Thread Rating:
  • 75 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
WRITER'S SPECIAL সৃষ্টি (সমাপ্ত)
[Image: FB-IMG-1688917157044.jpg]

|| সুরসম্রাট ||

সবকিছু থেকেও কেন সঙ্গীহীন, সহায়হীন, কপর্দকশূন্য হয়ে চলে গেলেন আর.ডি.বর্মন? জীবনের শেষ অধ্যায়ে বড় একাকী, বড় নিঃসঙ্গ ছিলেন আর ডি বর্মন। কাদের জন্যে জনপ্রিয়তার শিখর থেকে কাদের জন্যে সরে যেতে হয়েছিল তাঁকে? সেই নিয়ে কিছু কথা বলবো আজ।

বহু দিনের ব্যবধানে একটি ছবির কাজ পেয়েছেন আর ডি বর্মন। বিধুবিনোদ চোপড়ার ‘১৯৪২ আ লভ স্টোরি’। তখন তীব্র অনটন গ্রাস তার করছে দেহ ও মনকে। বদলে যাওয়া নিষ্ঠুর সময়ের সঙ্গে নীরব লড়াই চলছে। খারের ফ্ল্যাটে একা থাকেন তিনি। কাজের লোক এসে ঘর-ঝাড়পোঁছ, রান্নাবান্না করে যায় সময়মতো। তিনি সারাদিন ডুবে থাকেন সুরের সাম্রাজ্যে।

সেদিন তাঁর এক শুভানুধ্যায়ী এসে পৌঁছেছেন। মিউজিক রুমের দরজা ঠেলে ঢুকতেই শুনলেন তীব্র গালাগালি। ভদ্রলোক তৎক্ষণাৎ হজম করে নিয়েছেন। বুঝে ফেলেছেন, আরডি-র এখন 'ইউরেকা টাইম!' নিশ্চয়ই দারুণ কোনও সুর আবিষ্কার করেছেন।
আরডি তাঁর দিকে ফিরেই আবার একটি স্বভাবসিদ্ধ গালাগালি দিলেন। তারপর ঝকঝকে মন্তব্য, "বুঝবে ওরা, বুঝলি? ছবিটা একবার রিলিজ হতে দে, বুঝবে কাকে ওরা হেলাফেলা করেছিল! সবার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ব রে!"

 সবাই কারা? কাদের উপর রাগ ছিল তাঁর? আশির দশক থেকেই তো শুরু হয়ে গিয়েছে এই নিঃসঙ্গতার শতকের। সব কিংবদন্তির শেষ অধ্যায় যেভাবে কাটে। তখন রুপোলি পর্দায় রাজেশ খন্না সরে গিয়েছেন। জায়গা নিয়েছেন অ্যাংরি ইয়ং ম্যান অমিতাভ বচ্চন আর ডিস্কো ডান্সার মিঠুন। তুঙ্গে বাপ্পি লাহিড়ীর বাজার। কাজ কমে আসছে আরডি-র। চোরা পথে সেই সমস্ত কাজ চলে যাচ্ছে স্বল্পখ্যাত, মাঝারি মানের নতুনদের কাছে। কারণ পর্দায় তখন আধিপত্য দাপুটে নায়কের, তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত অন্যান্যরা। প্রেম, বিরহ, রাগ, প্রতিহিংসা সবকিছুই তাঁর নিয়ন্ত্রণে। প্রযোজকরা অত বেশি খরচা করছেন না সুরসৃষ্টির জন্য। প্রয়োজন ফুরিয়েছে আরডি বর্মনের মেলডির। রিদমের। বাপ্পি লাহিড়ীর উপর রাগটা বেশ স্পষ্ট ছিলো আরডি-র। ঘনিষ্ঠমহলে তাঁকে ব্যঙ্গ করে ডাকতেন ‘উল্লাসনগর কি আরডি বর্মন’।

তুচ্ছতাচ্ছিল্য কেন? সেও এক মজার ঘটনা। আশা ভোঁসলেকে দিয়ে গান গাওয়াচ্ছেন বাপ্পি লাহিড়ী। মিউজিক রেকর্ডিং স্টুডিয়োর সুরসংযোজনা শুনে আশাজির মন্তব্য, " ইয়ে গানা তো ম্যায়নে কুছ সাত-আট সাল পহলে রেকর্ডিং কিয়া থা, আরডিকে লিয়ে ....."

 সত্যি মিথ্যে যাচাই করার কেউ নেই, তবে মুম্বইয়ের অনতিদূরে উল্লাসনগরে তখন পাইরেটেড বিদেশি গানের ভিডিও ও অডিও ক্যাসেট পাওয়া যেত। লুকিয়ে-চুরিয়ে বিক্রি-হওয়া সেসব ক্যাসেটের অন্যতম ক্রেতা নাকি ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী, এমনটাই লোকমুখে ফিরতো। এক স্বনামধন্য কার্টুনিস্ট সেই সময়ে এক ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছিলেন, মাথায় বোঝাই-করা ক্যাসেট নিয়ে আরডি চলেছেন খোশমেজাজে। তাঁর ঝুড়ি থেকে পড়ে-যাওয়া ক্যাসেট কুড়িয়ে নিচ্ছেন বাপ্পি লাহিড়ী!

এ শুধু সময়ের খেলা। এত অপূর্ব সব গানের ডালি উপহার পেয়েছে দর্শক, গুলজার-আরডি বর্মন জুটির কাছ থেকে। ‘ইজাজত’, ‘নমকিন’, ‘মাসুম’, ‘অঙ্গুর’। আজও কোটি কোটি সঙ্গীতপ্রেমীর সকাল শুরু হয় সে সব গানেই। অথচ, সেই আরডির পাশেই ছিলো না তাঁর একসময়ের মোসাহেবরা। তোষামোদীর দল তখন সরে গিয়েছে। সময়ের স্রোত নিয়ে চলে গিয়েছে শচীনদেব বর্মণ এবং রোশনকে। খৈয়ামও সুর করছেন কালেভদ্রে। আর আরডি? যিনি আসলে জন্ম দিয়েছেন ‘বেতাব’-এর সানি দেওলের, ‘রকি’-র সঞ্জয় দত্তের, ‘লভ স্টোরি’-র কুমার গৌরবের, তাঁকেই পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে নায়কদের দাপটে!

