনি খেয়েছে সে। তার উপর অত বড় ডেয়ারি-মিল্ক সিল্কটাও তার মায়ের জিম্মায় চলে গেছে। সে ভালো করেই জানে ক্যাডবেরি অন্তঃপ্রাণ তার মা তাকে ওখান থেকে একটা টুকরোও দেবেনা। তবে একটা ব্যাপার সে ভেবে অবাক হলো .. ইউসুফ তো তাকে বলেছিলো, ওর ব্যবহার করা পুরনো স্মার্টফোন তাকে দেবে। কিন্তু এটা তো সিল করা একটা ব্র্যান্ড নিউ ফোন! এই ছেলেটা কখন যে কি বলে, আর কি করে তার কোনো ঠিক নেই! যাইহোক, এখন যদি ফোনটাও হাতছাড়া হয়ে যায়! এই আশঙ্কায় সৈকত আমতা আমতা করে বললো, "ইউসুফ ভাই যখন ওটা আমার জন্য এনেছে, তখন আমি নিলে ক্ষতি তো কিছু নেই .."

"আছে, অবশ্যই ক্ষতি আছে। রাস্তায় আসতে আসতে তোর মুখ থেকেই শুনেছি তোর বাবা তোকে কম্পিউটার কিনে দিয়েছে, ইন্টারনেট লাগিয়ে দিয়েছে। ওটাতে যেরকম অনলাইন ক্লাস করছিস, কর। টুকটাক গেম খেলছিস, খেল। এতে পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু এই ফোনটা হাতে পেলে সারাদিন ফোন নিয়ে কুটুর কুটুর করবি। তখন পড়াশোনা মাথায় উঠবে। তাছাড়া তোর বাবা যখন বলেছে গ্রাজুয়েশন করার পর তোকে স্মার্টফোন কিনে দেবে তখন দায়িত্বটা ওনাকেই পালন করতে দেওয়া উচিৎ। আমি যদি এখন আগ বাড়িয়ে তোকে এই ফোনটা দিই, তাহলে ওনাকে অসম্মান করা হবে। আমি কিছু ভুল বললাম ম্যাডাম?" অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে অথচ দৃঢ় কন্ঠে কথাগুলো বললো ইউসুফ।

"একদম ঠিক বলেছেন আপনি। আপনাকে যত দেখছি তত অবাক হয়ে যাচ্ছি আমি। আপনার মতো এরকম একজন স্মার্ট অল্পবয়সী ছেলের মধ্যেও যে এত রুচিশীল চিন্তাধারা থাকতে পারে, এটা আমি ভাবতেও পারিনা। আচ্ছা, তাহলে কি আপনি ফোনটা ফেরত নিয়ে যাবেন?" ইউসুফের কথার তালে তাল দিয়ে নিজের বক্তব্য রাখলেন বন্দনা দেবী।

"একদমই না, এনেছি যখন ফেরত নিয়ে যাবো কেনো? তাছাড়া এটা নিয়ে গেলে আমাকে ফেলে দিতে হবে। আমার অলরেডি দুটো স্মার্টফোন রয়েছে, আমি তো আর ইউজ করতে পারবো না! তাছাড়া আজকে আপনার ছেলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটা অফিসিয়াল মেসেজ করা হবে আমাদের পক্ষ থেকে। আপনাদের বাড়িতে তো কারোর স্মার্টফোন নেই শুনলাম, তাই ফোনটা একদিনের জন্য হলেও রাখতে হবে আপনাদের কাছে। আমি একটা কথা বলবো ম্যাডাম? ফোনটা আপনার কাছে রেখে দিন। আজকে রাতের দিকেই আপনার ছেলের জন্য যে মেসেজটা আসবে আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে, সেটা রিসিভ করে তারপর সময় সুযোগ করে ফোনটা আমাকে ফেরত দিয়ে দিলেই হবে। তবে হ্যাঁ, একটা কথা বলে দিচ্ছি আপনার ছেলের ভালোর জন্যই। ওর হাতে একদম এই ফোন দেবেন না। আপনি যে ফোনটা ব্যবহার করেন সেটা আমাকে দিন আমি ওখান থেকে সিমকার্ডটা খুলে এই ফোনে ঢুকিয়ে দিচ্ছি। এনি প্রবলেম ম্যাডাম?" বন্দনা দেবীর চোখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে কথাগুলো বললো ইউসুফ

