Thread Rating:
  • 27 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica সুখ (সমাপ্ত)
#1
[Image: 5c45dc2dba26b.jpg]

#১ (৪)


ঘুমন্ত স্বামীর আলিঙ্গনে নিজেকে পেয়ে খুশি হয় সুদেষ্ণা... আর একটু সরে সৌভিকের বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় নিজের শরীরটাকে... মুখ গুজে বড় করে শ্বাস টানে... ঘ্রাণ নেয় স্বামীর দেহের পুরুষালী গন্ধর... বুক ভরে... নগ্ন বুকের স্তনবৃন্তদুটো কেমন অসভ্যের মত জেগে ওঠে... শক্ত হয়ে ওঠে ও দুটি নাকের মধ্যে সৌভিকের গায়ের গন্ধটার প্রবেশমাত্রই... পাতলা ঠোঁটে প্রশান্তির হাসি খেলে যায়... আস্তে আস্তে মুখ তুলে তাকায় স্বামীর পানে... একদিনের না কাটা দাড়ির আবছায়া মেখে রয়েছে দৃঢ় গালের ওপরে... সৌভিকের এই রূক্ষ রূপটা ভিষন টানে তাকে... ইচ্ছা করে হাত তুলে গালের ওপরে রাখতে, বোলাতে ওই কর্কশ গালটায়... কিন্তু ইচ্ছাটাকে সংযম করে সে, পাছে ঘুম ভেঙে যায় বেচারার... ভোররাতের দিকে ক্লান্তি মেখে ঘুমিয়ে পড়েছে সে... মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনে পড়ে যায় সুদেষ্ণার গত রাতটা... উষ্ণ কামোচ্ছাসে আর গভীর ভালোবাসায় ভরা রাত... ভাবতে ভাবতেই শিহরিত হয়ে ওঠে দেহ... শুধু গত রাতেই নয়, প্রতি রাতেই তারা এই ভাবে একে অপরের মধ্যে হারিয়ে যায় বারংবার... ভেসে যায় লাগামহীন অনন্ত ভালোবাসায়... উচ্ছৃঙ্খল কামোচ্ছাসে... বলগাহীন কামোকেলীতে... তাও যেন অতৃপ্ত থেকে যায় তাদের দেহ, মন... আরো, আরো বেশি করে পাবার নেশা চেপে ধরে তাদেরকে রাতের শেষে... সারা রাত ধরে সৌভিক তাকে দুরন্ত ভালোবাসা আর প্রশ্রয়ে আরো বেশী করে সাহসী করে তোলে... উৎসাহিত করে তোলে উদ্দাম হয়ে উঠতে... হ্যা... ভালোবাসে সে সেক্সকে... ভিষন ভাবে এই দেহজ সুখ সে কামনা করে... আর সেটা আরো বৃদ্ধি পায় সৌভিকের এই অনাবিল প্রশ্রয়ে... কারণ সেই ভাবেই তাকে পেতে ভালোবাসে সৌভিকও, মর্মে মর্মে সেটা উপলব্ধি করে সুদেষ্ণা...

২৫ বছর বয়সে সুদেষ্ণা আজ তার যৌবনের শিখরে... শারিরীয় সুখটাকে নিংড়ে উপভোগ করায় কোন রকম শিথিলতা দেখায় না... ভোগ করে প্রতিটা রাত সৌভিকের সাথে চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে... শরীরের প্রতিটা কোষে... একান্ত কোন বাধা না ঘটলে, প্রতি রাতে তারা মিলিত হয়... ভেসে যায় একে অপরের ভালোবাসায় ঘন্টার পর ঘন্টা... সময় কোথা দিয়ে বয়ে যায় কেউ সেই দিকে খেয়াল রাখতে আগ্রহ দেখায় না...

অথচ এই সৌভিকই কিন্তু সামান্য হলেও সন্দিহান ছিল সুদেষ্ণার সেক্সের ব্যাপারে আগ্রহ নিয়ে... ভেবেছিল তাদের যৌন জীবনটা হবে আর পাঁচটা চিরাচরিত দম্পতিদের মতই... রুটিন মাফিক যৌনক্রিড়া, যার মধ্যে হয়তো দেহ থাকবে, কিন্তু সেই দূরন্ত এক্স ফ্যাক্টরের অভাব থেকে যাবে... অন্তুত শুরুর দিকে সুদেষ্ণাকে যে ভাবে দেখেছিল সৌভিক, তাতে তার মনের মধ্যে এই ধরণের ছবি আঁকা বিচিত্র নয়... কিন্তু বিয়ের পরের প্রথম রাতেই বুঝেছিল সে কতটা ভুল ছিল তার ধারণায়... আশাই করেনি সুদেষ্ণা বিছানায় এই ভাবে তুফান তুলতে পারে বলে...

গত রাতের কথা মনে পড়তেই হাসি ফুটে ওঠে সুদেষ্ণার ঠোঁটের কোনে... ভাবতে ভাবতেই মনে পড়ে যৌন অনুসন্ধানের প্রাথমিক পাঠের কথা...

তখন কতই বা বয়স হবে সুদেষ্ণার? সবে কুড়িতে পা দিয়েছে... কলেজ শেষ... বই, লেখাপড়ার বাইরেও যে আর একটা জগত আছে, সেটার সাথে একটু একটু করে পরিচিত হয়ে উঠছে... কলেজের গন্ডি অতিক্রম করে অফুরন্ত সময় হাতে... বন্ধু, বান্ধব, সিনেমা, রেস্তোরাঁ, হইহুল্লোড়... সারাটা দিন শুধু আনন্দ... এক অন্য স্বাদ তখন চোখে... চোখের সামনে নিত্য নতুন সম্পর্কের অমোঘ হাতছানি... উচ্চমধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে সুদেষ্ণা... প্রাচুর্যের মধ্যে বড় না হলেও অভাব ছিল না কোনদিনই... বাবা মায়ের এক মাত্র মেয়ে হওয়ার দৌলতে, শাসনের চৌহদ্দিতে শিথিলতা ছিল বরাবরই, উচ্ছৃঙ্খলতা না থাকলেও, সাহসী হতে বাধা ছিল না বাড়ির শাসনে... কলেজ শেষ হওয়া অবধি পড়াশুনা আর বাড়ির মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছিল সে... কিন্তু কলেজ শেষে অফুরন্ত সময় হাতে পেয়ে স্বাদ নিতে শুরু করে এক অনাবিল স্বাধিনতার... স্বাধীনতা, উচ্ছৃঙ্খলতা নয়... ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে মিশে যেতে পারতো অনায়াশে, কিন্তু কারুর সাথেই কোন অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরী করে নি সচেতনতার সাথেই... খুব সুন্দর ভাবে আলাদা করে রেখেছিল নিজেকে বাঁচিয়ে এই ধরণের কোন সম্পর্ক তৈরী হওয়ার থেকে... সুযোগের হাতছানি যে ছিল না তা নয়, কিন্তু নিজের ভারতীয় নারীত্বের সঙ্গা সে ভোলে নি কখনই... 

পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি উচ্চতায়, বাদামী গায়ের রঙ সুদেষ্ণার... শ্যাম বর্ণএ যে এত মাধুর্য থাকতে পারে, সেটা সুদেষ্ণাকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই... চিকণ ত্বক তার... হরিণ কালো টানা টানা চোখ... বড় বড় চোখের পাতা... সরু বক্র ভুরুযুগল... সরু কপাল... ইষৎ লম্বাটে মুখাবয়ব... ধারালো চিবুক... হাসলে একটা মিষ্টী টোল পড়ে দুই গালের ওপরে... গর্ত হয়ে যায় গালের ওপরে... পাতলা ঠোঁট... দুধ সাদা ঝকঝকে দাঁতের সারি... মরাল গ্রীবা... চওড়া কাঁধ... ভারী গোলাকৃত স্তন... সরু কোমর... নির্মেদ পেট... পুরুষ্টূ মাংসল উরুদ্বয়... স্ফিত বর্তুল নিতম্ব... একেবারে বালিঘড়ির আকার তার চেহারায়... মাথার এক ঢাল মখমল কালো চুল কোমর ছাপিয়ে প্রায় নিতম্বের মাঝামাঝি নেমে থমকে গেছে... যখন হেঁটে যায়, অদ্ভুত একটা কোমনীয় মাধুর্যে ভরা লোভনীয় ছন্দ তৈরী করে প্রতিটা পদক্ষেপের সাথে, যে দেখে বারেক ফিরে তাকাতে যেন বাধ্য হয় সে...

সেদিন বন্ধুদের সাথে একটা পার্টিতে গিয়েছিল সুদেষ্ণা... সাধারণতঃ কোন বন্ধু বা বান্ধবীর বাড়িতেই এই ধরণের পার্টি হয়ে থাকে, কিন্তু সেদিন একটা নাইট ক্লাবে পার্টিটা ছিল... নাইট ক্লাবের মধ্যে কি হয়, সেটা তার অভিজ্ঞতায় ছিল না আগে থেকে... তাই যত সময় গড়িয়েছে... সে অবাক হয়ে দেখেছে তার বন্ধুরা তাদের নিজের নিজের গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের সাথে নিভৃত কোনায় সরে যেতে... দেখেছে তাদেরকে ঘনিষ্ঠ হতে একে অপরের সাথে... দেখেছে আর মনের মধ্যে অদ্ভুত একটা অস্বস্থি তৈরী হয়েছে... নিজের শরীরের মধ্যে উপলব্ধি করেছে সেই অস্বস্থিটা... বারে বারে চোখ চলে গিয়েছে ক্লাবের আধোঅন্ধকারের পরিবেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকে দেহগুলির দিকে... নিজের দেহের মধ্যের তাপ মাত্রা বৃদ্ধি উপলব্ধি করেছে সে... উপলব্ধি করেছে একটা অভাবের, কিন্তু সেটা কিসের, সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারে নি তখন হাজার ভেবেও... বাড়ি ফিরেছে শরীরের মধ্যে সেই অচেনা অস্বস্থিটাকে সাথে নিয়ে... মনের মধ্যে বেড়ে উঠতে থাকা একটা তাপিত পরিস্থিতি মেখে...

নিজের ঘরের ঢুকে একটা পায়জামা আর টি-শার্ট পড়ে শুয়ে পড়েছিল সে... শুয়েও ঘুম আসছিল না কিছুতেই... বারংবার চোখের সামনে সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকের মত চোখে দেখা বন্ধুদের একেঅপরের সাথে প্রগাঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ দৃশ্যগুলো ভেসে উঠছিল তার... অনেকক্ষন ধরে সে ঘরের অন্ধকারে শুয়ে এপাশ ওপাশ করে যাচ্ছিল শুধু... তারপর কি ভেবে উঠে বসেছিল সে... বিছানার পাশের টেবিলের রাখা বোতল থেকে জলে গলা ভিজিয়ে ল্যাপটপটা টেনে নিয়েছিল... সেটাকে চালিয়ে খেয়ালবশতই ব্রাউজার খুলে খুজে নিয়েছিল একটা ইরোটিক গল্পের সাইট... গল্পটা ছিল একটি ছেলে আর মেয়ের প্রথম মিলনের...  একটু একটু করে উষ্ণ হয়ে উঠতে থাকে তার দেহ যত গল্প এগোতে থাকে... কানের লতিতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে সেই উষ্ণতা... বুকের মধ্যে বেড়ে ওঠে ধুকপুকানী... আনমনেই কখন যে তার হাত পায়জামার মধ্যে ঢুকে গিয়ে প্যান্টির ওপর দিয়ে মুঠোর মধ্যে চেপে ধরেছিল সে নিজের যোনিটাকে, খেয়ালই করেনি সে... রগড়াতে শুরু করেছিল যোনিটাকে মুঠোয় পুরে প্যান্টির ওপর দিয়েই... তারপর গল্পটা একটু একটু করে আরো কামনাশিক্ত হয়ে উঠেছে... গল্পের প্রতিটা শব্দ যেন তার মনের মধ্যে গিয়ে আঘাত হানতে শুরু করে দিয়েছিল... সুদেষ্ণার হাতটাও প্যান্টির ইলাস্টিক ব্যান্ডটা পেরিয়ে ঢুকে গিয়েছিল ভেতরে... নগ্ন যোনির ওপরে আঙুলের ছোঁয়া পড়তেই অবাক হয়ে গিয়েছিল সে কখন যেন তার যোনিটা রসে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে উঠেছে আপনা থেকেই...