একবার কুমার শানুর ইন্টারভিউতে আরডির কথা উঠতেই তিনি বলেছিলেন, "মেলডি নামে শেষ যে পরিচিতি ছিলো, সেটা আরডির তিরোধানের পরেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা যে বেঁচে আছি, সেটা আরডি-র জন্যেই।" এই শানুকে যখন প্রথমবার দেখেন আরডি, সেদিনের কথা বলি। ‘কুছ না কহো’ গানটি রেকর্ড করার জন্য বহু দূর থেকে এসেছেন শানু। পরণে ময়লা শার্ট, মুখে না-কামানো দাড়ি। তিনি ঘরে ঢুকতেই বিধুবিনোদ চোপড়া সাফ বলে দিলেন আজ রেকর্ডিং হবে না। শানুর তো মাথায় বাজ! এত কষ্ট করে আসা বিফলে যাবে। অনুনয় বিনয় সত্ত্বেও মন টলল না বিধুর। শানু ব্যথিত মনে বাইরে বেরিয়ে আসছেন, তখনই রাহুল তাঁকে আলাদা করে ডাকলেন। ‘‘ওহে, এমন খোঁচা-খোঁচা দাড়ি নিয়ে সাহেবের কাছে কাজ করতে এসেছ, সাহস তো কম নয়! যাও দাড়ি-টাড়ি কামিয়ে ইস্ত্রি করা শার্ট পরে এসো।’’ সেই টোটকা কাজে লেগেছিল। কুমার শানু সারা জীবন ভোলেননি সেই কথা।

কী অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন তিনি মান্না দে-কে! একবার রামপুরহাটে শো করছেন তোচন ঘোষ। জিনাত আমন ও আরডি বর্মন আসবেন মান্না দের একক অনুষ্ঠানে। সে আমন্ত্রণ আরডির কাছে নিয়ে যেতেই তিনি মত বদলালেন। কেন? না তিনি গোঁ ধরেছেন, মান্না দের জন্য তিনি এক পায়ে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন! অর্থাৎ তিনি ঘোষকের কাজ করবেন! বিজনেস ক্লাস টিকিট কেটে কলকাতায় এলেন। সেই শো আজও ভুলতে পারেননি রামপুরহাটের দর্শক।  রাহুল দেববর্মনের কথার সঙ্গতে ২৯ টা গান গেয়েছিলেন মান্না দে! মঞ্চে যেন ম্যাজিক দেখছিলেন মন্ত্রমুগ্ধ দর্শক।

 অথচ সেই সময়ে বাংলা কী দিয়েছ তাকে! স্মৃতিতে ভেসে উঠলেও শিউরে উঠবেন। বাংলা ছবির তথাকথিত উচ্চমানের প্রোডিউসাররা তখন মুম্বইয়ে বাপ্পি লাহিড়ীর দরজায় কড়া নাড়ছেন। সম্ভবত দরকষাকষিতেই ঝামেলা বেধে গেলো একবার। তখন তাঁরা এলেন রাহুলদেব বর্মনের কাছে। অনেক কম পারিশ্রমিকেই রাজি করাতে বাধ্য করেছিলেন তাঁকে। তখন তিনি তো প্রায় কোণঠাসা!

এ দেশে প্রতিভা দাম পায় মৃত্যু-পরবর্তীকালে। এমনই ছিলেন আরডি। শ্রদ্ধাবোধের দীপ কখনও নিভে যেতে দেননি ঝড়বাতাসে .. বাকিটা ইতিহাস।

নিজের সাফল্য আরডি উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন সময়কেই। আর তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ হিসেবে সুপরিচিত সেই সুগায়িকা কি সত্যিই তাঁর পাশে ছিলেন শেষ সময়ে? অত্যন্ত বিশ্বস্ত সূত্রের এক প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকেই শোনা, কর্মহীন আরডি-র সঙ্গে প্রায় কোনও যোগাযোগই রাখতেন না তিনি। নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ানো তো দুরস্থান! আরডি যখন ‘১৯৪২ আ লভ স্টোরি’-র গান গাওয়াচ্ছেন কবিতা কৃষ্ণমূর্তিকে দিয়ে, তখন তিনি নাকি তুমুল আপত্তি জানিয়েছিলেন। আরডি-র সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ততদিনই ছিলো, যতদিন তাঁকে দিয়ে আরডি গান গাইয়েছেন। সময়ের খাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা সেই সব গান। তাঁকে বাদ দিয়ে যখনই আরডি নির্বাচন করেছেন আরতি মুখোপাধ্যায় বা অন্যান্য নতুন মহিলা কন্ঠশিল্পীদের, তখনই এসেছে সেই তুমূল প্রতিরোধ। নাহ্ , জীবদ্দশায় অত মোহময় ছিলো না সেই গায়িকার সঙ্গে আরডি-র সম্পর্ক!

 ‘১৯৪২ আ লভ স্টোরি’-র কাজ শেষ করার পরেই আর়ডির বাইপাস সার্জারি হয়। ডাক্তারের বারণ সত্ত্বেও ড্রাইভ করে ফার্মহাউসে গিয়েছিলেন আরডি। ফিরে আসার পর গিয়েছিলেন শক্তি সামন্তের বাড়ির পার্টিতে। তবে সেখানে বেশিক্ষণ থাকেননি। ক্লান্ত শরীর নিয়ে ফিরে আসেন নিজের বাড়িতে। সেই রাতই তো শেষ রাত তার জীবনে। নিজের সাফল্য আর দেখে যেতে পারলেন না। বয়ে গেলো সময়।

অন্তিম যাত্রায় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজেশ খন্না। ছিলেন শক্তি সামন্ত, প্রমোদ চক্রবর্তী।

শেষ দিনে অবশ্য আর়়.ডি.-র ফ্ল্যাটের উত্তরাধিকারী হিসেবে অনেক তথ্যই পেশ করেছিলেন সেই গায়িকা। ফলস্বরূপ ফ্ল্যাটটি এখনও তাঁরই নামে রয়েছে!