"না, প্রবলেম কিছু নেই। নিয়ম অনুযায়ী যখন আমার ছেলেকে কি একটা মেসেজ করবেন বলছেন আপনারা, তখন তো ফোনটা রাখতেই হবে। কিন্তু আমি তো আমি তো এইসব ফোন ব্যবহার করতে পারি না। তাছাড়া ওই হোয়াটসঅ্যাপ না কি যেন বলছেন, সেটাও কি করে করতে হয় আমি জানিনা।" সোফার পাশে রাখা নিজের ছোট ফোনটা ইউসুফের হাতে দিয়ে উক্তি করলেন বন্দনা দেবী।

"হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা, বলা ভালো স্মার্টফোন ব্যবহার করাটা এমন কিছু হাতি-ঘোড়া ব্যাপার নয়। এর থেকে আপনার রান্নাবান্না, ঘরের কাজ অনেক বেশি কঠিন। দেখি দাঁড়ান, আপনার ফোনের সিমটা আবার এই ফোনের মধ্যে ঢুকবে কিনা বুঝতে পারছি না, এটাতে তো মাইক্রো-সিম লাগে। না, হয়ে গেছে দেখছি। মনে হয় আপনার এই সিমকার্ডটা নতুন নেওয়া হয়েছে। সেইজন্য এটাতে মাইক্রো, ম্যাক্রো আর ছোট ফোনের জন্য বড় সিম .. তিনটেরই অপশন রয়েছে।" কথাগুলো বলতে বলতে নতুন স্মার্টফোনটার মধ্যে তার মায়ের পুরনো ছোট ফোন থেকে সিমটা বের করে ঢুকিয়ে দিয়ে অন করলো ইউসুফ।

"ও হো, একটা বিষয় তো খেয়ালই করিনি! আপনার তো দেখছি নেট প্যাক ভরা নেই। অবশ্য না থাকাটাই স্বাভাবিক। ওটা না থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ কেন, ফোন অপারেট করাই যাবে না। ঠিক আছে চিন্তা নেই আমি এক্ষুনি এক মাসের জন্য নেট প্যাকের রিচার্জ করে দিচ্ছি।" কথাটা বলেই ইউসুফ নিজের পকেট থেকে একটার বদলে দু'টো ফোন বের করলো।

"ওহ্ , আবার রিচার্জ করতে হবে? ঠিক আছে আপনি যখন করছেন করে দিন, কত টাকার কার্ড ভরলেন বলুন, আমি দিয়ে দিচ্ছি।" কিছুটা অবাক হয়েই কথাগুলো জিজ্ঞাসা করলেন বন্দনা দেবী।

"আমি মোবাইলের দোকান চালাই না ম্যাডাম। তাই রিচার্জের টাকা আপনার থেকে নিতে পারবো না। প্লিজ এই কথাগুলো বলবেন না .. খারাপ লাগে। একটা মোবাইলে সামান্য রিচার্জ করে দিয়েছি এর বেশি তো কিছু নয় .." বন্দনা দেবীর কথায় মনক্ষুন্ন হয়েছে এইরকম একটা ভঙ্গি করে বেশ গম্ভীরভাবে কথাগুলো বললো ইউসুফ। এরপর আর কিছুই বলার থাকতে পারে না। তাই মৃদু হেসে চুপ করে গেলেন বন্দনা দেবী।