যোনিতে এই ভাবে রস কাটতে পারে, সেটা আগে কখনও ভাবে নি সুদেষ্ণা... এই ভাবে পিচ্ছিল হয়ে উঠতে পারে তার যোনি, সেটাও তার কাছে নতুন... যোনির ফাটলে হাত রেখে আস্তে আস্তে আগুপিছু করে রগড়াতে থাকে সে... সাথে সাথে যেন অদ্ভুত একটা শিহরণ খেলে যায় সারা শরীরের মধ্যে... একটা সুখ, কিন্তু সেটা কেমন সেটা বুঝতে পারে না সে... আরো খানিক হাত বুলিয়ে বের করে নেয় হাতটাকে সেখান থেকে... সুখটা পেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু কেমন একটা ভয় হয় তার মনের মধ্যে... কেমন অদ্ভুত একটা ঘোরের মধ্যে পড়ে যায় যেন... শেষে তাড়াতাড়ি করে উঠে বসে ল্যাপটপ বন্ধ করে দিয়ে ফের শুয়ে পড়ে আলো নিভিয়ে... চেষ্টা করে ঘুমের কোলে হারিয়ে যেতে...

পরদিন সুদেষ্ণার অনেকদিনের পুরানো এক বন্ধুর সাথে দেখা... স্কুলের বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল তারা... তৃষ্ণা... এক সাথে বসা ওঠা ছিল তাদের... ওকে রাস্তায় দেখেই কলকলিয়ে ওঠে সে... জড়িয়ে ধরে আনন্দে... জানতে পারে তৃষ্ণা ডাক্তারি পাশ করে ফেলেছে... জয়েন করেছে হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার হয়ে... টেনে নিয়ে গিয়েছিল একটা কফিশপে... পুরোনো দিনের গল্পে হারিয়ে গিয়েছিল তারা... 

তোর সাঁতার চলছে এখনও? নাকি ডাক্তারির চাপে সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে?’ জানতে চেয়েছিল সুদেষ্ণা...

ওহ!... আরে ওটা তো চালাতেই হবে... আমি এখনও রোজ নিয়ম করে সাঁতারটা চালিয়ে যাচ্ছি... ওটার মত ভালো এক্সার্সাইজ আছে নাকি!’ কলকল করে বলে উঠেছিল তৃষ্ণা, তার প্রিয় বন্ধুকে... ‘আসলে কি জানিস তো... শরীর যেটা চায়, সেটা তাকে সবসময় দেওয়া উচিত... বুঝলি...’ সুযোগ পেয়ে ডাক্তারী ফলাতে কুসুর করে না তৃষ্ণা...

হুম... সেটা ঠিকই বলেছিস...’ আনমনে উত্তর দিয়েছিল সুদেষ্ণা, মুখের ওপরে রঙের পরিবর্তন খেলে গিয়েছিল তার...

সেটা নজর এড়ায় না তৃষ্ণার, ভুরু কুঁচকে তাকায় বন্ধুর পানে, ‘এই? কি ব্যাপার রে?

না... মানে সে রকম কিছু নয়... আসলে...’ আমতা আমতা করে সুদেষ্ণা... ‘আসলে পুরোটা ঠিক বোঝেতে পারবো না আমি... আমি নিজেও কতকটা ব্যাপারটা নিয়ে একটু ধোঁয়াশায় রয়েছি... খানিকটা এমব্যারাসিংও বলতে পারিস...’ চাপা গলায় উত্তর দেয় সে।

বন্ধুর হাতে হাত রেখে বলে উঠেছিল তৃষ্ণা, ‘কেন রে? এনিথিং রং? বল না আমাকে... আমার কাছে লজ্জার কি?

তৃষ্ণাকে সে বরাবরই একটু অন্য চোখে দেখে... ওর মধ্যের স্পষ্টবাদীতা একটা অন্য মাত্রা যোগ করে... যেটা সুদেষ্ণার ভিষন ভালো লাগে... বরাবরই তৃষ্ণা স্বাধীনচেতা... নারীবাদী না হয়েও নারীত্বের সন্মান বজায় রেখে চলে এই পুরুষশাসিত দুনিয়ায় মাথা উঁচু করে... তার ওপরে এখন সে ডাক্তার... 

মাথা ঝুঁকিয়ে আর একটু কাছে সরে আসে সুদেষ্ণা... ‘আসলে কি জানিস...’ ফিসফিসিয়ে বলে ওঠে একবার চুতুর্দিকটায় চোখ বুলিয়ে নিয়ে... ‘গতকাল রাতে একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে...

বন্ধুকে এই ভাবে বলতে দেখে তৃষ্ণাও কেমন উৎসাহিত হয়ে ওঠে... সেও ঝুঁকে প্রশ্ন করে... ‘কি রে?

কি করে জানে সুদেষ্ণা, কান দুটো লাল হয়ে ওঠে যেন তার... কথাটা গলার কাছে এসেও কেমন দলা পাকিয়ে আটকে যায় যেন... চোখ নামায় টেবিলের ওপরে...

কোই... বল...’ তাড়া দেয় তৃষ্ণা...

আসলে...’ চকিত দৃষ্টি তুলে দেখে নেয় সে চারপাশটা... তারপর আগের মতই ফিসফিসিয়ে বলে ওঠে, ‘কাল না... আমি... আমি বোধহয় মাস্টার্বেট করেছি...’ কথাটা প্রায় উগড়ে দেয় যেন মুখ দিয়ে...

তৃষ্ণা প্রায় মিনিট খানেক চুপ করে বন্ধুর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে... তারপর খিলখিল করে হেসে ওঠে সে... হাসির দমকে দুলে উঠতে থাকে তার সারা শরীরটা... ভ্যাবলার মত চেয়ে থাকে হাসতে থাকা বন্ধুর মুখের পানে সুদেষ্ণা... বুঝতে পারে না তার কথায় এই ভাবে হাসার কি কারণ ঘটল বলে...

হাসির দমক কমলে, কৌতুক ভরা চোখে বলে ওঠে তৃষ্ণা, ‘ওহ! কংগ্রাচুলেশন ডিয়ার... তা কেমন লাগল শুনি?’

কনফিউজিং...’ অপ্রস্তুত মুখে উত্তর দেয় সুদেষ্ণা।

তাই? কিন্তু কনফিউজিং কোন জায়গাটা?’ সুদেষ্ণার উত্তর পেয়ে বুঝতে পারে একদম মন থেকেই উত্তরটা দিয়েছে বন্ধু।

আসলে... ঠিক বুঝতে পারছি না... এটা কি নরমাল ব্যাপার? মানে মেয়েরা কি এই সব করে? এটা করা ঠিক তো? আর যদি করে, তবে কি ভাবে? বা কতটা? আমি... আমি ঠিক বুঝতে পারছি না জানিস... মানে ব্যাপারটা আমার কাছে একেবারেই নতুন বলতে পারিস... আসলে যে ভাবে হটাৎ করে...’ বলতে বলতে থমকায় সুদেষ্ণা, কি বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না সে... অস্বস্থি হয় কেমন একটা কথাটা বলে ফেলে তার...

আচ্ছা... আচ্ছা... ঠিক আছে... আর কিছু বলতে হবে না তোকে... তুই বরং জলটা খা... দম নে একটু...’ বলতে বলতে টেবিলে রাখা জলের গ্লাসটা এগিয়ে দেয় সুদেষ্ণার দিকে তৃষ্ণা।

জলের গ্লাসটা হাতে নিয়ে ঢক ঢক করে খানিকটা জল সত্যিই খেয়ে নেয় সুদেষ্ণা... তারপর গ্লাসটা নামিয়ে রেখে প্রশ্ন ভরা চোখে তাকায় বন্ধুর দিকে।

একটু দম নেয় তৃষ্ণাও... খানিক চুপ করে থেকে তারপর ধীর কন্ঠে বলে সে, ‘শোন তাহলে... তবে মন দিয়ে শুনবি, কারণ যেটা বলবো এখন সেটা ইম্পর্টেন্ট...’ বলে ফের থামে সে খানিক, তারপর আবার বলতে শুরু করে, ‘দেখ, আমি একটা জিনিস তোকে বলে দিতে চাই যে তুই, মানে আমার বন্ধু সুদেষ্ণা, একজন যুবতী আর স্বাস্থবতী নারী... স্বাস্থবতী কথা বললাম তার কারণ আছে... টিন এজ থেকে ধর মোটামুটি চল্লিশ অবধি একটি নারীর সেক্সুয়াল চাহিদা একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার... যে কোন পুরুষের থেকে এতটুকুও কোন অংশে কম নয়... ওই বয়সী সমস্ত নারীর একটা সুস্থ লিবিডো বা যাকে বলে যৌন ক্ষুধা থাকে, এটা খুব সুস্থ একটা লক্ষণ, এ নিয়ে কোন দ্বিমত নেই...

কিন্তু...’ তৃষ্ণার কথার মধ্যেই বলে ওঠে সুদেষ্ণা... ‘কিন্তু সাধারণতঃ ছেলে্দেরই তো মেয়েদের থেকে বেশি ওই সব... মানে ওই যেটা বললি, সেটা বেশি থাকে...

হু... খারাপ বলিস নি... আমি বলবো, হ্যা আর না...’ চেয়ারে একটু সোজা হয়ে বসে তৃষ্ণা... ‘নারীর যে কোন পুরুষের মতই একই রকম যৌন ইচ্ছা থাকে... না বেশি, না কম... একেবারে ওদের মতই একই রকম... কিন্তু আমরা, মানে নারীরা যে সমাজে বাস করি, সেটা পুরুষশাসিত... এখানে তাই আমাদের মানে নারীর যৌন ইচ্ছা, বা বলতে পারিস সেই যৌন চাহিদার প্রকাশ যদি ঘটে, তখন সেই নারীর ওপরে একটা ব্যাভিচারিনীর বা যাকে বলে লুজ ক্যারেক্টারের তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়... আর সেই কারণেই মেয়েরা মানে ওই বয়সী মেয়েরা নিজেদেরকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়ে সেই যৌনক্ষুধাটাকে চেপে রাখতে বাধ্য হয়... তাদের সেই সাধারণ ইচ্ছা অনিচ্ছাগুলোকে চেপে রাখতে বাধ্য হয় বলতে পারিস... তারা মনে করে যে একমাত্র বিয়ের পরই তাদের স্বামীরা এই সমস্ত অবদমিত যৌনক্ষধা নিবৃত্ত্য করবে...