 তথ্যসূত্রঃ-  এবেলা

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 6 users Like Bumba_1's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
Namaskar   Namaskar
[+] 1 user Likes Chandan's post
Like Reply
মানুষটার যোগ্যতা কি ছিল সেটা তার সৃষ্ট একটা দুটো গানের উদাহরণ দিয়ে বোঝানো বেশ কঠিন। যেই কয়েকটা গানের নাম লিখবো তখনই মনে পরে যাবে আরে!! ওই গানটাও তো মারাত্মক! তাই ওই দিকে গিয়ে লাভ নেই। বরং শেষ সৃষ্টি নিয়েই কথা বলি -

১৯৪২ আ লাভ স্টোরির গান বলতেই স্বাভাবিক ভাবেই সবার যে গানটা আগে মনে পরে সেটা হলো এক লাড়কি কো দেখা তো আইসা লাগা কিন্তু আমার কাছে ওটার থেকেও আগের ফিল্মের অন্য দুটো গান বেশি পছন্দেরর। ১ - প্যায়ার হুয়া চুপকেসে এবং ২ - রিমঝিম রিমঝিম। এই দুটো গানে যেন আলাদা জাদু শরবত ঢেলে দিয়েছিলেন তিনি। যতবারই শুনি মনে হয় সমসাময়িক সকল গানের স্টাইলের থেকে এক্কেবারে ভিন্ন এই গান গুলো। এর কারণ মিউজিক। অমন ভাবে মিউজিকের ব্যাবহার ওনার পক্ষেই সম্ভব। তা সে প্রেমের সকল গান হোক বা ইয়াম্মা ইয়াম্মা, মেহবুবা, কিসি এক পে কিসিসে খাফা হুঁ........


শেষে তারই সৃষ্টি গানের বিশেষ কিছু লাইন -

যে তরী নিয়ে চলে গেলে আমার জীবন থেকে,
আমার পৃথিবী থেমে গেলো শুধু তোমাকে ডেকে
ফিরে তো আসেনি সেই তরীখানি আমার নদীর কূলে
আমিও গেছি ভুলে.....
 কি হবে আর পুরনো দিনের কথা আজ তুলে
কিছু ভুলেছ তুমি আমিও গেছি ভুলে
[+] 2 users Like Baban's post
Like Reply
কত অজানাকে জানলাম , সমৃদ্ধ হলাম  Namaskar

[Image: Images-2-2-1.jpg]

[+] 1 user Likes Somnaath's post
Like Reply
সেই সুগায়িকাটি নিশ্চয়ই আশা ভোঁসলে? 

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 1 user Likes Sanjay Sen's post
Like Reply
(09-07-2023, 10:30 PM)Chandan1 Wrote: Namaskar   Namaskar

Namaskar   Namaskar  

(09-07-2023, 11:30 PM)Baban Wrote: মানুষটার যোগ্যতা কি ছিল সেটা তার সৃষ্ট একটা দুটো গানের উদাহরণ দিয়ে বোঝানো বেশ কঠিন। যেই কয়েকটা গানের নাম লিখবো তখনই মনে পরে যাবে আরে!! ওই গানটাও তো মারাত্মক! তাই ওই দিকে গিয়ে লাভ নেই। বরং শেষ সৃষ্টি নিয়েই কথা বলি -

১৯৪২ আ লাভ স্টোরির গান বলতেই স্বাভাবিক ভাবেই সবার যে গানটা আগে মনে পরে সেটা হলো এক লাড়কি কো দেখা তো আইসা লাগা কিন্তু আমার কাছে ওটার থেকেও আগের ফিল্মের অন্য দুটো গান বেশি পছন্দেরর। ১ - প্যায়ার হুয়া চুপকেসে এবং ২ - রিমঝিম রিমঝিম। এই দুটো গানে যেন আলাদা জাদু শরবত ঢেলে দিয়েছিলেন তিনি। যতবারই শুনি মনে হয় সমসাময়িক সকল গানের স্টাইলের থেকে এক্কেবারে ভিন্ন এই গান গুলো। এর কারণ মিউজিক। অমন ভাবে মিউজিকের ব্যাবহার ওনার পক্ষেই সম্ভব। তা সে প্রেমের সকল গান হোক বা ইয়াম্মা ইয়াম্মা, মেহবুবা, কিসি এক পে কিসিসে খাফা হুঁ........


শেষে তারই সৃষ্টি গানের বিশেষ কিছু লাইন -

যে তরী নিয়ে চলে গেলে আমার জীবন থেকে,
আমার পৃথিবী থেমে গেলো শুধু তোমাকে ডেকে
ফিরে তো আসেনি সেই তরীখানি আমার নদীর কূলে
আমিও গেছি ভুলে.....
 কি হবে আর পুরনো দিনের কথা আজ তুলে
কিছু ভুলেছ তুমি আমিও গেছি ভুলে

দারুন বললে, আর তোমার উল্লেখ করা আরডির প্রত্যেকটি গান আমারও খুব পছন্দের।  Smile  

(10-07-2023, 10:41 AM)Somnaath Wrote: কত অজানাকে জানলাম , সমৃদ্ধ হলাম  Namaskar

ধন্যবাদ  thanks 

(10-07-2023, 01:52 PM)Sanjay Sen Wrote:
সেই সুগায়িকাটি নিশ্চয়ই আশা ভোঁসলে? 