সে আঠারো বছর পেরিয়ে গিয়ে কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে উঠে গেলেও তার মুঠোফোন ব্যবহার করার অনুমতি নেই। অথচ সৈকত লক্ষ্য করলো স্মার্টফোন কি? খায় না মাথায় মাখে? এই সবকিছুর সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকা তার ঊনচল্লিশ বছর বয়সী মা কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউসুফের প্রশিক্ষণে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আসলে সেটা দেখা আর মেসেজ করার ব্যাপারটা বেশ ভালোভাবে রপ্ত করে নিলো। এছাড়াও ফোন অন এবং অফ করা, ফোনের আরও কয়েকটা টুকিটাকি ফাংশন সম্পর্কে জেনে নিলো তার মা।

"এতকিছু জানার বা শেখার অবশ্য দরকার ছিলো না, এটাতো কালকেই আপনাকে ফেরত দিয়ে দেবো। তবে শিখে নিয়ে এক বিষয়ে ভালোই হলো। ভবিষ্যতে যদি কোনোদিন এই ধরনের ফোন কিনি, তাহলে কাজে লেগে যাবে আজকের এই শেখাটা।" এতদিন আড়াই ইঞ্চি স্ক্রিনের ছোট মাল্টিমিডিয়া ফোন ইউজ করা বন্দনা দেবী মুখে এই কথাগুলো বললেও, বিদেশি কোম্পানির সাড়ে ছয় ইঞ্চি স্ক্রিনের স্মার্টফোনটা হাতে নিয়ে যেভাবে মুগ্ধদৃষ্টিতে ওটার দিকে তাকিয়ে ছিলো, সেটা দেখে ইউসুফ বুঝতে পারলো ফোনটার প্রেমে পড়ে গেছে সৈকতের মা। আসলে, সে তো এটাই চেয়েছিলো।

"কোন বিদ্যা কোথায় কাজে লেগে যায় সেটা কি আগে থেকে কেউ বলতে পারে? না মানে আপনার স্মার্টফোনের ব্যবহার শেখার কথা বলছিলাম। ঠিক আছে আজ তাহলে আসি! আশা রাখি, আবার নিশ্চয়ই আমাদের খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে।" কথাগুলো বলে তাদের বাড়ি থেকে বিদায় নেওয়ার আগে সানগ্লাসটা পড়ে নিয়ে সেটা আবার চোখ থেকে নামিয়ে সৈকতের দিকে তাকিয়ে এক চোখ টিপে একটা গা জ্বালানো হাসি হেসে তার কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে খুব আস্তে আস্তে ইউসুফ বললো, "মায়ের প্রতি কনফিডেন্সের কি ভাটা পড়িয়াছে ভাই সৈকত?"

অন্তর্জালের পাথর খুঁদে মরীচিকার হাতছানিতে যে ঝুঁকিপূর্ণ পথ সে তৈরি করেছে। এখন সেই পাথর ক্ষয়ে ক্ষয়ে নুঁড়িরা জমা হচ্ছে তারই তৈরি করা সেই উদ্দেশ্যহীন পথে। পুনরায় নুড়ি থেকে পাথর আর পাথর থেকে পাহাড় সৃষ্টি হয়ে আরো বিপদজনক হয়ে যাচ্ছে সেই পথ। কিন্তু রনে ভঙ্গ না গিয়ে বিকৃত যৌনসুখের সেই মরীচিকার হাতছানিতে ক্রমাগত একটার পর একটা পাহাড় ডিঙোনোর চেষ্টা করছে সে। আগুনের পায়ে হেঁটে যাচ্ছে আগুনের ভিতর। ক্ষণিকের সুখের আশায় এই পৃথিবীর এজলাসে একা সূর্যের মতো উঠছে, আবার আদ্যোপান্ত চক্রান্তের শিকার হয়ে অস্ত যাচ্ছে বার বার। রয়্যাল এনফিল্ডটা স্টার্ট দিয়ে তার মুখে একরাশ কালো ধোঁয়া ছেড়ে ইউসুফের বাইকটা হুশ করে বেরিয়ে যাওয়ার পর সেই দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো সৈকতের ভেতর থেকে।