সেটা তো খারাপ নয়... ক্ষতি কি তাতে?’ প্রশ্ন করে সুদেষ্ণা।

ওপর থেকে দেখলে কোন ক্ষতি নেই বলা যেতে পারে...’ উত্তর দেয় তৃষ্ণা... ‘কিন্তু একটু যদি তলিয়ে দেখা যায়, তাহলে আমরা দুটো জিনিস দেখতে পাই যেটা ভিষন ভাবে ক্ষতিকারক। প্রথমতঃ দেখা যায়, যতদিন না সেই মেয়েটির বিয়ে হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত সে একটা সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশনএর মধ্যে দিয়ে যায়, কোন কিছুতেই ঠিক মত মনোনিবেশ করতে পারে না সেই মেয়েটি... আর ঠিক মত কনসেন্ট্রেট না করতে পারার কারণে মেয়েটি হয়ে ওঠে মুডি... আসলে শারীরিক ভাবে তার মধ্যে একটা হরমোনাল ইম্‌ব্যালেন্স কাজ করে, যেটা দেহের পক্ষে ক্ষতিকারক বলতে পারিস। আর একটা ব্যাপার জেনে রাখ, এই যৌন ক্ষুধাটা ঠিক মত মেটাতে পারলে ওটা একটা খুব সুন্দর স্ট্রেস রিলিভার হিসাবে কাজ করে... সেই জন্য দেখবি আগেকার দিনে মেয়েদের অনেক ছোট বেলায় বিয়ে হয়ে যেতো... অস্বীকার করলে হবে না, সেই আচারগুলোর পেছনে একটা সায়েন্টিফিক ইকোয়েশন কাজ করতো সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না...’ বলে একটু থামে তৃষ্ণা... ‘কিন্তু আজকাল মেয়েরা বেশি বয়সে বিয়ে করছে, তাই এর ফলে তাদের সেই সেক্সুয়াল নীডটা পুরণ হতে সময় নেয়, ডিলেড হয়... যেটা মেয়েদের মানসিক ইমব্যালেন্সএর একটা প্রধান কারনও বলতে পারিস... যারাই এই ধরনের শারীরিক যৌন ক্ষুদা নিজের ভেতরে লোকলজ্জার ভয়ে চেপে রাখে, তারা কেমন অদ্ভুত একটু খিটখিটে স্বভাবের হয়ে দাঁড়ায়...

হুম... খুব একটা খারাপ বলিস নি...’ বোঝদারের মত মাথা নাড়ে সুদেষ্ণা... তারপর প্রশ্ন করে... ‘আর দ্বিতীয়টা?

দ্বিতীয়টা হচ্ছে এই রকম...’ ফের বলতে শুরু করে তৃষ্ণা... ‘সচারাচর দেখা যায় আমরা, মানে ভারতীয় মেয়েরা আমাদের যৌনাত্বক পরিতৃপ্তিটা তুলে দিই আমাদের স্বামীদের হাতে... তাতে ব্যাপারটা সতীসাবিত্রী মার্কা হয়ে ওঠে ঠিকই কিন্তু এক দিক দিয়ে দেখতে গেলে পুরো ঘটনাটা একটা ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।

ঝুঁকি? কি ভাবে?’ আশ্চর্য হয় তৃষ্ণার কথায় সুদেষ্ণা...

ঝুঁকি বইকি... পৃথিবীর সমস্ত পুরুষ মনে করে তারা বিছানায় প্রত্যেকেই এক একজন স্টাড... যৌনক্রিড়ায় অসম্ভব পারদর্শী... আসলে কিন্তু সত্যটা একেবারেই তা নয়... প্রতিটা পুরুষ বিভিন্ন... বিভিন্ন তাদের যৌন ক্ষমতা, তাদের লিঙ্গের পরিমাপ, এবং সর্বপরি তাদের নারীকে চরম সুখের শিখরে পৌছে দেওয়ার ক্ষমতা... বলছি না যে প্রতিটা পুরুষই অক্ষম বা অপারদর্শী... কিন্তু যতটা নিজেদের ক্ষমতাশীল মনে করে তার একশ ভাগের পাঁচ ভাগেরও কিনা সন্দেহ... এবং সেই কারনেই একটা নারীর প্রকৃত যৌনক্ষুধা একশ শতাংশ নিবৃত্ত্য করা কোন পুরুষের পক্ষেই সম্ভব হয় না... যার ফল স্বরূপ সেই নারীর মধ্যে দেখা দেয় ফ্রাস্ট্রেশন... এমন অনেক পুরুষ আছে, যে হয়তো ফোরপ্লে কি, তাই জানে না... হয়তো ভাবে আমাদের ওখানটায় খানিকক্ষন মুখ দিয়ে চুষলেই ফোরপ্লে করা হয়ে গেলো... এতো এক রকম বললাম, দেখতে গেলে এই রকম লিস্টের শেষ নেই... আর সেই কারনেই বলছি, যে নারী সম্পূর্ণ ভাবে স্বামীর ওপরে নির্ভর করে নিজের যৌন ক্ষুধা মেটানোর, সেটা একরকমের জুয়া ছাড়া আর কিছুই নয়... হতেও পারে, আবার নাও পারে... না হওয়াটাই এক্ষেত্রে মাত্রাধিক বলে ভাবতে পারিস...

তাহলে উপায়?’ চিন্তিত মুখে প্রশ্ন করে সুদেষ্ণা...

ঠিক যেটা গতকাল রাতে তুই করেছিলিস...’ উত্তর দেয় তৃষ্ণা।

হুমমম...’ কয়েক সেকেন্ড ভাবে সুদেষ্ণা, তারপর প্রশ্ন করে, ‘তাহলে ভার্জিনিটি? সেটা?’

সেটা আবার কি?’ ঘুরিয়ে প্রশ্ন করে তৃষ্ণা সুদেষ্ণাকে।

না, মানে, আমি বলতে চাইছি যে... ওই যে... আমাদের হাইমেন...’ গলা নামিয়ে চাপা স্বরে বলে ওঠে সুদেষ্ণা... ‘ওটার যদি কিছু হয়, মানে কিছু ভাবে ওটা ড্যামেজ হয় বা ফেটে যায়...’ বলতে বলতে চিন্তান্বিত হয়ে ওঠে তার মুখ... ‘মানে সে ক্ষেত্রে বিয়ের রাতে নিজেকে ভার্জিন, সেটা কি করে প্রমাণ করবো?’

ওহ! গড! সুদেষ্ণা...’ বড় বড় চোখ করে তাকায় তৃষ্ণা... ‘তুই কোন শতাব্দীতে বাস করছিস রে? হ্যা?’

এই ভাবে ওকে বলাতে বোকা বোকা মুখে তাকায় সুদেষ্ণা... তৃষ্ণার কথায় নিজেকে কেমন বাচ্ছা মেয়ের মত মনে হয় তার...

সুদেষ্ণাকে অপ্রস্তুত করতে চায় না তৃষ্ণা, স্মিত হেসে বলে, ‘আচ্ছা, বেশ... প্রথমত ভার্জিনিটি বলতে তুই যেটা বলতে চাইছিস, সেটা হলো যে একটা পুরুষের সাথে সেক্সুয়াল ইন্টার্কোস না করা... তাই তো? সেটাই আসল কথা... ঠিক কি না?

ঘাড় হেলায় সুদেষ্ণা সসংকোচে... সঠিক উত্তর খুঁজে পায় না সে...

ভুল বলিস নি... কতকটা তাই বলতে পারিস... আর তোর কথা মত হাইমেন ভার্জিনিটির প্রমান সেটা ছিল আগের যুগে, এখন নয়... আগেকার দিনে মেয়েরা বাড়িতে বসে থাকতো, সেই রকম কোন ফিজিকাল কাজ কর্ম তাদের করতে হতো না... কিন্তু আজকের দিনে দেখ... মেয়েদের বেঁচে থাকতে কি পরিমান লড়াই করে যেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত... শুধু তাই বা কেন? আমরা মেয়েরা ছেলেদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কোন কাজে হাত লাগাই না? এমনকি রীতিমত সমস্ত রকম স্পোর্টসএও পার্টিসিপেট করছি... তাই নয় কি? তাই যে কোন ফিজিকাল অ্যাক্টিভিটির ফলে আমাদের শরীরের মধ্যের হাইমেন যখন তখন ছিড়ে যেতেই পারে... তাই আজকের যুগে হাইমেনএর অনুপস্থিতি কখনই কোন নারীর লুজ ক্যারাক্টারের সঙ্গা হতে পারে না... হতে পারে না ভার্জিনিটির প্রমান...

কথাটা ঠিক মত হৃদয়গ্রাহ্য হয় না সুদেষ্ণার... ‘কিন্তু যদি সে প্রশ্ন করে বিয়ের রাতে?’ জিজ্ঞাসা করে বন্ধুকে।

যা সত্যি, তাই বলবি...’ হাসে তৃষ্ণা... ‘বরং উল্টে তার ভার্জিনিটির প্রমাণ চাইবি! দেখ সুদেষ্ণা, বিবাহটা সম্পূর্ণ বিশ্বাসের ওপরে গড়ে ওঠে, ওটা একটা ছোট্ট চামড়ার টুকরো নয়... যেটার থাকা না থাকার ওপরে সব কিছু নির্ভর করবে... যদি সে তোকে বিশ্বাস না করতে পারে, তাহলে সে আশা করে কি করে যে তুইও তাকে বিশ্বাস করবি অন্ধের মত? সে প্রমান করতে পারবে কি তার ভার্জিনিটি? তাহলে সে কি করে চাইবে তোর ভার্জিনিটির প্রমান?

কিছু বলে না সুদেষ্ণা, মন দিয়ে শুনতে থাকে তৃষ্ণার কথা... যেন তৃষ্ণা ওর বন্ধু নয়, শিক্ষকের মত করে ওকে বোঝাচ্ছে...

একটু পরে অস্ফুট স্বরে জিজ্ঞাসা করে, ‘আচ্ছা, লাগে? মানে যখন ওটা ছিড়ে যায়?

সুদেষ্ণার প্রশ্নে ওর চোখের দিকে তাকায় তৃষ্ণা, তারপর মাথা নেড়ে বলে, ‘আনফরচুনেটলি, লাগে... আর সেটা সব মেয়েদেরই একটু সহ্য করতে হয়... শুধু তাই নয়... ওটা ছিড়ে গেলে সামান্য রক্তপাতও হয়, তবে বেশিক্ষন নয়, প্রথম কিছুক্ষন, তারপর সেটা আপনা থেকেই চলে যায়... ব্যস... তারপর আর কিছু মনে থাকে না... তবে, হ্যা... প্রথমে অবস্যই একটু লাগে... সেটা অস্বীকার করার কিছু নেই...

তাহলে তার প্রয়োজনই বা কি?’ ভুরু তুলে প্রশ্ন করে সুদেষ্ণা... ‘মানে, আমি বলতে চাইছি যে ভেতরে কিছু না করে বাইরে থেকেই যদি করা যায় আরকি... আসলটা না হয় বিয়ের জন্যই রেখে দেওয়া গেলো...’