সেটা তো বলতে পারবো না দাদা   Namaskar
Like Reply
খুব সুন্দর লাগছে পড়ে, আসলে আপনার গল্প গুলো তে রোমান্টিক সফ্ট সেক্স থাকে না তো , অবলা নারী কে জোর করে সেক্স করতে বাধ্য করা হয় হয়তো অনেকে পছন্দ করে । তাই আপনার এই লেখা টি আমার খুব ভালো লাগলো। অনেক অজানা তথ্য জানলাম । ধন্যবাদ। যদি পারেন ভবিষ্যতে রোমান্টিক সফ্ট সেক্স গল্প লিখুন।
[+] 2 users Like Amidevil's post
Like Reply
এই সাইটে কিছুদিন এসে অনেক গল্প পড়েছি কিন্তু সব থেকে এই থ্রেডটি আমার  প্রিয় লাগে বারবার চেক দিই
এই সাইটটিতে  কিছু কিছু  এমন লেখক আছে যাদের কমেন্টগুলি পড়তে ভালো লাগে খুব
[+] 2 users Like Dadumane's post
Like Reply
(11-07-2023, 12:10 AM)Amidevil Wrote: খুব সুন্দর লাগছে পড়ে, আসলে আপনার গল্প গুলো তে রোমান্টিক সফ্ট সেক্স থাকে না তো , অবলা নারী কে জোর করে সেক্স করতে বাধ্য করা হয় হয়তো অনেকে পছন্দ করে । তাই আপনার এই লেখা টি আমার খুব ভালো লাগলো। অনেক অজানা তথ্য জানলাম । ধন্যবাদ। যদি পারেন ভবিষ্যতে রোমান্টিক সফ্ট সেক্স গল্প লিখুন।

রোমান্টিক সফ্ট সেক্স হয়তো নেই। কিন্তু আমার লেখা এই দুটি out & out রোমান্টিক গল্প পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে। নিচে গল্পদুটির লিঙ্ক দিয়ে দিলাম ..





(11-07-2023, 03:04 AM)Dadumane Wrote: এই সাইটে কিছুদিন এসে অনেক গল্প পড়েছি কিন্তু সব থেকে এই থ্রেডটি আমার  প্রিয় লাগে বারবার চেক দিই
এই সাইটটিতে  কিছু কিছু  এমন লেখক আছে যাদের কমেন্টগুলি পড়তে ভালো লাগে খুব

ভালো লাগলো এই ধরনের মন্তব্য পেয়ে  thanks
Like Reply
[Image: FB-IMG-1689327051112.jpg]

|| ফাইটার ||

কার্যত আদাজল খেয়ে লিখে ফেলেছিলেন একটি উপন্যাস৷ একদিন সেই উপন্যাস জমা দিলেন 'উল্টোরথ' পত্রিকা দপ্তরে৷ ১৫০টি পাণ্ডুলিপি জমা পড়েছিল।

তারপর দীর্ঘ অপেক্ষা, এর মধ্যে তরুণ লেখক 'পরিচয়' পত্রিকায় একটি কাজও জুটিয়ে নিয়েছেন৷ নিয়মিত প্রুফ দেখেন,গল্পের প্রাথমিক বাছাইয়ের কাজও করেন। সেদিন  রাত করে বাড়ি ফিরেছেন , তাঁর মা তাঁকে বললেন দু'জন ভদ্রলোক এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন৷ তিনি নাকি কি একটা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন৷ তিন নম্বরে অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, দ্বিতীয় পূর্ণেন্দু পত্রীকে ছাপিয়ে  প্রথম যিনি হয়েছিলেন তিনি সাহিত্যিক , সাংবাদিক মতি নন্দী। উপন্যাসের নাম ছিল 'ধুলো মাটি বালি'৷ পরামর্শক্রমে মতি নন্দী নামটা বদল করে রেখেছিলেন 'নক্ষত্রের রাত'৷ বেশিরভাগ বাঙালি পাঠকদের কাছে মতি নন্দীর জনপ্রিয়তা স্ট্রাইকার-স্টপার-কোনি এই তিন খেলা ভিত্তিক কিশোর উপন্যাসের লেখক হিসেবে।অনেক পাঠক আজও তাঁর 'স্ট্রাইকার' উপন্যাস পড়তে বসলে কেঁদে ফেলেন৷ সিনেমায় সাঁতারের প্রশিক্ষক ক্ষিদ্দার সেই অবিস্মরণীয় সংলাপ 'ফাইট কোনি ফাইট' অমর হয়ে আছে মুক্তির পর থেকেই।

সদ্য তরুণ মতি নন্দী তখন মনীন্দ্র কলেজের ছাত্র৷ ক্রিকেট খেলেন সঙ্গে ময়দানে নিয়মিত ক্রিকেট দেখেন৷ সাহিত্যচর্চা চলে একই স্রোতে৷ লিখছেন তবে ছাপাবার আর সাহস হয় না৷  মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন৷ শোকসভা হবে ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউটে৷ গুটিগুটি পায়ে সেখানে গেলেন৷ শোকসভায় সাহিত্যিকদের মেলা,বলা যেতে পারে নক্ষত্রের সমারোহ৷ সেখানে 'উল্টোরথ' পত্রিকা ঘোষণা করল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে একটা উপন্যাস প্রতিযোগিতা হবে৷ তিনটি পুরস্কার থাকবে এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনটি লেখা প্রকাশিত হবে৷ বলা বাহুল্য প্রথম পুরস্কার  মতি নন্দী পেয়েছিলেন।

খুব বড় সত্য হল মতি নন্দীর আগে কেউ খেলার জগতের অনুপুঙ্খ নিয়ে এমন নিঁখুত গল্প রচনা করেন নি৷ নিজের হাতে উসকে দিয়েছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিকতার সলতেটিকে৷ গল্পের ভেতরে গল্প,বস্তুত মতি নন্দীর প্রবর্তিত স্টাইল বোধহয় এখনও সংবাদপত্র মেনে চলছে৷  মতি নন্দীর হাতে ছিল সোনার কলম,সেটা কাজে লাগিয়ে তিনি রচনার বৈদগ্ধে,পরিবেশনায় মুন্সীয়ানায় এবং খেলা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধীর টানে পাঠকবর্গের শিক্ষিত মন জয় করলেন৷ ক্রীড়া সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছিল অন্য মাত্রা৷ ক্রীড়া সাংবাদিকতার সম্ভ্রম বাড়িয়েছেন৷ এক্ষেত্রে তিনি অনন্য বটে৷ ছোট গল্প হল মতি নন্দীর আসল শক্তি৷ সেখানে যে বাস্তবতা আছে তা মানুষের মর্মমূল অবধি নাড়িয়ে দেয়৷ ছোটদের নিয়ে তাঁর অসাধারণ কাজ প্রশংসা করবেন তাঁর অতিবড় সমালোচক৷ আবার ক্রিকেট বা ফুটবল ম্যাচ রিপোর্টিং-এ কঠিন শব্দ ব্যবহার না করেও লেখনীর জোরে পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করতেন৷ অনেকে তাঁকে বাংলার নেভিল কার্ডাস বলতেন৷ তবে মতি নন্দী বলতেন কার্ডাস হলেন কার্ডাস ওঁকে নকল অসম্ভব৷ ব্রাডম্যানের শেষ টেস্টে শূন্যকে ঘিরে ওই লেখা কেউ লিখতে পারবেন?