★★★★

সকালে কলেজের গেটের সামনে ইউসুফের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকে অনেক প্রশ্ন জমে ছিলো সৈকতের মনের মধ্যে। অন্য দিনের মতো আজকেও তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে সাড়ে ন'টার সময় কম্পিউটার খুলে মেসেঞ্জার অন করে আলফা গ্রেট ওরফে ইউসুফকে "হাই" লিখে মেসেজ করলো সে। কোনো রিপ্লাই এলো না অপরপ্রান্ত থেকে। আসবে কি করে? উল্টোদিকের ব্যক্তি তো অনই হয়নি মেসেঞ্জারে!

সাড়ে ন'টা থেকে দশটা, দশটা থেকে সাড়ে দশটা, সাড়ে দশটা থেকে  এগারোটা .. ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চললো নিজের গতিতে। তার পছন্দের পর্ন সাইটগুলোতে ঘুরে আসার ফাঁকে সৈকত একবার করে ঢুঁ মেরে যাচ্ছিলো মেসেঞ্জারে। অথচ প্রতিবারই বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে হচ্ছিলো তাকে। অন্যদিন হলে এতক্ষনে তার মা বারকয়েক এসে "আর পড়াশোনা করতে হবে না। অনেক রাত হয়েছে, ঘুমিয়ে পড় .." এই বলে তাকে কম্পিউটার বন্ধ করে শুয়ে পড়ার জন্য তাগাদা দিয়ে যেতো। কিন্তু আজ সে লক্ষ্য করলো, তার মা দশটা নাগাদ খেয়েদেয়ে নিজের বেডরুমে ঢোকার পর আর সেখান থেকে বেরোননি। হয়তো শরীরটা ভালো নেই তার মায়ের, তাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছে .. এটাই মনে করলো সৈকত।

ইউসুফের মেসেজের জন্য অপেক্ষা করে করে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে এগারোটার কিছু পরে কম্পিউটার অফ করতে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে সৈকতের মেসেঞ্জারে "হ্যালো .." মেসেজ ঢুকলো আলফা গ্রেট ওরফে ইউসুফের।

পার্কে প্রেমিকের জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর অবশেষে প্রেমিকের আগমন ঘটলে প্রেমিকা যেমন অভিযোগের সুরে হামলে পড়ে তার ওপর! ঠিক তেমনভাবেই ইউসুফের মেসেজ দেখে, "কি করছিলে এতক্ষণ তুমি? প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি তোমার জন্য। তোমার সেই মেয়েরূপী পুরুষ ভার্চুয়াল বন্ধুটির সঙ্গে সেক্স চ্যাট করছিলে? নাকি অন্য কিছু?" এরকম একটা ঝাঁঝালো প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিলো তার দিকে।

- "ওলে বাবা লে .. ছেলের খুব অভিমান হয়েছে দেখছি। খুব মিস করছিলিস আমাকে, তাই না? কি আর করা যাবে? আমার সঙ্গে যাদেরই পরিচয় হয়, তারাই আমার জন্য এরকম পাগল হয়ে ওঠে। তবে তোর মতো ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে তো আমার চলে না, কাজ করে খেতে হয় আমাকে। একটা এসাইনমেন্ট ছিলো, বাড়িতে ফিরতে ফিরতে পৌনে দশটা হয়ে গিয়েছে। তারপরে ফ্রেশ হয়ে ডিনার করতে করতে একজনের সঙ্গে এতক্ষণ ধরে কথা বলছিলাম। তাই আসতে একটু দেরি হয়ে গেলো। তুই এখনো জেগে রয়েছিস?"