সেটা দেখ একেবারেই নিজের নিজের পার্সোনাল চয়েস... যদি তাকে সেই রেস্পন্সিবিলিটি দিতে চাস, দিবি...’ কাঁধ ঝাঁকিয়ে উত্তর দেয় তৃষ্ণা... ‘কিন্তু একটা জিনিস তোকে মনে রাখতে হবে, সে কিন্তু তোর মনের খবর প্রথম থেকেই রাখবে না... সেটা সম্ভবও নয়... তাই তার পক্ষে তোর শরীরের মধ্যে তৈরী হওয়া সেই মুহুর্তের যন্ত্রনা বা ব্যথা, সেটাও তার পক্ষে অনুভব করা সম্ভব নয়... তাতে কি হবে বলতো... পরবর্তি পর্যায়ে সেই মানুষটার সাথে ইমোশানালি বা কখন সখনও ফিজিকালিও বলতে পারিস একটা ভীতির পরিবেশ তৈরী হয়ে যায়... যেটা পরবর্তী পর্যায়েও কাটে না অনেক সময়... আর সেটার জন্য সেই মানুষটাকে দোষ ও দিতে পারা যায় না সব সময়... কারণ খুব স্বাভাবিক ভাবেই ওই সময় সেই মানুষটার মধ্যেও একটা উত্তেজনা কাজ করে... তার পক্ষে তখন নিজেকে সংযত করা সম্ভব নয়... এতটাই উত্তেজিত হয়ে থাকে মিলিত হবার আশায়...

মানে... মানে বলতে চাইছিস যে তাহলে ওটা প্রথমে নিজে করাই উচিত...’ চিন্তিত মুখে প্রশ্ন করে সুদেষ্ণা...

আমি কিছুই বলতে চাইছি না... সবটাই তোর নিজস্ব ব্যাপার...’ বলে ওঠে তৃষ্ণা... ‘আমি শুধু একটা কথাই বলতে পারি যে একবার তোর শরীরের মধ্যে থাকা ওই হাইমেনটা ফেটে গেলে, বাস্তবিক তোর সামনে একটা নতুন জগতের দিশা খুলে যাবে... সেক্সুয়াল এক্সপ্লোরেশন বা সুখ, যাই বল না কেন... তারপর যত দিন যাবে, দেখবি তত অভিজ্ঞতা বাড়বে এই ব্যাপারে... তাতে আরো সুখের সন্ধান পাবি একটু একটু করে...

শুনে চুপ করে যায় সুদেষ্ণা... তৃষ্ণাও আর কিছু বলে না... বন্ধুকে পুরো ব্যাপারটা অনুধাবন করতে সময় দেয় সে...

বেশ খানিক চুপ থেকে ধীর কন্ঠে প্রশ্ন করে সুদেষ্ণা, ‘তুই করিস?

নিশ্চয়ই...’ দৃঢ় কন্ঠে উত্তর দেয় তৃষ্ণা... ‘নিশ্চয়ই করি... আর শুধু আমি কেন? আমার জানা শোনা অনেক মেয়েই করে... শুধু মেয়ে নয়, আমি জানি অনেক বিবাহিত মহিলাও করে থাকে... আমি তো মনে করি এটা একটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার... এটাতে কোন অবাস্তবতার প্রশ্নই নেই... হ্যা, একটা কথা মাথায় রাখা উচিত, আর সব কিছুর মতই, বেশি করা উচিত নয়... ব্যস...

কি করে করিস?’ প্রশ্নটা করে নিজেই অস্বস্থিতে পড়ে যায় সুদেষ্ণা... ‘না মানে বলতে চাইছি যে একদম স্পেসিফিকালি নয়, ইন জেনারাল, মেয়েরা কি ভাবে করে?’

কাল তুই কি ভাবে করেছিলিস?’ ফিরিয়ে প্রশ্ন করে তৃষ্ণা...

আমি?’ থতমত খেয়ে যায় তৃষ্ণার প্রশ্নে... ‘আমি... মানে... ওই তো... ওখানে হাত দিয়ে... মানে ওপর থেকেই আর কি... কেমন ভেজা ভেজা লাগে হাতে... হড়হড়ে... খারাপ লাগছিল না... বেশ ভালো লাগছিল... কিন্তু তারপর আর এগোই নি... সরিয়ে নিয়েছিলাম হাতটা...’ বলতে বলতে কান দুটো গরম হয়ে ওঠে সুদেষ্ণার...

একদম ঠিক করছিলিস...’ বলে ওঠে তৃষ্ণা... ‘শোন... এই ব্যাপারে কোন নিয়ম নেই... তোর যেটা সঠিক মনে হবে, যে ভাবে তোর ইচ্ছা করবে, আরো ভালো করে বলতে গেলে তোর শরীর যেভাবে শায় দেবে, ঠিক সেই ভাবেই এগোবি... দেখবি তোর শরীরই তোকে বলে দেবে কি করতে হবে, তোর কাজ হবে শুধু শরীরের মত করে শুনে যাওয়া... ব্যস... বাকিটা আপনা আপনিই ঘটে যাবে দেখবি...

ব্যাপারটা খুব একটা কঠিন নয়... কি বলিস?’ জিজ্ঞাসা করে সুদেষ্ণা...

একটুও নয়... খুব সাধারণ ব্যাপার আর একদম ন্যাচারাল...’ উত্তর দেয় তৃষ্ণা...

আর... আর তোর হাইমেন?’ আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করে ফের সুদেষ্ণা... ‘সেটা কি... মানে কি বলতে চাইছি বুঝতে পারছিস তো?

হু বুঝতে পারছি...’ বলে একটু চুপ করে তৃষ্ণা... তারপর খানিক পর উত্তর দেয়... ‘ওটা আমিই নিজে নিজেই করেছি...

ওহ!... কি... কি করে? মানে কি দিয়ে?’ গলা নামিয়ে ফিসফিসিয়ে প্রশ্ন করে সে এমন ভাবে যেন কোন ষড়যন্ত্র করছে তার বন্ধুর সাথে...

ওকে ওই ভাবে জিজ্ঞাসা করতে দেখে হেসে ওঠে তৃষ্ণা... হাসতে হাসতেই হাতের মধ্যমাটা তুলে ধরে বন্ধুর মুখের সামনে...

ওহ!... বুঝেছি... থ্যাঙ্ক ইয়ু... থ্যাঙ্ক ইয়ু সো মাচ...’ বলতে বলতে জড়িয়ে ধরে প্রাণের বন্ধুকে...

ওর উচ্ছাস দেখে আরো হেসে ওঠে তৃষ্ণা... সুদেষ্ণার পীঠে হাত রেখে বলে ‘ইয়ু আর মোস্ট ওয়েলকাম মাই ডিয়ার...’ তারপর ওর দিকে তাকিয়ে চোখ মেরে বলে ওঠে... ‘তবে একটা জিনিস দেখিস... ইয়ু উইল লাভ ইয়োর ফার্স্ট অর্গ্যাজম...

এরপর দুই বন্ধু তাদের পুরানো দিনের কথায় মেতে ওঠে... কলকল করতে থাকে কফি শপের মধ্যে বসে... হাসি গল্পে মুখরিত হয়ে ওঠে তাদের টেবিল।

কিন্তু শত কথার মধ্যেও সুদেষ্ণার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় বারেবার তৃষ্ণার বলা কথাগুলো... ভাবে সে... আর যত ভাবে ততই তৃষ্ণার প্রতিটা কথা তার কাছে যুক্তিগ্রাহ্য বলে মনে হয়... সত্যিই তো... ঠিকই তো বলেছে তৃষ্ণা... সে এখন পুরো মাত্রায় যুবতী... সেখানে কেন সে নিজের শরীরের সুখ খুঁজে নেবে না? কেন সীমিত করে রাখবে সেই সুখের সন্ধান? গত রাতের অভিজ্ঞতা সে অস্বীকার করতে পারে না... সত্যিই তো... এক অদ্ভুত আরামের সন্মুখিন সে হয়েছিল... তার শরীর সাড়া দিয়েছিল এক সুখের ছোয়ায়... এখন সে বুঝতে পারছে তৃষ্ণার সাথে কথা বলে যে তারও দেহের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক অদম্য ইচ্ছা... সুখ পাওয়ার... তাহলে আটকাচ্ছে কিসে? নাহ! মনে মনে সে স্থির করে... এবার সে নিজের মত করে সুখ খুজে নিতে কুসুর করবে না...

ক্রমশ...
[+] 6 users Like bourses's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
বাহ দাদা নতুন গল্প। ভালো শুরু। নতুন কিছু আশা করছি।
Like Reply
#3
দাদা, অসাধারন শুরু। আশা করছি আবারও চোখের সামনে ফুটে ওঠা বর্ণনা পাব  Smile
Like Reply
#4
আমি যা দেখি তার সবই কি
সাদা কালো মানুষের স্বপ্ন
ছুঁয়ে থাকা জৈবিক দেহের মমি
জীবন্ত অন্ধকারে জীবন স্বপ্নে।

যদি সময়ের জানালা ধরে,
 আজন্ম স্বপ্ন সাজিয়ে যাই
তুমি আছো ভাবনাতে পুরোটাই
আজ হঠাৎ কেন প্রানে অকারণ এ শিহরণে।


আবার দীপ্তমান আমাদের bourses দাদা ।
অমৃতের সন্ধানে - নিজের মনের নগ্ন নিস্তব্ধতাকে একটু কথা বলতে দাও।
Like Reply
#5
(21-01-2019, 06:47 PM)ronylol Wrote: বাহ দাদা নতুন গল্প।  ভালো শুরু।  নতুন কিছু আশা করছি।

তোমার মতামত দিয়ে শুরু হলো আমার এই নতুন গল্প... ভালো লাগলো দেখে... তবে এবারের গল্পটা বেশী বড় হবে না... নতুন কিছু দিয়ে কতটা তোমার আশার আকাঙ্খা পূরন করতে পারবো জানি না, তবে চেষ্টা করবো যতটা ভালো করা যায়...

ভালোবাসার রেপু যোগ করে দিলাম... Heart Heart Heart
Like Reply
#6
(22-01-2019, 12:07 PM)Aronno56974 Wrote: দাদা, অসাধারন শুরু। আশা করছি আবারও চোখের সামনে ফুটে ওঠা বর্ণনা পাব  Smile

ধন্যবাদ ভাই... তোমার মত পাঠক পাশে আছে বলে বল পাই লিখতে... চেষ্টা করব যতটা পারি তোমাদের মনরঞ্জনের...

রেপু দিলাম ভালোবেসে... Heart Heart
Like Reply
#7
(22-01-2019, 08:32 PM)Nilpori Wrote: আমি যা দেখি তার সবই কি
সাদা কালো মানুষের স্বপ্ন
ছুঁয়ে থাকা জৈবিক দেহের মমি
জীবন্ত অন্ধকারে জীবন স্বপ্নে।

যদি সময়ের জানালা ধরে,
 আজন্ম স্বপ্ন সাজিয়ে যাই
তুমি আছো ভাবনাতে পুরোটাই
আজ হঠাৎ কেন প্রানে অকারণ এ শিহরণে।


আবার দীপ্তমান আমাদের bourses দাদা ।

ফাগুনের মাঝরাতে এসে
কে তুমি ঘুম ভাঙাও,
টোকা দিয়ে কাঁচের জানালায়?
ডাক দিয়ে বল এসো
হারিয়ে যাই উতল হাওয়ায়।
আহ! মাঝরাতের বাদল ফোঁটা,
কোন অপ্সরী, স্বর্গচ্যূত প্রিয়তমা তুমি?
শীতল শিহরণে উতলা কর
কামনার আহবানে ব্যাকুল কর
তোমার স্পর্শ ক্ষুধায়।

কেন এই বিজর রাতের কোলে
ঝুম ঝুম বিউগলে
সুদূর অতীতেরে আন ডাকি,
মলিন স্মৃতির মোড়কে যেথা
পড়ে আছে ছুঁড়ে ফেলা রাখি।
বহুদিন আগে যে গিয়েছে চলে
ডাকিনি তাহারে শ্রাবন চোখে
এই ফাগুন রাতে কেন তার ছায়া
জানালার শার্শিতে দোলে উঠে তবে!