১৫-১৬বছর আনন্দবাজার পত্রিকার ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন৷ দেখেছেন ক্ষমতার অপব্যবহার৷ দেখেছেন গরিব-মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে-মেয়েদের অপুষ্টিজনিত অসুবিধা৷  নিরন্তর সংগ্রাম করে গেলে জয় অনিবার্য এই সংবাদ তিনি কিশোর পাঠকদের বলতে চেয়েছেন। কোনও অলৌকিক রহস্য-রোমাঞ্চ দিয়ে পাঠকদের মন ভোলাতে চান নি৷ পরিশেষে একটি ইন্টারেস্টিং তথ্য সংযোজন করতে ইচ্ছা হল আনন্দবাজারের সম্পাদকীয় পৃষ্ঠার 'শিরোনাম' বের হত প্রতি সপ্তাহে৷ সংক্ষেপে বিখ্যাত ব্যক্তিদের চমৎকার ভাবে তুলে ধরতেন নিখিল সরকার অর্থাৎ শ্রীপান্থ৷ ওই ছকে প্রদীপ ব্যানার্জিকে নিয়ে লিখলেন চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস৷ সেদিন থেকে তিনি হলেন চিরঞ্জীব,প্রখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক৷ এই নামকরণের নেপথ্যে তিনজন মতি নন্দী,অমিতাভ চৌধুরী এবং সন্তোষকুমার ঘোষ৷

কয়েকদিন আগে মতি নন্দীর জন্মদিন গেলো, তাঁর প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি রইলো।

তথ্যসূত্রঃ- ধ্রুবতারার খোঁজে

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 5 users Like Bumba_1's post
Like Reply
আমার খুব পছন্দের একজন লেখক   Namaskar

[Image: Images-2-2-1.jpg]

Like Reply
Namaskar   Namaskar

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

Like Reply
[Image: FB-IMG-1690041670617.jpg]

~ খোজাকরণ ~

সেকালে ক্ষমতাবান রাজা, বাদশাদের অনেকেই নিজেদের দখলে প্রচুর নারী রাখতো। এরা ছিলো শুধুই মনোরঞ্জনের জন্য। এই ধরনের নারীদেরকে বলে ‘রক্ষিতা’। প্রাচীন চীনে হারেমে প্রায় ২০ হাজার নারী ছিলো। রক্ষিতা রাখার প্রধান কারণ জৈবিক চাহিদা পূরণ, অর্থাৎ কাম চরিতার্থ করা। এবং আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে অধিক পরিমাণ সন্তান উৎপাদন করা। রাজকীয় রক্তে অধিক পরিমাণ উত্তরাধিকার রেখে যাওয়া। রাজ পরিবার যেন বিলুপ্ত হয়ে না যায় তা নিশ্চিত করা।

এই নারীগুলোকে জোর করে ধরে আনা হতো কিংবা তাদের পরিবার থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসা হতো। তাই এরা যেন পালিয়ে না যায় বা ভেতরে ভেতরে কোনো অসন্তোষ সৃষ্টি করতে না পারে, তার জন্য পাহারাদার রাখা হতো। নারী দিয়ে পাহারার কাজ চলে না, পাহারাদার হতে হবে কোনো পুরুষ। কিন্তু এখানে একটা সমস্যা দেখা দেয়, পাহারাদার হিসেবে যে যে পুরুষ থাকবে তারা আবার রক্ষিতাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলবে না তো?

রক্ষিতাদের ঔরসে শুধুই রাজ রক্তের উত্তরাধিকার তৈরি হবার পাশাপাশি বাইরের রক্ত মিশ্রিত হয়ে যাবার একটা ভয় থেকেই যায়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য রাজারা একটা পথ বেছে নেয়। পাহারাদারদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া। যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়ার প্রক্রিয়াকেই বলে 'খোজাকরণ'। যাদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হয়, তাদের বলে ‘খোজা’। ইংরেজি Eunuch শব্দের প্রতিশব্দ হচ্ছে খোজা। ইউনাক শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Eunoukhos থেকে, যার অর্থ শয়নকক্ষের পাহারাদার।

খোজাকরণ মূলত তিন ধরনের হতে পারে। প্রথমতঃ শুধু পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা; দ্বিতীয়তঃ শুধুমাত্র শুক্রথলী কেটে আলাদা করে দেওয়া এবং তৃতীয়তঃ পুরুষাঙ্গ ও শুক্রথলী উভয়ই কেটে ফেলা। প্রাচীন চীনে তৃতীয় প্রকার খোজাকরণ প্রচলিত ছিলো। এই প্রক্রিয়ায় খুব ধারালো ছুরির সাহায্যে পুরুষাঙ্গ ও অণ্ডকোষ উভয়ই কেটে ফেলা হতো। চীনে খ্রিষ্টপূর্ব ১৬০০ অব্দ থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েক হাজার বছর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া প্রচলিত ছিলো। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি অনেক বেশি। এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর মানুষের মৃত্যু হতো। মৃত্যুহার কমানোর জন্য ধীরে ধীরে পুরুষাঙ্গ রেখে শুধুমাত্র শুক্রথলী কেটে খোজা বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রাচীন চৈনিক সাম্রাজ্যে খোজাকরণের কাজটি করা হতো মূল প্রাসাদের বাইরে বিচ্ছিন্ন কোনো স্থানে। রাজ প্রাসাদের চারদিকে দেয়ালঘেরা সীমানা থাকে। এই সীমানার কোনো একটি স্থানে ব্যবহার করা হয় না, এমন একটি পাহারাকক্ষ থাকে, যা দরকার পড়ে না বলে ব্যবহার করা হয় না। এই ধরনের পরিত্যক্ত ঘরকে ব্যবহার করা হতো খোজাকরণের অপারেশন থিয়েটার হিসেবে।