"হ্যাঁ, কারণ তোমাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করার আছে।" প্রথমে এইটুকু টাইপ করে তারপর 'ইউসুফ ভাই তো তাকে তার ব্যবহার করা পুরনো স্মার্টফোনটা দেবে বলেছিলো। কিন্তু তার বদলে সে প্রায় বারো হাজার টাকার মূল্যের একটা দামী নতুন ফোন কিনে নিয়ে এলো কেন? ফোনটা নিয়ে এলো, কিন্তু তাকে দিলো না ফোনটা। তার মা .. যিনি টেকনোলজির বিপরীত মেরুতে হেঁটে এসেছে এতদিন। সোশ্যাল মিডিয়া তো দুরস্থান, স্মার্টফোন কি করে ব্যবহার করতে হয় সেটার সম্পর্কেই তার কোনো ধারণা ছিলো না! তাকে হঠাৎ এইরকম একটা দামী ফোন দেওয়ার কি মানে থাকতে পারে!' এই সব কথাগুলো একে একে জিজ্ঞাসা করলো।

- "মিউচুয়াল ফান্ডের ফান্ডা বুঝিস? ও, তুই কি করে বুঝবি? তুই তো একটা আকাট বেকার! যাই হোক, ওখানে ইনভেস্ট করা হয় ভবিষ্যতে লং টার্মের জন্য ফল পাওয়ার আশায়। এক্ষেত্রেও তাই, তবে এটা তো কিছুই নয়।‌ ভবিষ্যতে এর থেকে আরোও অনেক বেশি ইনভেস্টমেন্ট হবে আমার প্রোডাক্টের উপর। তবে তুইও ছুটকো-ছাটকা কিছু পাবি, চিন্তা করিস না। আরে বলেছি যখন, আমার পুরনো মোবাইলটা তোকে দেবো। আজ একটা বিশেষ কারণে তোকে দিইনি, এর পরেরদিন দিয়ে দেবো আর তার সঙ্গে কারণটাও জানাবো। ওটা কোনো ইস্যুই নয়।"

- "ইনভেস্টমেন্ট, প্রডাক্ট, লং টার্ম .. এইসব কি বলছো, কিছুই বুঝতে পারছি না।

- "পারবি পারবি এক্ষুনি বুঝতে পারবি। বেশি ভাট না বকে তোর মেসেঞ্জারে যেটা পাঠাচ্ছি, সেটা চুপচাপ দ্যাখ।"

ইউসুফ ভাই এই মেসেজটা করার মিনিটখানেকের মধ্যে সে দেখলো তার মেসেঞ্জারে একটার পর একটা ইমেজ ফাইল ঢুকতে থাকলো। সবগুলো ইমেজ ঢোকার পর প্রথম ফাইলটা ওপেন করে সৈকত দেখলো ওটা তার মা আর ইউসুফ ভাইয়ের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট।

[Image: 1651523193-82479-gif-url.gif]



ভালো লাগলে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাবেন
লাইক এবং রেপু দিয়ে উৎসাহিত করবেন

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


Like Reply
চালিয়ে যাও দারুণ হচ্ছে   clps
Like & Repu added.
I'm the King of Dark
                &
I rule over all Devils
               devil2 devil2
[+] 1 user Likes Monen2000's post
Like Reply
যদি গল্পের মূল উল্লেখযোগ্য বিষয় বস্তু থেকে বেরিয়ে গল্পে কামের বিচরণের মুহূর্ত নিয়ে আলোচনা করা যায় তাহলে বলবো কাকসন বিষয়ের মূল আকর্ষণ ও উত্তেজনার প্রথম ভাগই হলো আপন জনের ওপর ওপর জনের অধিকার বিস্তার। অর্থাৎ নিজের প্রতিদিনের চেনা মামনির জীবনে হটাৎ করে আসা কোনো পরপুরুষের পরিচয় ও প্রভাব তাও সন্তানের সামনেই। আপন মানুষটার সামনে তারই সন্তানের অপমান ও জন্মদাত্রির সুখ্যাতি। সন্তানের সামনেই মা ও সেই পুরুষের নিকটে আসা একটু একটু করে আর শেষে মাতৃ মনে ও শরীরে অধিকার বিস্তার ও ব্যাক্তিত্তের পরিবর্তন আর শেষে ধ্বংস কিংবা উদ্ধার।