যদি একগুঁয়ে শয্যা ফেলে
এই মাঝরাতের খিড়কি দুয়ার ছেড়ে
ছুটে যাই তোমার জলধি বুকে, বলো
ফেরাবে নাতো আমায় বজ্রাঘাতে?
বুকের সমস্ত ব্যথা ধুয়ে মুছে
নিয়ে যাবে কি আমায় এক স্নিগ্ধ ভোরে
আম্র মুকুলের গন্ধ মাতাল
শুষ্ক জীবন মরুর সুফলা ওপারে!

------------------------------------------

ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য...

Rating Added with tonnnnnns of love... Heart Heart Heart
Like Reply
#8
দারুণ শুরু। অধিকের আশায় ভবিষ্যতের দিকে  তাকিয়ে রইলাম। নতুন গল্পের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
BEAUTY LIES IN THE EYES OF THE BEHOLDER
Like Reply
#9
দারুণ শুরু দাদা। নতুন গল্পের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
Like Reply
#10
(23-01-2019, 11:08 AM)Neelkantha Wrote: দারুণ শুরু। অধিকের আশায় ভবিষ্যতের দিকে  তাকিয়ে রইলাম। নতুন গল্পের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ ভাই... 

ভালোবাসার রেপু রইলো... Heart Heart Heart
Like Reply
#11
(23-01-2019, 01:04 PM)Rainbow007 Wrote: দারুণ শুরু দাদা। নতুন গল্পের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ ভাই...

রেপু + ভালোবাসা... Heart Heart
Like Reply
#12
সুখ

পর্ব - ২ (৪)

রাতে খাওয়ার শেষে নিজের ঘরে গিয়ে ঢোকে সুদেষ্ণা... গা ধুয়ে বেরিয়ে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে একটা ঢোলা গোল গলা টি-শার্ট আর পায়জামা পড়ে বিছানায় উঠে বসে... জানে, মা আর এখন তাকে বিরক্ত করবে না... এই মুহুর্তে সে তার নিজস্ব জগতে হারিয়ে যেতে চায়... কিন্তু কি করে শুরু করবে বুঝতে পারে না সুদেষ্ণা... কেমন অদ্ভুত একটা অস্বস্থি হয় মনের মধ্যে... বিছানায় শুয়ে উশখুশ করে খানিক... তারপর উঠে বসে আলো জ্বালায়... জানলার পর্দাগুলো ভালো করে টেনে দিয়ে ঘরের ফ্যানটাকে বাড়িয়ে দেয় ফুল করে দিয়ে... টেবিলের ওপর থেকে ল্যাপটপটা নিয়ে ফের উঠে আসে বিছানায়... সেটাকে চালিয়ে দেয় সে...

ইন্টার্নেট চালিয়ে পর্ণ সাইটে ঢুকতে যায়... কিন্তু আজকাল আবার পর্ণ সাইটগুলো নেটএ ব্লক হয়ে গিয়েছে... তাই ফের নামে বিছানার থেকে... টেবিলের ওপর থেকে মোবাইলটা তুলে নিয়ে আসে... ফোন করে আয়েশাকে... ‘হ্যালো... আয়েশা বলছিস...

ফোনের ওপাশ থেকে কলকলিয়ে ওঠে বন্ধু... ‘কি রে? এত রাতে হটাৎ?

আরে দেখ না... আমার ব্রডব্যান্ডটা কাজ করছে না... নেট পাচ্ছি না... তুই সেদিন বলছিলিস না মোবাইল থেকে কি করে তুই নেট করিস...’ ইচ্ছা করেই আসল কথাটা ভাঙে না আয়েশার কাছে...

ও... তোর কাছে মোবাইলটা আছে তো?’ প্রশ্ন করে বন্ধু

হ্যা... তাই তো তোকে জিজ্ঞাসা করছি, কি করে কানেক্ট করবো রে?’ জিজ্ঞাসা করে আয়েশাকে।

মোবাইলের হটস্পটটা অন করে দে... আর তারপর ল্যাপটপের ওয়াইফাই দিয়ে কানেক্ট কর... ইটস সিম্পল...’ উত্তর দেয় বন্ধু।

ওহ! তাহলেই হয়ে যাবে?’ নিশ্চিত হয়ে নিতে চায় সুদেষ্ণা...

হ্যা রে বাবা... আমি তো এই ভাবেই করি... শুধু পাসওয়ার্ডটা হটস্পটের মনে রাখবি, কানেক্ট করার সময় ওটা দিতে হবে... ব্যস...’ বলে আয়েশা...

আচ্ছা... থ্যাঙ্কস...’ জেনে ফোনটা কেটে দেবার চেষ্টা করে সুদেষ্ণা...

আচ্ছা মেয়ে তো রে তুই... যেই জানা হয়ে গেলো অমনি থ্যাঙ্কস বলে কেটে দেবার ধান্দা করছিস...’ অভিযোগ ভেসে আসে আয়েশার...

আরে না, না... আসলে একটু দরকার ছিল, তাই তোর থেকে জেনে নিলাম... এবার করে তো দেখবো, নাকি?’ তাড়াতাড়ি জবাব দেয় সুদেষ্ণা...

কেন রে? এত তাড়া কিসের? পর্ন দেখবি নাকি যে এত তাড়াহুড়ো করছিস?’ হাসতে হাসতে বলে ওঠে আয়েশা...

দূর... তুইও না... হটাৎ এখন পর্ন দেখতে যাবো কেন রে?’ বুকের মধ্যেটা কেমন ধড়াস করে ওঠে ধরা পড়ে যাবার ভয়ে...

না... এমনি বললাম... তবে তুই মাইরি একা শুস... দেখতেই পারিস... দেখবি আর আঙলি করবি... আমার মত আর তো তোকে মায়ের সাথে শুতে হয় না... হা হা হা...’ খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে ফোনের ওপাশ থেকে সুদেষ্ণার বন্ধু...

যাহ!... যত ভুলভাল কথা বলিস... আমার মোটেও ওই সব দেখতে ভালো লাগে না...’ উত্তর দেয় সুদেষ্ণা...

বাজে কথা বলিস না তো... ওই সব দেখতে শালা সবার ভালো লাগে... মাইরি বলছি... আমি তোর মত সুযোগ পেলে রোজ রাতে সাইট খুলে দেখতাম আর আঙলি করতাম...’ বলতে বলতে খিকখিক করে হাসতে থাকে আয়েশা...

আয়েশার বকবকানি ভালো লাগে না সুদেষ্ণার... কিন্তু থামাতেও পারে না সে... ভয় হয় পাছে সে বুঝতে পেরে যায় তার আসল উদ্দেশ্য... হটাৎ কি মনে হতে প্রশ্ন করে, ‘তুই করিস নাকি?

সুদেষ্ণার প্রশ্ন করার ঠঙে হেসে ওঠে আয়েশা, ‘কি? আঙলি?

হ্যা... মানে ওই আর কি... বল না... করিস?’ আড়ষ্ট গলায় প্রশ্ন করে ফের...

কেন তুই করিস না?’ ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করে আয়েশা...

আমি? না না...’ তাড়াতাড়ি উত্তর দেয় সুদেষ্ণা।

যা তো... ঢপ মারছিস...’ কপট রাগ দেখায় ফোনের ওপার থেকে...

না রে সত্যিই বলছি... আমি ও সব করি নি কখন...’ সত্যি কথাটাই বলে সুদেষ্ণা...

সে কি রে? তাহলে তো আসল মজাই পাস নি কখনও... ইশ... আগে বলবি তো...’ ফের খিলখিলিয়ে ওঠে আয়েশা...

কেন? আগে বললে কি করতিস?’ বুকের মধ্যেটায় কেমন ঢিপঢিপ করে যেন তার...

শিখিয়ে দিতাম... ইশ... যা মজা লাগে না... আসলের থেকে তো মনে হয় নিজের হাতেই বেশি মজা...’ কলকল করে বলে ওঠে সে...

রো... রোজ করিস?’ শুকনো হয়ে আসে যেন গলাটা সুদেষ্ণার...

দূর বোকা... রোজ করবো কেন... ইচ্ছা হলেই করি... তবে সুযোগও তো সব সময় হয় না, না... আম্মি থাকে যে সাথে... যেদিন একা থাকি, সেদিন করি...’ বন্ধুকে যেন কোন এক ভিষন দরকারি খবর দিচ্ছে, এমন ভাবে বলে ওঠে আয়েশা...

সুদেষ্ণার ভিষন ইচ্ছা করে আরো অনেক কিছু আয়েশার থেকে জানতে… জানতে কি ভাবে সে করে… কিন্তু তার ভিতরের মূল্যবোধ এগোতে দেয় না তাকে, বাধো বাধো ঠেকে এর থেকে বেশি কিছু বন্ধুকে প্রশ্ন করতে… তৃষ্ণার মত অতটা খোলামেলা সে আয়েশার সাথে নয়… সেটাও একটা কারণ…

না রে… এবার রাখি… চল… গুড নাইট…’ বলে ওঠে সে…

হ্যা… হ্যা… ঠিক আছে… বাই… গুড নাইট…’ বলে আয়েশা কেটে দেয় ফোনটা ওপাশ থেকে… হাঁফ ছাড়ে যেন সুদেষ্ণা… বন্ধুর সাথে কথায় কথায় বুঝতে পারে পায়ের ফাঁকে কেমন একটা অদ্ভুত আদ্র ভাব… তাড়াতাড়ি মোবাইলের সেটিংস খুলে হটস্পট অন করে সে…

ল্যাপটপ কানেক্ট করে মোবাইলের সাথে… ব্রাউজার খুলে খুজে নেয় একটা পর্ণ সাইট… একটা দুটো করে চালিয়ে দেখতে শুরু করে সাইটের পেজএ থাকা ভিডিওগুলো… দেখে খানিক, তারপর সেটা বন্ধ করে দিয়ে খুলে নেয় আর একটা… নিজে ভিষন রকমের রোমান্টিক নেচারের হওয়ার ফলে পর্ণ সাইটের ভিডিওগুলো বড্ডো বেশি রকমের ভালগার লাগে তার কাছে... বেশিক্ষন এক নাগাড়ে ওই ধরণের ভিডিও দেখতে ভালো লাগে না সুদেষ্ণার... বারে বারে তাই পালটায় একটার থেকে আর একটায়... ভিডিও দেখার আগে ইচ্ছাটা যতটা ছিল, সেটা যেন অনেকটাই কমে যায় তার... শেষে পর্ন সাইট বন্ধ করে দেয়... তারপর খানিক ভেবে ইরোটিক স্টোরি সাইটে ঢোকে... খুঁজতে থাকে গত রাতের মত একটা গল্প যদি পায়... বারে বারে পেজ বদলায়... মন দিয়ে দেখে মনের মত টপিক... শেষে একটা প্রেমের গল্প পছন্দ হয় সুদেষ্ণার... একটু পড়ার পর মনের মত মনে হয় তার... ল্যাপটপটা বিছানার ওপরে রেখে বালিসটা বুকের কাছে গুঁজে রেখে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ে সে... এক মনে পড়তে শুরু করে গল্পটা... একটু একটু করে হারিয়ে যেতে থাকে গল্পের চরিত্রগুলোর মধ্যে...