প্রথমে ব্যক্তিটিকে ঐ কক্ষে নিয়ে একটি কাঠের পাটাতনে শুইয়ে দেয়া হতো। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে যৌনাঙ্গ ও যৌনাঙ্গের আশেপাশের স্থান ধুয়ে নেয়া হতো। এরপর অবশ করতে পারে এমন উপাদানের প্রলেপ দিয়ে যৌনাঙ্গকে অবশ করে ফেলা হতো। তখনকার সময়ে অবশকারী হিসেবে প্রচণ্ড ঝালযুক্ত মরিচ বাটা ব্যবহার করা হতো। অবশ করার পর সহযোগীরা মিলে দেহটিকে কাঠের পাটাতনের সাথে শক্ত করে বেঁধে ফেলতো। তারপর দুইজন সহকারী দুই পা ফাঁকা করে ধরে রাখতো যেন যৌনাঙ্গ কাটার সময় পায়ের দ্বারা কোনো অসুবিধা না হয়। দুইজন তো দুই পায়ে শক্ত করে ধরে রাখতোই, তার উপর আরো দুইজন কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে একজন হাত দুটি বেঁধে চেপে ধরে রাখতো।

কর্তক ব্যক্তি সুবিধা করে দুই পায়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শুক্রথলী ও পুরুষাঙ্গ হাতের মুষ্টির ভেতর ধরতো। যৌনাঙ্গ মুষ্টির ভেতরে রেখে শায়িত ব্যক্তির কাছ থেকে সম্মতি আদায় নেওয়া হতো যে, তিনি স্বেচ্ছায় খোজাকরণ করতে দিচ্ছেন। সম্মতি পাবার সাথে সাথে চোখের পলকেই ধারালো ছুরি দিয়ে একসাথে কেটে ফেলা হতো মুষ্টির ভেতরে থাকা অণ্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গ।

এই অবস্থায় প্রচুর রক্তপাত হতো। এই ধাপ শেষ করার পর থাকে বড় চ্যালেঞ্জটি। রোগীটিকে এই ধাক্কা কাটিয়ে তুলে বাঁচানো যাবে কিনা। কর্তন প্রক্রিয়া শেষ করার পরেই মূত্রনালিতে একটি নল প্রবেশ করিয়ে দেয়া হতো। প্রস্রাব বের হবার রাস্তা যেন বন্ধ হয়ে না যায়, সেজন্য এই নল প্রবেশ করানো হতো। নল ছিলো অনেকটা আজকের যুগের স্যালাইনের পাইপের মতো, এর ভেতর দিয়ে প্রস্রাব বের হতো।

এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রোগীকে ওই কক্ষে তিন দিন রেখে দেওয়া হতো। ওই সময়ে রোগীকে কোনো প্রকার খাবার দেয়া হতো না। এই ধাপ পার করতে পারলে চতুর্থ দিনে রোগীকে প্রস্রাব করতে বলা হতো। যদি প্রস্রাব করতে পারতো তাহলে অপারেশন সফল হয়েছে বলে ধরে নেয়া হতো, আর যদি প্রস্রাব করতে না পারতো তাহলে ধরা হতো এই অপারেশন সফল হয়নি। এক্ষেত্রে রোগী ব্যথা ও ইনফেকশনে মারা যেত। তবে প্রাচীন চীনারা ধীরে ধীরে এই কাজে এতটাই দক্ষ হয়ে উঠেছিলো যে অপারেশনে মৃত্যুহার নেমে এসেছিল প্রতি হাজারে ১ জন। এবং তাদের সুন্দরী রক্ষিতারাও নিরাপদ থাকতো এই সমস্ত পাহারাদারদের হাত থেকে।

--★★--

তথ্যসূত্রঃ- State Watch

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 5 users Like Bumba_1's post
Like Reply
ইশ্ কি নৃশংস!!! চায়না মালগুলো চিরকালের শয়তান  Angryfire

[Image: Images-2-2-1.jpg]

[+] 1 user Likes Somnaath's post
Like Reply
(25-07-2023, 04:07 PM)Bumba_1 Wrote:
প্রথমে ব্যক্তিটিকে ঐ কক্ষে নিয়ে একটি কাঠের পাটাতনে শুইয়ে দেয়া হতো। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে যৌনাঙ্গ ও যৌনাঙ্গের আশেপাশের স্থান ধুয়ে নেয়া হতো। এরপর অবশ করতে পারে এমন উপাদানের প্রলেপ দিয়ে যৌনাঙ্গকে অবশ করে ফেলা হতো। তখনকার সময়ে অবশকারী হিসেবে প্রচণ্ড ঝালযুক্ত মরিচ বাটা ব্যবহার করা হতো। অবশ করার পর সহযোগীরা মিলে দেহটিকে কাঠের পাটাতনের সাথে শক্ত করে বেঁধে ফেলতো। তারপর দুইজন সহকারী দুই পা ফাঁকা করে ধরে রাখতো যেন যৌনাঙ্গ কাটার সময় পায়ের দ্বারা কোনো অসুবিধা না হয়। দুইজন তো দুই পায়ে শক্ত করে ধরে রাখতোই, তার উপর আরো দুইজন কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে একজন হাত দুটি বেঁধে চেপে ধরে রাখতো।

কর্তক ব্যক্তি সুবিধা করে দুই পায়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শুক্রথলী ও পুরুষাঙ্গ হাতের মুষ্টির ভেতর ধরতো। যৌনাঙ্গ মুষ্টির ভেতরে রেখে শায়িত ব্যক্তির কাছ থেকে সম্মতি আদায় নেওয়া হতো যে, তিনি স্বেচ্ছায় খোজাকরণ করতে দিচ্ছেন। সম্মতি পাবার সাথে সাথে চোখের পলকেই ধারালো ছুরি দিয়ে একসাথে কেটে ফেলা হতো মুষ্টির ভেতরে থাকা অণ্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গ।