এই গল্পের এই বিশেষ অংশে সেই শুরুর ধাপটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। চরম ভাবে এগিয়ে চলেছে গল্প। নন্দনা দিদির ফোনে বলা কথা গুলোর উত্তরের রহস্য ভেদ যত হতে থাকবে ততই পাঠকদের অবস্থা খারাপ হতে থাকবে।

ব্যাপক!!

শেষে এইটুকুই বলবো যে কাহিনীর গরু বাস্তবের মাটিতের থাকুক কিন্তু বিপদজনক কামুক পথ অতিক্রম করার সময় যেন যাত্রীরা ভয়ানক পৈশাচিক অথচ অশ্লীল কিছু দৃশ্যর সাক্ষী হোক। বাকি তুমি একজন যোগ্য লেখক। বলার কিছুই নেই। clps
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
(11-07-2023, 09:08 PM)Monen2000 Wrote: চালিয়ে যাও দারুণ হচ্ছে   clps
Like & Repu added.

ধন্যবাদ বন্ধু  thanks 

(11-07-2023, 09:13 PM)Baban Wrote: যদি গল্পের মূল উল্লেখযোগ্য বিষয় বস্তু থেকে বেরিয়ে গল্পে কামের বিচরণের মুহূর্ত নিয়ে আলোচনা করা যায় তাহলে বলবো কাকসন বিষয়ের মূল আকর্ষণ ও উত্তেজনার প্রথম ভাগই হলো আপন জনের ওপর ওপর জনের অধিকার বিস্তার। অর্থাৎ নিজের প্রতিদিনের চেনা মামনির জীবনে হটাৎ করে আসা কোনো পরপুরুষের পরিচয় ও প্রভাব তাও সন্তানের সামনেই। আপন মানুষটার সামনে তারই সন্তানের অপমান ও জন্মদাত্রির সুখ্যাতি। সন্তানের সামনেই মা ও সেই পুরুষের নিকটে আসা একটু একটু করে আর শেষে মাতৃ মনে ও শরীরে অধিকার বিস্তার ও ব্যাক্তিত্তের পরিবর্তন আর শেষে ধ্বংস কিংবা উদ্ধার।

এই গল্পের এই বিশেষ অংশে সেই শুরুর ধাপটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। চরম ভাবে এগিয়ে চলেছে গল্প। নন্দনা দিদির ফোনে বলা কথা গুলোর উত্তরের রহস্য ভেদ যত হতে থাকবে ততই পাঠকদের অবস্থা খারাপ হতে থাকবে।

ব্যাপক!!

শেষে এইটুকুই বলবো যে কাহিনীর গরু বাস্তবের মাটিতের থাকুক কিন্তু বিপদজনক কামুক পথ অতিক্রম করার সময় যেন যাত্রীরা ভয়ানক পৈশাচিক অথচ অশ্লীল কিছু দৃশ্যর সাক্ষী হোক। বাকি তুমি একজন যোগ্য লেখক। বলার কিছুই নেই। clps