গল্পের মধ্যে প্রেমিক আর প্রেমিকা... একে অপরের সাথে মিলিত হচ্ছে দীর্ঘ টানাপোড়ানের পর... তাদের মধ্যে একটু একটু করে গড়ে উঠেছে প্রেম... একে অপরের প্রতি এক অদম্য কামনা গড়ে উঠেছে... তাই হটাৎ করে পাওয়া মিলিত হবার সুযোগ কেউই চায় না হারাতে... দুজনে দৃঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ... চার জোড়া ঠোঁট যেন এক হয়ে গিয়েছে... থেমে গিয়েছে সময়... তাদের সেই আবেগ পূর্ণ চুম্বন দীর্ঘ থেকে আরো দীর্ঘায়িত হয়ে চলেছে... সেই সাথে হাতগুলোও থেমে থাকে নি... স্পর্শ করে চিনে নিতে চাইছে তাদের শরীরের প্রতিটা সম্পদ... শরীরের কোমলতা... দৃঢ়তা... সুদেষ্ণার মনে হয় যেন সমস্ত ঘটনা তার চোখের সামনেই ঘটে চলেছে... পড়তে পড়তে নিঃশ্বাস দ্রুত হয়ে উঠতে থাকে তার... তাপ মাত্রা বাড়ে দেহের... বিন্দু বিন্দু ঘামের রেখা ফুটে ওঠে কপালে... নাকের পাটার দুই পাশে... জিভ দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হয় শুকিয়ে ওঠা ঠোঁটদুখানি... চোখ সরাতে পারে না গল্পের পাতা থেকে যেখানে দুজন দুজনের পোষাক একটা একটা করে খুলে সরিয়ে দিচ্ছে শরীর থেকে... নগ্ন করে তুলছে নিজেদের অপরের হাতের সাহায্যে... তুলে দিচ্ছে নিজেদের শরীরের সম্পদ অপর প্রেমাষ্পদের হাতে... তাদের শীৎকার, গোঙানী লেখা হলেও কানে বেজে ওঠে যেন সুদেষ্ণার... বুঝতে অসুবিধা হয় না কি দ্রুততার সাথে উত্তেজিত হয়ে উঠছে তারও শরীরটা... একটা অনুভূতি তার দুই পায়ের ফাঁকে... একটা তীব্র আকাঙ্খা...

চোখের সন্মুখে কল্পনা করে নিতে থাকে দুটো শরীরি ভালোবাসার মিলন... যত ভাবে ততই কামোত্তজিত হয়ে ওঠে... ল্যাপটপে চোখ রেখে দেহটাকে অল্প অল্প ঘসে বিছানার নরম তোষকের সাথে... বুকের ভেতরে হৃদপিন্ডের দপদপানি বৃদ্ধি পায় প্রতি নিয়ত... বুঝতে অসুবিধা হয় না সে কি অসম্ভব দ্রুততায় ভিজে উঠছে... ভিজে উঠছে জঙ্ঘার কাছে থাকা প্যান্টির অংশটা... নিঃশ্বাসের গভীরতায় মুখ খুলে যায় তার... আর তার ফলে শুকিয়ে ওঠে মুখের অভ্যন্তর, গলা... শক্ত হয়ে জেগে ওঠে সুদেষ্ণার বড় বড় স্তনবৃন্তদুটি... ঘসা খায় বুকের সাথে চেপে রাখা বালিশের সাথে... তার মনে হয় যেন পরনের ব্রাএর কাপড় ভেদ করে বেরিয়ে আসবে বুকের বোঁটাদুটো...

সুদেষ্ণার বুকের মাপটা বেশ ভালো... ৩৪ সাইজের মাপের ‘সি’ কাপ ব্রা পড়ে সে... স্তনবৃন্তদুটি দেহের রঙের সাথে মিলিয়ে গাঢ় বাদামী... সাথে প্রায় ইঞ্চি দুয়েক পরিমাপের স্তনবলয়... বরাবরই সুদেষ্ণার স্তনবৃন্তদুটি তার একটা গর্বের বিশয়... সেদুটি লক্ষনীয়ভাবেই একটু অতিরিক্তই বড় মাপের... এবং সেগুলি যে অতি লোভনীয়, সেটা সুদেষ্ণা নিজেও জানে ভালো করে... আর যখন সেগুলি শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে ওঠে, প্রায় দুই সেন্টিমিটারের মত আকার ধারণ করে তার বুকের ওপরে... এর জন্য সুদেষ্ণা সচেতন ভাবেই প্যাড দেওয়া ব্রা ব্যবহার করে থাকে, কারন কখন সে দুটি কি কারণে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে উঠবে, তখন তাকেই লোকচক্ষুর সামনে অস্বস্থিতে পড়তে হবে ভেবে নিয়ে... সে চায় না যে বাইরের লোকের সামনে ওই দুটো পরিস্ফুট হয়ে উঠে তাকে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হোক... তবুও সেই প্যাডের ব্রায়ের ওপর দিয়েও যে কখনসখনো তার স্তনবৃন্তদুটোর পরিচ্ছন্ন ছাপ ফোঁটে না তা নয়...

উঠে বসে বিছানায় সুদেষ্ণা... পা মুড়ে শিড়দাঁড়া সোজা করে বসে সে... ল্যাপটপের স্ক্রিনটাকে একটু বাঁকিয়ে নিজের দিকে ভালো করে সেট করে নেয় যাতে পড়তে বিঘ্ন না হয়... তারপর ডান হাতটাকে টি-শার্টের তলা দিয়ে গলিয়ে দেয়... আলতো করে চেপে ধরে বামদিকের স্তনটাকে হাতের তেলোয়... আলতো হাতের চাপে চেপে ধরে সেটিকে... আহহহহ... বেশ ভালো লাগে নিজের হাতের মুঠোয় স্তনটাকে এই ভাবে চেপে ধরতে... খানিকক্ষন ব্রায়ের ওপর দিয়েই চাপ দিতে থাকে স্তনটায়... চেপে চেপে ধরে সেটিকে... হাতের তেলোতে স্পর্শ পায় বেড়ে ওঠা স্তনবৃন্তটার ব্রায়ের ওপর দিয়েই...

কিন্তু বেশিক্ষন এই ভাবে কাপড়ের আড়াল দিয়ে টিপতে ভালো লাগে না তার... টি-শার্টের ভেতর থেকে হাতটাকে বের করে এনে একটানে খুলে ফেলে সেটাকে মাথা গলিয়ে... পেছন দিকে হাত নিয়ে গিয়ে খুলে দেয় ব্রায়ের হুক... কাঁধ গলিয়ে নামিয়ে দেয় সেটিকে... ফেলে দেয় অবহেলায় পাশে... মাথার ওপরে ঘুরতে থাকা ফ্যানের হাওয়ায় শিরশির করে ওঠে অর্ধনগ্ন দেহটা... দুই হাত তুলে মুঠোয় চেপে ধরে দুটো স্তনকেই এক সাথে... মুঠোয় পুরে চাপ দেয়... চটকায় মনের মত করে এবার... আহহহহহ... খোলা মুখের মধ্যে থেকে একটা চাপা শিৎকার বেরিয়ে আসে আপনা হতে... চোখ সরে না গল্পের ওপর থেকে... শুধু মাঝে মাঝে হাত নামিয়ে পেজটা এগিয়ে দেয় স্ক্রিনের ওপরে... তারপর ফের হাত ফিরে যায় স্তনের ওপরে...

গল্পের নায়িকা তার স্তন এগিয়ে দেয় প্রেমিকের মুখের পানে... প্রেমিকের মাথা ধরে টেনে নেয় নিজের বুকের ওপরে... মুখের মধ্যে তুলে ধরে একটা স্তনের বৃন্ত চুষে দেবার প্রবল আগ্রহে... সুদেষ্ণা আনমনেই নিজের স্তনবৃন্তটাকে দুই আঙুলে চেপে ধরে রগড়ায়... টেনে ধরে সেটিকে স্তনের থেকে... অনুভব করার চেষ্টা করে নিজের স্তনে নায়িকার সুখানুভুতিটাকে... হুমমমমম... প্রচ্ছন্ন শিৎকার প্রকাশ পায় ঠোঁটের ফাঁক গলে... আরো ভিজে ওঠে জঙ্ঘায় চেপে বসে থাকা প্যান্টির অংশটা... মনে হয় প্যান্টির কাপড়টা যোনির চেরার ফাঁক দিয়ে ঢুকে যেতে চাইছে আরো ভেতর পানে... যোনিওষ্ঠের ফুলে ওঠা এড়ায় না তার... সেগুলি যেন কেমন করে কামড়ে ধরতে চাইছে প্যান্টিটাকে দুই পাশ থেকে... হাত নামিয়ে প্যান্টিটাকে ছাড়িয়ে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করে ওখান থেকে... আর তার ফলে ফুলে ওঠা ভগাঙ্কুরের সাথে আঙুলের চাপ আর ঘর্ষনে শিহরণ খেলে যায় শরীরের মধ্যে... যোনির আগা থেকে একটা তীব্র কম্পন ছড়িয়ে যায় আরো ভেতরে... পেটের মধ্যে... সেখান থেকে একেবারে যেন স্তনবৃন্তের বিন্দুতে... উমমফফ... শিরশির করে সারা দেহ সুদেষ্ণার... সারা দেহ কেঁপে উঠে ওই তীব্র অনুভুতিতে... সামান্য নড়াচড়াও যোনির মধ্যে কেমন ঝাঁকি মারে কি এক সুখে... নিজের শরীরের রসে ভিজে ওঠা যোনির আশেপাশে ঘিরে থাকা যোনিকেশগুলো সুরসুর করে ওঠে অদ্ভুত ভাবে...

গল্পের নায়ক নায়িকা, দুজনেই নগ্ন শরীরের তীব্র ভালোবাসার খেলায় মেতে উঠেছে... পড়তে পড়তে সোজা হয়ে বসে সুদেষ্ণা... একে একে খুলে ফেলে শরীরের বাকি পোষাক... গায়ের টি-শার্ট আর ব্রা তো আগেই খুলে রেখেছিল, পরনের বাকি পায়জামা আর প্যান্টিরও জায়গা হয় তাদের পাশে... 

ঘরের ফ্যানে হাওয়া ঝাপটা মারে নগ্ন স্তনবৃন্তে... ফলস্বরূপ আরো যেন বেড়ে শক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ায় সে দুটি তার নরম ভরাট বুকের ওপরে সগর্বে... একটা হাত তুলে রাখে নিজের স্তনের ওপরে... চাপে... চটকায়... স্তনবৃন্তটাকে আঙুলের চাপে ধরে রগড়ায় আলতো চাপে রেখে... একটা তীব্র অনুভুতি নেমে যায় বুকের থেকে যোনির পানে... শিরশির করে ওঠে শরীরটা আবার... অনিচ্ছাকৃত ভাবেই যেন নিজের মুড়ে বসা পাদুটো বারে বারে বন্ধ হয়, খোলে... আনমনে চাপে ধরে নিজের যোনিটাকে দুই পাশ থেকে পুরুষ্টু গোল উরুর সাহায্যে...