এই অবস্থায় প্রচুর রক্তপাত হতো। এই ধাপ শেষ করার পর থাকে বড় চ্যালেঞ্জটি। রোগীটিকে এই ধাক্কা কাটিয়ে তুলে বাঁচানো যাবে কিনা। কর্তন প্রক্রিয়া শেষ করার পরেই মূত্রনালিতে একটি নল প্রবেশ করিয়ে দেয়া হতো। প্রস্রাব বের হবার রাস্তা যেন বন্ধ হয়ে না যায়, সেজন্য এই নল প্রবেশ করানো হতো। নল ছিলো অনেকটা আজকের যুগের স্যালাইনের পাইপের মতো, এর ভেতর দিয়ে প্রস্রাব বের হতো।

এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রোগীকে ওই কক্ষে তিন দিন রেখে দেওয়া হতো। ওই সময়ে রোগীকে কোনো প্রকার খাবার দেয়া হতো না। এই ধাপ পার করতে পারলে চতুর্থ দিনে রোগীকে প্রস্রাব করতে বলা হতো। যদি প্রস্রাব করতে পারতো তাহলে অপারেশন সফল হয়েছে বলে ধরে নেয়া হতো, আর যদি প্রস্রাব করতে না পারতো তাহলে ধরা হতো এই অপারেশন সফল হয়নি। এক্ষেত্রে রোগী ব্যথা ও ইনফেকশনে মারা যেত। তবে প্রাচীন চীনারা ধীরে ধীরে এই কাজে এতটাই দক্ষ হয়ে উঠেছিলো যে অপারেশনে মৃত্যুহার নেমে এসেছিল প্রতি হাজারে ১ জন। এবং তাদের সুন্দরী রক্ষিতারাও নিরাপদ থাকতো এই সমস্ত পাহারাদারদের হাত থেকে।

Really very pathetic  Sad
[+] 1 user Likes Chandan's post
Like Reply
এই theme এর উপর কিন্তু একটা দারুন থ্রিলার গল্প হয়ে যেতে পারে। চীনা সৈনিকদের হাতে খোজাকরণের ফলে মৃত্যু হওয়া কোনো পাহারাদারের ছেলে ওই রাজ্যেই কোথাও গা ঢাকা দিয়ে থাকলো। তাকে অবশ্য লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিলো তার মা, যাকে কিনা আবার ওই রাজ্যের রাজা জোর করে নিজের রক্ষিতা বানিয়েছিল। তারপর ছেলেটা বড় হওয়ার পর তার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ওই রাজ্যের রাজাকে হত্যা করে তার স্ত্রী এবং মেয়েকে ভোগ করলো অথবা দুজনকেই একসঙ্গে ভোগ করলো। আইডিয়াটা কেমন দিলাম বলো!  Tongue

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 3 users Like Sanjay Sen's post
Like Reply
বাবারে কি নৃশংস ব্যাপার। যদিও এটার ব্যাপারে সবারই একটু আধটু জানা ছিলই কিন্তু সম্পূর্ণ রূপে জেনে কেমন একটা যেন লাগলো। প্রাইভেট পার্টকে যেমন কামের অস্ত্র হিসেবে জানি সেই অস্ত্রকে নষ্ট করে দেবার এই পক্রিয়া পৈশাচিক!

তবে সঞ্জয় দার আইডিয়াটি বেশ লাগলো। যে এমন দারুন গল্পের সারাংশ বানাতে পারে সে নিজে কি একবার এটাকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারেনা? হবে নাকি সঞ্জয় দা?
[+] 2 users Like Baban's post
Like Reply
(26-07-2023, 07:04 PM)Baban Wrote: বাবারে কি নৃশংস ব্যাপার। যদিও এটার ব্যাপারে সবারই একটু আধটু জানা ছিলই কিন্তু সম্পূর্ণ রূপে জেনে কেমন একটা যেন লাগলো। প্রাইভেট পার্টকে যেমন কামের অস্ত্র হিসেবে জানি সেই অস্ত্রকে নষ্ট করে দেবার এই পক্রিয়া পৈশাচিক!

তবে সঞ্জয় দার আইডিয়াটি বেশ লাগলো। যে এমন দারুন গল্পের সারাংশ বানাতে পারে সে নিজে কি একবার এটাকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারেনা? হবে নাকি সঞ্জয় দা?

no sir , সারাংশ তৈরি করে দিতে পারি। কিন্তু লেখার ব্যাপারে একেবারেই আনাড়ি আমি।  Tongue

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 1 user Likes Sanjay Sen's post
Like Reply
(25-07-2023, 05:33 PM)Somnaath Wrote: ইশ্ কি নৃশংস!!! চায়না মালগুলো চিরকালের শয়তান  Angryfire

একদমই তাই  Sad

(26-07-2023, 10:50 AM)Chandan1 Wrote:
Really very pathetic  Sad

Absolutely  Sad 

(26-07-2023, 04:13 PM)Sanjay Sen Wrote: এই theme এর উপর কিন্তু একটা দারুন থ্রিলার গল্প হয়ে যেতে পারে। চীনা সৈনিকদের হাতে খোজাকরণের ফলে মৃত্যু হওয়া কোনো পাহারাদারের ছেলে ওই রাজ্যেই কোথাও গা ঢাকা দিয়ে থাকলো। তাকে অবশ্য লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিলো তার মা, যাকে কিনা আবার ওই রাজ্যের রাজা জোর করে নিজের রক্ষিতা বানিয়েছিল। তারপর ছেলেটা বড় হওয়ার পর তার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ওই রাজ্যের রাজাকে হত্যা করে তার স্ত্রী এবং মেয়েকে ভোগ করলো অথবা দুজনকেই একসঙ্গে ভোগ করলো। আইডিয়াটা কেমন দিলাম বলো!  Tongue

দুর্দান্ত আইডিয়া  clps ছাত্রাবস্থায় precis খুব ভালো লিখতে, এটা বেশ বোঝাই যাচ্ছে।  Smile  

(26-07-2023, 07:04 PM)Baban Wrote: বাবারে কি নৃশংস ব্যাপার। যদিও এটার ব্যাপারে সবারই একটু আধটু জানা ছিলই কিন্তু সম্পূর্ণ রূপে জেনে কেমন একটা যেন লাগলো। প্রাইভেট পার্টকে যেমন কামের অস্ত্র হিসেবে জানি সেই অস্ত্রকে নষ্ট করে দেবার এই পক্রিয়া পৈশাচিক!