ওহ্ দারুন দারুন দারুন বিশ্লেষণ  thanks  সেই জন্যই তো তুমি আমার উপন্যাসের একজন অন্যতম সেরা পাঠক। আমার গল্পের গরুকে বাস্তবের জমিতেই রাখার চেষ্টা করি সাধ্যমত, গাছে উঠতে দিইনা। তবে চমক এখনো বাকি, এটুকু বলতে পারি। আর উত্তেজনা? সেটা তো চরম লেভেলের হবে।  Smile
Like Reply
চরম উত্তেজনা পেলাম না বলে একটু দু:খ পেলেও এটা যে আগামীর চরমতম উত্তেজনা সৃষ্টির আগের প্লট তইরি হচ্ছে তা বেশ বুঝতে পারছি। অনেক শুভেচ্ছা। লাইক
[+] 1 user Likes Rohan raj's post
Like Reply
দারুন দারুন দারুন .... আপনার প্রতিটা উপন্যাসের গৃহবধূর ছেলে সব লাজুক, শীর্ণকায় , দুর্বল কম বুদ্ধি প্রকৃতির কেন হয় দাদা.......
Like Reply
(11-07-2023, 09:51 PM)Rohan raj Wrote: চরম উত্তেজনা পেলাম না বলে একটু দু:খ পেলেও এটা যে আগামীর চরমতম উত্তেজনা সৃষ্টির আগের প্লট তইরি হচ্ছে তা বেশ বুঝতে পারছি। অনেক শুভেচ্ছা। লাইক

অনেক ধন্যবাদ  thanks 

(12-07-2023, 07:05 AM)Rinkp219 Wrote: দারুন দারুন দারুন .... আপনার প্রতিটা উপন্যাসের গৃহবধূর ছেলে সব লাজুক, শীর্ণকায় , দুর্বল কম বুদ্ধি প্রকৃতির কেন হয় দাদা.......

কোথায় হয় দাদা? বিট্টু, বুকান, এই উপন্যাসের বাপ্পা .. এরা তো বেশ গোলমাটোল এবং সুন্দর দেখতে বলেই বর্ণনা করা হয়েছে। আর গোগোল তথা অনির্বাণের কথা তো ছেড়েই দিলাম। বড় হওয়ার পর একেবারে নায়কোচিত চেহারা হয়েছিল ওর। আমার উপন্যাসে ভালো দেখতে, খারাপ দেখতে, রোগা, মোটা, কালো, ফর্সা .. সব ধরনের চরিত্র থাকে। 
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
অ্যাডাল্ট চ্যাটিং নিয়ে এই ফোরামে খুব বেশি গল্প লেখা হয়না। আপডেটের একদম শেষ প্যারাগ্রাফ টা পড়ে মনে হচ্ছে পরের পর্বে সেইরকম কিছু একটা পাবো। তবে তোমার গল্পের যেটা আমার সবথেকে ভালো লাগে সেটা হলো নিখুঁত detailing , ঠিক যেন মনে হয় চোখের সামনে সবকিছু দেখতে পাচ্ছি। এছাড়া বন্দনা আর ইউসুফের কথোপকথনটা সেরা লেগেছে আমার। সব মিলিয়ে ফাটাফাটি পর্ব।  clps

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 1 user Likes Sanjay Sen's post
Like Reply
এই পর্বে হয়তো sex sequence কিংবা sex encounter এগুলো কিছুই ছিল না। তবে এই পর্ব ভবিষ্যতের জন্য এগুলো হওয়ার রাস্তাটা ভীষণভাবে প্রশস্ত করলো। তার সঙ্গে আমরা যে একটা দুর্দান্ত কাকোল্ড গল্প পেতে চলেছি, এটা বেশ বুঝতে পারছি। এইভাবেই চালিয়ে যাও বড় ভাই, সঙ্গে আছি।


[Image: Images-2-2-1.jpg]

[+] 1 user Likes Somnaath's post
Like Reply
(12-07-2023, 08:56 AM)Sanjay Sen Wrote: অ্যাডাল্ট চ্যাটিং নিয়ে এই ফোরামে খুব বেশি গল্প লেখা হয়না। আপডেটের একদম শেষ প্যারাগ্রাফ টা পড়ে মনে হচ্ছে পরের পর্বে সেইরকম কিছু একটা পাবো। তবে তোমার গল্পের যেটা আমার সবথেকে ভালো লাগে সেটা হলো নিখুঁত detailing , ঠিক যেন মনে হয় চোখের সামনে সবকিছু দেখতে পাচ্ছি। এছাড়া বন্দনা আর ইউসুফের কথোপকথনটা সেরা লেগেছে আমার। সব মিলিয়ে ফাটাফাটি পর্ব।  clps