একটা হাত নামিয়ে রাখে নিজের খোলা পেটের ওপরে... মসৃণ পেটে হাত বোলায় সে... সেই সাথে পালা করে টিপতে থাকে নিজের স্তনদুটোকে আলতো হাতের চাপে... মাঝে মধ্যে টান দেয় নিজের বুকের ওপরে উত্তেজনায় শক্ত হয়ে খাড়া হয়ে থাকা ইঞ্চি মাপের স্তনবৃন্তদুটিতে... মোচড়ায় সে দুটোকে আঙুলের ফাঁকে চেপে ধরে... পেটের ওপর থেকে ধীরে ধীরে হাত নামে আরো খানিকটা নীচের পানে... তলপেট বেয়ে হাতের আঙুলের স্পর্শ লাগে কোমল যোনিকেশের... নিজের উরুদুটো দুই পাশে সরে যায় যন্ত্রচালিতের মত যেন... জায়গা করে দেয় হাতটাকে আরো নীচের পানে বিনা বাধায় নেমে যেতে... হাত পৌছায় যোনির মুখে... চোখ স্থির দৃষ্টিতে ল্যাপটপের স্ক্রীনে ফুটে ওঠা গল্পের ওপরে নিবদ্ধ থাকলেও বুঝতে অসুবিধা হয় না তার কি পরিমানে তার যোনির মধ্যে থেকে চুঁইয়ে বেরিয়ে আসছে উষ্ণ দেহরস... চ্যাটচ্যাটে আঠালো রস... আঙুলের ডগায় লেগে যায় তার... আনমনেই হাতের আঙুলটা ঘসে অপর আঙুলের সাথে... তারপর ফের রাখে হাতটাকে নামিয়ে তার যোনির ফাটলে... সামান্য এগোতেই আঙুলের ডগা ছুয়ে যায় উত্তেজনায় স্ফিত হয়ে ওঠা ভগাঙ্কুরটার সাথে... ‘ওহ! মা গো...’ হটাৎ ভগাঙ্কুরের সাথে আঙুলের স্পর্শে প্রায় শিঁটিয়ে ওঠে সুদেষ্ণা... বুঝতে পারে নি সে তার আঙুলের সাথে ভগাঙ্কুরের স্পর্শ এই রকম একটা সাংঘাতিক আর তীব্র অনুভূতির সন্মুখিন হতে হবে তাকে... কিন্তু সে তীব্রতা যন্ত্রনার নয়... অসম্ভব ভালো লাগার... তাই এবার একটু সাবধানে আলতো করে হাত রাখে সে ফের যোনির ওপরে... ধীরে ধীরে ফাটলের মধ্যে আঙুলটাকে ঢুকিয়ে দেয়... আলতো করে ছোয়া দেয় ভগাঙ্কুরের ওপরে... ‘আহহহহহ...’ এবার ভালো লাগা মিশে শীৎকারটা বেরিয়ে আসে তার ফাঁক হয়ে থাকার মুখের থেকে...

আঙুলটাকে ভগাঙ্কুরের ওপরে রেখে ধীরে ধীরে চক্রাকারে ঘোরাতে থাকে সে... একটু একটু করে চাপ বাড়াতে থাকে আঙুল দিয়ে ভগাঙ্কুরটার ওপরে... উরুদুটোকে আরো ফাঁক করে দেয় দুই দিকে... নিজের জঙ্ঘাটাকে আরো খানিকটা এগিয়ে মেলে দেয় সামনের পানে... চাপ বাড়ে নিজের স্তনের ওপরেও সেই সাথে... নির্মম নিষ্পেষণ বাড়ে স্তনবৃন্তে... নিঃশ্বাসের শ্বাস প্রশ্বাস বৃদ্ধি পায় উত্তেজনার পারদের বৃদ্ধির সাথে সাথে... নাকের পাটা ফুলে ফুলে উঠতে থাকে তার প্রতি নিয়ত... চোখ যেন বন্ধ হয়ে আসতে চায় অসম্ভব আরামে... ‘হুমমমম... আগহহহ... ইশশশশ...’ মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে নানান ধরণের আওয়াজ... আরো চাপ বাড়ে আঙুলের ভগাঙ্কুরটার ওপরে... যোনির মধ্যে থেকে বেড়ে ওঠে রসের নিসৃত ধারা... ভিজে ওঠে আঙুলটা আরো বেশি করে... বেরিয়ে আসা সেই রস মাখিয়ে দিতে থাকে ভগাঙ্কুরটাতে... তাতে যত বেশি হড়হড়ে হয়ে উঠতে থাকে ভগাঙ্কুরটা... তত বেশি সুবিধা হয় আঙুলটাকে সেটার ওপরে ঘসতে... বোলাতে... ঘোরাতে চক্রাকারে... মাঝে মাঝে হাত নামিয়ে দেয় যোনির মুখটায়... রসে ভেজা স্ফিত হয়ে ওঠা যোনিওষ্ঠদুটোকে ঘেঁটে দেয় আঙুল দিয়ে... আঙুলের ডগায় খানিকটা রস মাখিয়ে নেয় সেখান থেকে তারপর ফের সেই ভেজা আঙুলটাকে তুলে এনে রাখে ভগাঙ্কুরের ওপরে... নতুন করে রস মাখায় সেখানটায়... চাপ দিয়ে ঘসে ডলে দিতে থাকে ভগাঙ্কুরটাকে আঙুলের চাপে রেখে...

স্ক্রিনের ওপরে থাকা লেখাগুলো আসতে আসতে ঝাপসা হয়ে আসতে থাকে যেন... আর মন দিতে পারে না গল্পে... খেই হারিয়ে যায় তার... মনটা যেন বেশি করে নিবেশিত হতে থাকে দুই পায়ের ফাঁকটায়... ল্যাপটপটাকে হাত দিয়ে সরিয়ে দেয় পাশে... আরো ভালো করে হেলে বসে সে বিছানায়... পা দুটোকে মুড়ে ফাঁক করে ধরে তার নিজের জঙ্ঘাটাকে... ভগাঙ্কুর থেকে আঙুলটাকে নিজের যোনির মুখে রাখে নামিয়ে... অনুভব করে সেটার উষ্ণতা বৃদ্ধির... যোনিওষ্ঠদুটোকে আঙুলের চাপে রেখে রগড়াতে থাকে... মাখিয়ে দিতে থাকে ফাটলের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা রসগুলোয়... তারপর সেখানটায় রগড়াতে রগড়াতেই হাতের আঙুলের মধ্যমাটাকে যোনির ফাটলের ভেতর দিয়ে আস্তে করে ঢুকিয়ে দেয়... একটু খানি... ‘হুমমমম...’ অদ্ভুত একটা আরাম যেন ছড়িয়ে পড়তে থাকে যোনির মধ্যে আঙুলের প্রবেশের সাথে সাথে... ‘আহহহহহ...’ মুখ থেকে বেরিয়ে আসে আরামের শিৎকার অক্লেশে... আর একটু ঢোকায় আঙুলটাকে যোনির ভেতরে... তারপর বার করে আনে বাইরে... হাত তুলে নিজের মুখের সামনে তুলে ধরে রসে চপচপে হয়ে ওঠা আঙুলটাকে... একবার নাকে কাছে নিজে গিয়ে শোঁকে গন্ধটা... তীব্র গন্ধটা যেন ঝাপটা দেয় তার নাকের মধ্যে... কেমন সিরসির করে ওঠে শরীরটা সেই গন্ধটা নাকের মধ্যে যেতেই... ফের হাত নামিয়ে আঙুলটাকে গুঁজে দেয় যোনির মধ্যে... এবার চেষ্টা করে আরো খানিকটা বেশি ভেতরে ঢোকাবার... কিন্তু আঙুলটা আর যায় না ভেতরে... কিছু একটায় যেন বাধা পায় ভেতরে যেতে... একটু চাপ দেয় সুদেষ্ণা... কিন্তু তাতেও এগোয় না আঙুলটা আর... বের করে নেয় সে... নিজের ভগাঙ্কুরটায় আঙুলটা রেখে বারেক ঘোরায়... ফের সেই সুখটা ফিরে আসে যেন... হাতের সব কটা আঙুলকেই একসাথে জড়ো করে ধরে ভগাঙ্কুরটার ওপরে রেখে চাপ দেয়... জোরে জোরে ঘসে ভগাঙ্কুরটাকে আঙুলের চাপে রেখে... ‘ওহহহহ... মাহহহহ...’ ভিষন একটা আরাম যেন ছড়িয়ে পড়ে শরীরের মধ্যে তার... তিরতির করে কেঁপে ওঠে তলপেটটা...

ভগাঙ্কুরটা রগড়াতে রগড়াতেই ফের আঙুল নামায় যোনির ফাটলের মুখে... মধ্যমাটাকে ঢুকিয়ে দেয় যোনির মধ্যে... নাহ!... এবারেও সেই একই ভাবে একটু গিয়েই বাধাপ্রাপ্ত হয় আঙুলের অগ্রগতি... যতটা পারছে, সেই ভাবেই আঙুলটাকে আগুপিছু করে চলে সে... এর ফলে আরামের বদলে যোনির মধ্যেটায় একটা কষ্ট অনুভুত হয় যেন... কিন্তু কেমন যেন মরিয়া হয়ে ওঠে সুদেষ্ণা... থামতে পারে না সে... অদ্ভুত একটা আরাম আর তার সাথে কি যেন এক কষ্ট... মিলে মিশে থাকে যোনির মধ্যেটায়... চাপ বাড়াতে থাকে আঙুলের ডগার যোনির মধ্যে রেখে... চোখ বন্ধ রেখে জোরে একটা নিঃশ্বাস টানে বুক ভর্তি করে... তারপর দমটাকে বন্ধ করে একটা জোরে চাপ দেয় আঙুলটায় যোনির মধ্যে... হড়াৎ করে ঢুকে যায় আঙুলটা যোনির আরো খানিকটা অভ্যন্তরে... আর বেড়ে উঠতে থাকা সুখ ছাপিয়ে একটা তীব্র যন্ত্রনায় কুঁকড়ে যায় সুদেষ্ণা... এই রকম তীব্র যন্ত্রনা যে আগে কখনও উপলব্ধি করে নি... যেন কেউ তার শরীরের মধ্যে একটা ছুরি গেঁথে দিয়েছে মনে হয়... ‘ও... মা গো...’ কোঁকিয়ে ওঠে সে... আঙুলটাকে যোনির মধ্যে রেখেই মুঠোয় চেপে ধরে পুরো যোনিটাকে... পা দিয়ে চেপে ধরে নিজের হাতটাকে ওই ভাবে... চোখটাকে চেপ্পে বন্ধ করে রাখে সে... মাথার মধ্যেটা বোঁ বোঁ করে ঘুরতে থাকে যেন... সারা তলপেটটায় সেই অবর্নীয় যন্ত্রনাটা যেনে ছেয়ে ফেলছে তার... সামান্যতম হাত নাড়াতেও যেন ভয় লাগে সুদেষ্ণার... কাত হয়ে ওই ভাবেই চুপ করে চেপে ধরে শুয়ে থাকে সে...