তবে সঞ্জয় দার আইডিয়াটি বেশ লাগলো। যে এমন দারুন গল্পের সারাংশ বানাতে পারে সে নিজে কি একবার এটাকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারেনা? হবে নাকি সঞ্জয় দা?

একদমই তাই, ভীষণ নৃশংস এবং অমানবিক  Sad 

(26-07-2023, 07:10 PM)Sanjay Sen Wrote:
no sir , সারাংশ তৈরি করে দিতে পারি। কিন্তু লেখার ব্যাপারে একেবারেই আনাড়ি আমি।  Tongue

শুরুর দিকে আমরা সবাই আনাড়ি ছিলাম, এখন ধীরে ধীরে সেয়ানা হয়েছি। বুক ঠুকে শুরু করে দাও, তারপর দেখবে শুধুই সফলতা।  Smile
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
[Image: Polish-20230810-213344338.jpg]

|| এক মুঠো পবিত্রতা ||

কলমেঃ- অনন্যা মণ্ডল
প্রুফ রিডারঃ- বুম্বা

- কেউ আছেন?

- কে? আমি ঘরে আছি। আয়।

শ্রীকান্ত হাল্কা ধাক্কা দিতেই দরজাটা ক্যাঁচ শব্দ করে খুলে যায়। ঘরে ঢুকতেই মদ, উগ্র সুগন্ধি আর গুমোট ভাবের মিশ্রিত একটা গন্ধ শ্রীকান্তের নাকে ধাক্কা দেয়। একটা ছোটো স্যাঁতস্যাঁতে ঘর,ঘরের এক কোণে একটা তক্তোপোশ, তার ওপর ছেঁড়া তেলচিটে একটা মাদুরের ওপর বছর পঁয়ত্রিশের এক মহিলা উল্টো দিকে ঘুরে বসে আছে।

- আমি। আসলে…

- বাবু। আমি খালি আছি। এই স্মাইলি তোমাকে সেরা মজা দেবে । পুরো পয়সা উসুল মজা দেবো বাবু। তবে রেট ফিক্সড ঘন্টায় হাজার টাকা তবে তোমার জন্য ইস্পেশাল ছাড় সাড়ে সাতশো ফাইনাল। মদ আনতে বলবো নাকি? দেশী, বিদেশী সব পাবে। তার জন্য আলাদা রোখড়া।

- আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন।

- এই বেশ্যাকে আবার আপনি! কে গো তুমি?

এই বলে স্মাইলি ঘুরে তাকায়। চুলটা পাট করে আঁচড়ানো পাঞ্জাবি পরা এক বছর পঁচিশের ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। মুখে চোখে বিরক্তি আর কৌতুহলী ভাব।

-  তুমি তো ভদ্রঘরের ছেলে। এলাকায় আজ প্রথম?

- হুমম।

- আমায় পছন্দ হলো না বুঝি? কচি মাল চাই? বলো তোমার বাজেট কতো?

- না দিদি, আমি ওই জন্য আসিনি।

- তবে কি চাই পরিস্কার করে বলো দেখি।

- আমি প্রতিমা তৈরির জন্য আপনার দালানের মাটি নিতে এসেছি।

- অঅঅ... পুজো আসছে। এই সময় তো আমাদের দুয়ারে অনেক ভদ্রলোকের পা পড়ে। যারা আমাদেরকে পাপী বলে মনে করে। তারাও আমাদের হাত থেকে মাটি নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। সেই সময় নিজেকে খুব মস্ত মানুষ মনে হয়।

- আপনাদের দালানের মাটি দিয়েই তো মায়ের প্রতিমা গড়া হয়।

স্মাইলি ছেলেটির দিকে তাকিয়েই থাকে। এই গুমোট পরিবেশে ওর অস্বস্তি হলেও ছেলেটার চোখে স্মাইলির জন্য সম্মান রয়েছে, যা স্মাইলি অন্য কারো চোখে দেখেনি। স্মাইলি একটু হেসে উঠে যায়। শ্রীকান্ত ঘরটার চারিদিকে চোখ বুলায়। এক দেওয়ালে মা দূর্গার খুব সুন্দর এক ছবি টাঙানো। স্মাইলি একটু পরেই আঁচল ভরে মাটি নিয়ে আসে।

- ব্যাগ দাও বাবু। মাটি ভরে দিই।

-  দিদি, তোমাদের ঘরের মাটি দিয়েই কেন মায়ের মূর্তি গড়ানো হয়? জানো?

দেওয়ালে টাঙানো দুর্গা ঠাকুরের ছবিটার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করে শ্রীকান্ত। নিজের অজান্তে তুমি বলে ডেকে ওঠে স্মাইলিকে।

- নাহ্ জানিনা, বছরের পর বছর ভদ্র বাবুরা এসে নিয়ে যায় তাই দেখেছি। অনেকে এই নিয়ে বিস্তর লেখালেখিও করে।

- তোমাদের একেবারে নিঃশেষ করে দেওয়ার পরে তোমরা শীতের শেষে কচি পাতার মতো এই বাড়িতে থেকে নিজেদেরকে আবার নতুন করে সাজিয়ে তোলো। মা মহামায়া যেমন অসীম তেমন এই মাটির প্রবিত্রতাও অসীম। তাই এই মাটি দিয়েই মা সেজে ওঠে।

- সত্যি? এই মাটি এতো মূল্যবান ? তাহলে যে আমাদেরকে সবাই অচ্ছূৎ বলে!

- সেটা তাদের অজ্ঞতা। আচ্ছা, তাহলে এখন আসি দিদি! পরে আবার দেখা হবে।

স্যাঁতস্যাঁতে ঘরটায় সম্মান রেখে এক মুঠো পবিত্রতা নিয়ে চলে যায় শ্রীকান্ত।

---- সমাপ্ত ----

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 4 users Like Bumba_1's post
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)