প্রথমে জানাই অনেক ধন্যবাদ  thanks এই ধরনের মন্তব্য পেতে সবসময় ভালো লাগে। এই ভাবেই পাশে থেকো সর্বদা। দেখা যাক আগে কি অপেক্ষা করে রয়েছে তোমাদের জন্য। 

(12-07-2023, 11:17 AM)Somnaath Wrote: এই পর্বে হয়তো sex sequence কিংবা sex encounter এগুলো কিছুই ছিল না। তবে এই পর্ব ভবিষ্যতের জন্য এগুলো হওয়ার রাস্তাটা ভীষণভাবে প্রশস্ত করলো। তার সঙ্গে আমরা যে একটা দুর্দান্ত কাকোল্ড গল্প পেতে চলেছি, এটা বেশ বুঝতে পারছি। এইভাবেই চালিয়ে যাও বড় ভাই, সঙ্গে আছি।

প্রথমে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ  thanks এই ধরনের মন্তব্য পেতে সবসময় ভালো লাগে। এই ভাবেই পাশে থেকো সর্বদা। দেখা যাক আগে কি অপেক্ষা করে রয়েছে তোমার এবং তোমাদের জন্য।
Like Reply
Ma ke potiye chudbe?.. Ektu force valo hoto na?
[+] 1 user Likes Ajju bhaiii's post
Like Reply
nice update bro  yourock need more seduction from Yusuf
[+] 1 user Likes Chandan's post
Like Reply
(12-07-2023, 05:16 PM)Ajju bhaiii Wrote: Ma ke potiye chudbe?.. Ektu force valo hoto na?

দেখাই যাক না , কি হয় .. 

(12-07-2023, 07:58 PM)Chandan1 Wrote: nice update bro  yourock  need more seduction from Yusuf

let's see , what happens  thanks
Like Reply
তোমার কি গল্প প্রস্তুত থাকে ধাপে ধাপে পোস্ট কর।নাকি আপডেট দেওয়ার পর লিখতে বস আবার?
যাইহোক লেখা পড়ে বোঝা যায় শুধুমাত্র যৌনতা নয় বিভিন্ন বিষয়েও তোমার পড়াশোনা আছে।
[+] 1 user Likes Rohan raj's post
Like Reply
Valo laglo
[+] 1 user Likes chndnds's post
Like Reply
(12-07-2023, 11:34 PM)Rohan raj Wrote: তোমার কি গল্প প্রস্তুত থাকে ধাপে ধাপে পোস্ট কর।নাকি আপডেট দেওয়ার পর লিখতে বস আবার?
যাইহোক লেখা পড়ে বোঝা যায় শুধুমাত্র যৌনতা নয় বিভিন্ন বিষয়েও তোমার পড়াশোনা আছে।

আমি যখন কোনো গল্প লিখতে শুরু করি, তখন তার শেষ লাইনটা পর্যন্ত ভাবা হয়ে যায় আমার। তবে লেখা তো থাকে না, তাই প্রতিটা পর্বের পর পরের আপডেটের জন্য নতুন করে লিখতে হয়। 
চাকরি এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো ছাড়া, বাকি যেটুকু সময় পাই, পড়াশোনা করেই অতিবাহিত করি। বাজে সময় নষ্ট আমি কোনোদিনই করি না। 


(13-07-2023, 09:41 AM)chndnds Wrote: Valo laglo

ধন্যবাদ  thanks
Like Reply




Users browsing this thread: 2 Guest(s)