একটু একটু করে যন্ত্রনাটা প্রশমিত হতে থাকে... স্বাভাবিক হতে থাকে সুদেষ্ণাও ধীরে ধীরে... ফের সে সোজা হয়ে শোয়... আস্তে আস্তে পাদুটোকে নামিয়ে মেলে দেয় বিছানার ওপরে... যোনির মধ্যে থেকে আঙুলটাকে বের করে এনে চুলে ধরে চোখের সন্মুখে... আঙুলটাতে নিজের দেহের রস মাখামাখি হয়ে রয়েছে... আর তার সাথে খেয়াল করে ইষৎ লাল রঙের উপস্থিতি... মনে পড়ে যায় তৃষ্ণার কথা গুলো... সামান্য রক্তক্ষরণ হতে পারে সতীচ্ছদ দীর্ণ হবার সময়... ভালো করে দেখে আঙুলের ওপরে লেগে থাকা লালচে লম্বাটে রেখাগুলোকে... একটু ভাবে আর সে এগোবে কিনা... কিন্তু মনের মধ্যে জেগে থাকা অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মানে... রসে মাখা আঙুলটাকে ফের রাখে যোনির মুখে... আলতো করে ঢুকিয়ে দেয় সেটাকে... এবারে আর কোন বাধা আসে না... অবলীলায় সেঁদিয়ে যায় আঙুলটা যতটা সে ঢুকিয়ে দিতে চায় ততটাই... ধীর গতিতে আগুপিছু করা শুরু করে আবার... যোনির মধ্যেটা যথেষ্ট টাইট... ব্যথাটাও আছে... কিন্তু ততটাও নয় যতটা প্রথমে পেয়েছিল... তাই গুরুত্ব দেয় না... আঙুলটাকে বাইরের দিকে টেনে এনে ফের ঢুকিয়ে দেয় সে... ‘আহহহহ...’ আরামটা যেন ফের ফিরে আসে যোনির মধ্যে... ততটা তীব্র ভাবে না হলেও, একটা সুক্ষ্ম আরামের অনুভুতি এড়ায় না সুদেষ্ণার... স্বভাবতই দ্বিগুণ উৎসাহিত হয়ে ওঠে আপনা থেকেই... ফের আঙুলটাকে সামান্য টেনে নিয়ে গুঁজে দেয় যোনির মধ্যে... এবারে প্রায় পুরোটাই... আঙুলের শেষ গাঁট অবধি... কেমন অবলিলায় বাধাহীন ভাবে সেঁদিয়ে যায় পুরো মধ্যমাটা যোনির ভেতরে... ফচ্‌ করে একটা ভেজা আওয়াজ কানে আসে তার... ‘উমমম...’ শিঁটিয়ে ওঠে আরামের অভিঘাতে... সামান্য ব্যথাটাও আর অবশিষ্ট থাকে না... বদলে সারা শরীর জুড়ে যেন সুখের খেলে বেড়াতে থাকে তার... অনুভব করে যোনির মধ্যেটায় আরো যেন বেশি করে পিচ্ছিল হয়ে ওঠার... চিৎ হয়ে শুয়ে পা দুটোকে হাঁটুর থেকে মুড়ে বুকের কাছে টেনে নেয়... বুকের ওপরে থাকা হাতটাকেও নামিয়ে দেয় যোনির ওপরে... রাখে ভগাঙ্কুরটার ওপরে... তারপর এক হাত দিয়ে নিজের ভগাঙ্কুরটা রগড়াতে রগড়াতে অপর হাতের মধ্যমাটাকে আগুপিছু করতে থাকে যোনির মধ্যে পুরে রেখে... একটু একটু করে গতি বাড়াতে থাকে আঙুল গুঁজে দেওয়ার... ‘ওহহহ মাহহহহ...’ অবর্নণীয় আরাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে তার যোনির মধ্যে থেকে তলপেটের মধ্যে... সেখান থেকে সারা শরীরে... যোনির মধ্যেটায় দপদপ করতে থাকে যেন... বুঝতে অসুবিধা হয় না তার যে যোনিওষ্ঠদুটো ফুলে বেশ মোটা হয়ে উঠেছে...

ভগাঙ্কুর থেকে হাত সরিয়ে বিছানার চাঁদরটাকে খামছে ধরে অন্য হাত দিয়ে এক নাগাড়ে নাড়িয়ে চলে যোনির মধ্যেটা... আগুপিছু করে চলে হাতের মধ্যমাটাকে পুরে রেখে... হাতটাকে এমন ভাবে রাখে যাতে হাতের তেলোটা ঘসা খায় ভগাঙ্কুরটায় প্রতিবার আঙুল ঢোকানো বের করার সময়... যোনির মুখ থেকে আঠালো রস গড়িয়ে বেরিয়ে এসে দুই নধর নিতম্বের দাবনার ফাটল বেয়ে নেমে যায়... জমা হয় বিছানার চাঁদরের ওপরে... ‘ওহহহ!... ওহহহ!...’ আঙুল সঞ্চালনের সাথে সাথে মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে শিৎকার... নীচ থেকে তুলে মেলে ধরে নিজের জঙ্ঘাটাকে আরো উঁচু করে... হাতের পানে...

আঙুল চালাতে চালাতেই মধ্যমাটাকে হুকের আকারে বেঁকিয়ে নেয় সুদেষ্ণা... তারপর বেকিয়ে ধরা আঙুলের ডগাটাকে দিয়ে ঘসা দেয় যোনির মধ্যের ওপর দিকে থাকা খাঁজ কাটা এবড়ো খেবড়ো মাংসল অংশটায়... ওখানটায় আঙুলের স্পর্শ পড়তেই যেন ঝিনিক দিয়ে ওঠে শরীরটা... ‘আহহহহ... ইশশশশ...’ গুঙিয়ে ওঠে সুদেষ্ণা দাঁতে দাঁত চেপে... বারে বারে ওই জায়গাটায় আঙুল দিয়ে ছোট ছোট আঘাত হানে... ঘসে দেয় জায়গাটাকে আঙুলের চাপে... আরো বেশি করে বেঁকিয়ে ধরে আঙুলটাকে জায়গাটায় চাপ বাড়াবার অভিপ্রায়... 

হটাৎ কি হয়... কোন আগাম পূর্বাভাস ছাড়াই কেঁপে ওঠে সারা শরীরটা তার... নিঃশ্বাস ঝাঁকি মেরে ওঠে বুকের মধ্যে যেন... তার মনে হয় যোনির মধ্যে থেকে একটা ফুটন্ত লাভা তীব্র গতিতে উঠে এসে নিমেশে ছড়িয়ে পড়ল তার সারা শরীরের মধ্যে... তার নিতম্বে... তলপেটে... পেটে... বুকে... স্তনবৃন্তে... সব... সব জায়গায়... পুরো দেহের মধ্যে যেখানে যত খাঁজ খোঁজ আছে... থরথর করে কাঁপতে থাকে তার পুরো শরীরটা এই আকস্মিক অনুভুতির অভিঘাতে... হাতের মুঠোয় চেপে ধরে যোনিটাকে সম্পূর্ণ ভাবে... তেলোটা দিয়ে চাপে রাখে ভগাঙ্কুরটাকে... যোনির ভেতরে পুরে রাখা আঙুলটাকে ওই ভাবেই বেঁকিয়ে চাপ দেয় ওই মাংসল জায়গাটায়...

‘উমফফফ...’ বন্ধ চোখে চেপে রাখা চোয়ালের ফাঁক গলে একটা আওয়াজ শুধু বেরিয়ে আসে... হাতের তেলোর চাপ যেন সহ্য হয় না ভগাঙ্কুরটার ওপরে... আর সেই সাথে ওই মাংসল জায়গাটায় আঙুলের ছোঁয়া... এক সাথে দুই জায়গায় পীড়ন যেন বাঁধ ভেঙে দেয় তার শরীরের মধ্যের... সুখ... সুখ... অসহ্য একটা সুখ তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়... জীবনের প্রথন রাগমোচনের সাথে সুদেষ্ণার পরিচয় হয়...

আর শরীর দেয় না তার... একটু একটু করে ওই তীব্র সুখানুভুতিটা প্রশমিত হয়ে আসতে থাকলে হাতটাকে সরিয়ে দেয় যোনির ওপর থেকে... পাদুটোকেও নামিয়ে মেলে দেয় বিছানার ওপরে... তারপর ওই ভাবেই শুয়ে থাকে খানিক চুপ করে বিছানার ওপরে এলিয়ে পড়ে থেকে... ঘরে ফুল স্পিডে ফ্যান চললেও পুরো ঘামে ভরে থাকে সারা শরীরটা... কেমন যেন একটা প্রশান্তি ঘিরে ধরে তাকে... স্মিত হাসে সে নিজে নিজেই... তারপর  একটু একটু করে কখন ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায়...

পরদিন সকালে যখন ঘুম ভাঙে, অদ্ভুত ভাবে ভিষন সতেজ মনে হয় নিজেকে... আগের রাতের কোন টেনশনই যেন অবশিষ্ট নেই তার দেহে... বেশ ঝরঝরে মনে হয় নিজেকে তার... মনে মনে স্বীকার করে, জীবনের বেস্ট ডিসিশন সে আগের রাতে নিয়েছে বলে... নিজের মনের মধ্যে একটা কেমন কনফিডেন্স অনুভব করে সুদেষ্ণা... নতুন উদ্যমে শুরু করে তার দিন...

ক্রমশ...
[+] 6 users Like bourses's post
Like Reply
#13
বাঙালি মেয়েদের যোনির সৌন্দর্য এভাবেই বর্ণনা করতে হয় দাদা। Hats off to you
Like Reply
#14
অভূতপূর্ব লেখনী। আর সেইসাথে অসাধারণ বর্ণনা। মাঝে মাঝে নিজের উপরেই আফশোষ হয়, কেন এরকম লিখতে পারি না, সেই ভেবে।
BEAUTY LIES IN THE EYES OF THE BEHOLDER
Like Reply
#15
(24-01-2019, 10:43 AM)Aronno56974 Wrote: বাঙালি মেয়েদের যোনির সৌন্দর্য এভাবেই বর্ণনা করতে হয় দাদা। Hats off to you

ধন্যবাদ ভাই, পাশে থাকার জন্য...


রেপু রইলো
Like Reply
#16
(24-01-2019, 10:48 AM)Neelkantha Wrote:
অভূতপূর্ব লেখনী। আর সেইসাথে অসাধারণ বর্ণনা। মাঝে মাঝে নিজের উপরেই আফশোষ হয়, কেন এরকম লিখতে পারি না, সেই ভেবে।

ধন্যবাদ ভাই... তবে নিজের প্রতি এতটা অবিচার না করলেই ভালো হয়... তুমিও যথেষ্ট ভালো লেখক... তাই ভালোবেসে রেপু যোগ করলাম... Heart Heart
Like Reply
#17
দারুন হচ্ছে দাদা| আপনি যে ভাবে বর্ণনা করছেন, মনে হচ্ছে সিনেমা এর পর্দায় দেখছি|


এগিয়ে চলুন..
A Girl Plays with your Mind, A Woman Explores it.
Like Reply
#18
(24-01-2019, 08:40 PM)SailiGanguly Wrote: দারুন হচ্ছে দাদা| আপনি যে ভাবে বর্ণনা করছেন, মনে হচ্ছে সিনেমা এর পর্দায় দেখছি|


এগিয়ে চলুন..

Thank you.. . 

Repp added for yor comments
Like Reply
#19
(24-01-2019, 08:40 PM)SailiGanguly Wrote: দারুন হচ্ছে দাদা| আপনি যে ভাবে বর্ণনা করছেন, মনে হচ্ছে সিনেমা এর পর্দায় দেখছি|


এগিয়ে চলুন..

একদম ঠিক। আমি একশো শতাংশ একমত। ওনার এই সাবলীল বর্ণনার কারণেই দৃশ্যগুলো আমাদের কল্পনায় যেন জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠছে।
BEAUTY LIES IN THE EYES OF THE BEHOLDER
Like Reply
#20
Superb story.
Repped you.
Carry on.
[+] 1 user Likes pcirma's post
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)